সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (AIFF) নির্বাসিত (BAN)করল ফিফা (FIFA)। ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ কারণে এই শাস্তির কথা ঘোষণা করেছে ফিফা। এই ব্যানের জন্য কি কি সমস্যা হবে ভারতের, জেনে নিন বিস্তারিত।
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসিত ভারতীয় ফুটবল। বিবৃতি প্রকাশ করে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে নিজেদের কঠোর সিদ্ধান্তেরে কথা জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা। পদ আঁকড়ে পড়ে থাকা, নোংরা রাজনীতি ও কর্তাদের অকর্মন্যতার কারণে ১৬ অগাস্ট ২০২২ ভারতীয় ফুটবলের এক কালো দিন হয়ে উঠল। ফিফা বিবৃতিতে বলেছে,'এখন এআইএফএফ-এর ক্ষমতায় রয়েছে কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স। এর বদলে যে দিন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কমিটি এআইএফএফ-এর দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখতে শুরু করবে, সে দিন থেকে এই নির্বাসনের শাস্তি উঠে যাবে।' তবে এই নির্বাসনের ফলে ভারতীয় ফুটবলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল বলেই মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।
এই নির্বাসনের ফলে কী কী ক্ষতি হল ভারতীয় ফুটবলের জেনে নিন-
ফিফার ব্যানের ফলে আন্তর্জাতিক ফুটবলের আঙিনা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ভারতীয় ফুটবল। কোনও রকমের আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ খেলতে পারবে না ভভারত। ফফলে সুনীল ছেত্রীরা আর মাঠে নামতে পারবে না। শুধু ভারতীয় সিনিয়র ফুটবল দলই নয়, যে কোনও ধরনেপ বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতাও খেলতে পারব না ভারত। ফলে ফুটবলারদের কাছে অভিশাপ হয়ে উঠল এই নির্বাসন।
এই নির্বাসন জারি থাকলে আরও একবার এশিয়ান কাপে খেলার স্বপ্নপূরণ হবে ভারতীয় ফুটবল দলের। যোগ্যতা অর্জন পর্বে দারুণ ফুটবল খেলে মূল পর্বের টিকিট পাকা করেছিল সুনীল ছেত্রীরা। নির্বাসনের ফলে তা আর খেলা হবে না ভারতের। দ্রুত নির্বাসন উঠলেই ভারতীয় ফুটবল দলের এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ পাবে। এশিয়ান কাপে না খেলতে পারলে বড় ধাক্কা।
এই নির্বাসন একধাক্কায় কয়েক যুগ পিছিয়ে দিল ভারতীয় ফুটবলকে। কারণ ভারতীয় ফুটবলের ব়্যাঙ্ক ফের শূন্য থেকে শুরু হবে। বাইচুং ভুটিয়া থেকে পরবর্তীতে সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিং সান্ধুরা তিলে তিলে যে দলটিকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ম্যাচ জিতিয়ে ব়্য়াঙ্কিংয়ে উন্নতির চেষ্টা করেছেন, ফেডারেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বদান্যতায় সেসব প্রয়াস জলে গেল। ফের শূন্য থেকে লড়াই শুরু করতে হবে।
অনেক কষ্ট করে অনুর্ধব ১৭ মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। আগামি অক্টোবরে এই প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। কিন্তু এই নির্বাসন জারি থাকলে ভারতে বিশ্বকাপ হওয়ার কোনও সনম্ভাবনাই নেই।
শুধু জাতীয় স্তরে নয় এই নির্বাসনের ফলে ক্লাব স্তরেও নানা সমস্যার সম্মুখীন পড়তে হবে। ক্লাব ফুটবলে এই নির্বাসন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আৎ কোনও বিদেশী ফুটবলার সই করানো যাবে না। এমনকী যে বিদেশী ফুটবলাররা সই করেছেন কোনও ক্লাবে তারাও অন্যত্র যেতে পারবে না।
আরও পড়ুনঃ'ভারতীয় ফুটবল এখন লুঠেরাদের হাতে, তার ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে', বলছেন রূপক সাহা