সংক্ষিপ্ত
এআইএফএফের (AIFF) প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের (Indian football team) প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia)। মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বাংলার বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবেও।
ভারতীয় ফুটবল থেকে ফিফার নির্বাসন উঠতে হলে এক এবং অনন্য উপায় যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যনে নতুম কমিটি নিয়োগ করা। তা যতদিন না হচ্ছে এই নিরবাসন বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ও কেন্দ্রীয় সররকারের হস্তক্ষেপে দ্রুত চলছে নির্বাচন সংগঠিত করার কাজ। আর এই নির্বাচনে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি লড়াই করার জন্য মননোনয়ন তুলছেন একাধির প্রাক্তন বিশিষ্ট ফুটবলারর। এআইএফএফের সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দেশের প্রাক্তনম তারকা ও কিংবদন্তী ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। সভাপতির হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন দেশের আরও এক প্রাক্তন ফুটবলের তথা বাংলার বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। তিনি নিজের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
ফেডারেশনের নির্বাচন প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, দেশের ৩৬টি ফুটবল সংস্থা এবং বিশিষ্ট ফুটবলারদের ৩৬ জনের প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। যার মধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও ১২ জন মহিলা থাকবে। বাইচুংয়ের নাম প্রস্তাব করেন জাতীয় দলের সতীর্থ দীপক মণ্ডল। সেই প্রস্তাব সমর্থন করেছেন ফেডারেশনের নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত মধু কুমারী। বাইচুং ভুটিয়া বিশিষ্ট ফুটবলারদের তরফে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অপরদিকে কল্য়াণ চৌবে সাধারণ ক্যান্ডিডেট হিসেবেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনে বাইচুঙের থেকে কল্যাণ কিছুটা এগিয়ে থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথমত, তিনি কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি-র সদস্য। যে রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে তিনি দাঁড়িয়েছেন, সেই গুজরাত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য। অরুণাচল আবার আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর রাজ্য। ফলে রাজনৈতিক সমর্থন তাঁর দিকে থাকবে। দ্বিতীয়ত, ভাইচুং বিশিষ্ট ফুটবলারের কোটায় লড়তে চলেছেন। কল্যাণ সেখানে প্রাক্তন ফুটবলার হয়েও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে। এটাও তাঁকে এগিয়ে রাখছে বলে সূত্রের খবর।
প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া নিজের সর্বভারতীয় ফুটুব সংস্থার সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে জানিয়েছেন, ‘মনোনয়ন জমা দিয়েছি। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাক্তন প্লেয়াররাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। আশা করি আমরাও ভারতীয় ফুটবলের জন্য কাজ করার সুযোগ পাব। সুযোগ পেলে প্রমাণ করে দেব, প্লেয়ার হিসেবেই শুধু নয়, প্রশাসক হিসেবেও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি।’ভাইচুংকে অনেক প্রাক্তন ফুটবলারই সভাপতি হিসাবে দেখতে চাইছেন। তবে কল্যাণ চৌবের জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ২৮ অগস্ট ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভ কমিটির নির্বাচন। তারপরই বোঝা কে হাসবে শেষ হাসি।
আরও পড়ুনঃপ্রথম ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে খেললেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে, ইতিহাসের পাতায় মনীষা কল্যাণ