সংক্ষিপ্ত
করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি প্রাক্তন ফুটবালর সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta)। এখনও ভেন্টিলেশনে (Ventilation) রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তাকে।
এখনও সঙ্কটমুক্ত নন বাংলার প্রাক্তন তারকা ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta)। এখনও ভেন্টিলেশন (Ventilation) সাপোর্টেই রাখা হয়েছে তাকে। তাকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। ২৩ জানুয়ারি করোনা (Coronavirus)আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। কিন্তু ২৪ তারিখ থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। অক্সিজেনের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়ওয়ায় চিকিৎসকরা কোনও দেরি করেননি। তড়িঘড়ি তাকে পোর্টেবল বাইপাপ দেওয়া হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থায় তখন থেকেই চিন্তায় ছিলেন চিকিৎসকরা। পরে সুরজিৎ সেনগুপ্তর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
সুরজিৎ সেনগুপ্তর চিকিৎসায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সবরকম সাহায্য করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। চিকিসার জন্য গঠিত হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ডোও। ডাক্তার অজয় কৃষ্ণ সরকারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে সুরজিতের। এ ছাড়াও তাঁর দেখভাল করছেন বিভিন্ন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, পালমোনোলজিস্ট এবং অন্যান্যরা। মঙ্গলবার হাসপাতালের তরফ থেকে যে মেডিক্যাল বুলেটিন দেওয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়েছে, ভেন্টিলেশনের সাহায্যে সুরজিতের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ থেকে ৯৫ শতাংশের মধ্যে থাকছে। কম শক্তিশালী ভেসোপ্রেসার সাপোর্টের মাধ্যমে তাঁর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা তাঁকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখছেন। সুরজিৎ সেনগুপ্তর শারীরিক অবস্থা চিন্তায় রেখেছে পরিবার পরিজনদের।
প্রসঙ্গত, ২৩ জানুয়ারির আগে কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। হাল্কা জ্বর, ঠান্ডা লাগার পাশাপাশি ছিল প্রচন্ড কাশি। চিকিৎসকের পরামর্শ মত কোভিড টেস্ট করান ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) মোহনবাগানে (Mohun Bagan) দুই প্রধানে খেলা প্রাক্তন ফুটবলার। তার কোভিড ১৯ টেস্টের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। শারীরিক সমস্যা থাকায় তড়িঘ়ডি তাকে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েক বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুরজিৎ। তখন স্টেন্ট বসাতে হয়েছিল। তখন থেকেই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রাক্তন তারকা ফুটবলার। সুরজিৎ সেনগুপ্তর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তার প্রাক্তন সতীর্থ থেকে শুরু করে বর্তমান, প্রাক্তন ফুটবলার ও ক্লাব কর্তারা।