সংক্ষিপ্ত

জুভেন্টাসের (Juvetus) দুটি অফিসে পুলিসি তল্লাশি (Police Raid)। দল বদলের বাজারে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ (financial corruption) ক্লাব কর্তাদের বিরুদ্ধে। তুরিন পুলিসের (Turin Police) তরফ থেকে চালানো হয় অভিযান।
 

ইউরোপিয়ান ফুটবলে যে কটি ক্লাবকে বড়  ক্লাবের মর্যাদা দেওয়া হয়ে থাকে তাদের মধ্যে ইতালির (Italy) জুভেন্টাস  (Juvetus) অন্যতম। নামী ফুটবালরদের দিয়ে দল গড়া থেকে ট্রফি জয় সব দিক থেকেই বর্তমানে অন্যতম সেরা ক্লাব জুভে।  গত মরসুম পর্যন্ত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristian Ronaldo) পর্যন্ত এই  ক্লাবের ফুটবলার ছিলেন। শেষমেশ ক্লাবের সঙ্গে,কোচের সঙ্গে  নানা কারণে দূরত্ব বাড়ায় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে (Manchester United)যোগ দেন সিআরসেভেন (CR7)। কিন্তু বিশ্ব ফুটবলের তাবড় তাবড় তারকা যেই ক্লাবে খেলে গিয়েছেন বা এখনও খেলেন সেই ক্লাবে হঠাৎ পুলিসি হানায় (Police raid) চাঞ্চল্য ছড়ায় ফুটবল মহলে। হানা দিয়ে রীতিমত ক্লাবে চলে তল্লাশি। হঠাৎ এই ধরনের ঘটনায় ক্লাবের অন্দরেও তৈরি হয় চাঞ্চল্য।

তুরিন পুলিসের (Turin Police) তরফ থেকে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। জানা যা দল বদলের বাজারে আর্থিক দুর্নীতির (financial corruption) অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২১, এই তিন বছর দলবদলের বাজারে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে জুভেন্টাসের কর্তাদের (Juventus Officials) বিরুদ্ধে। সেই কারণেই এই হানা। তুরিন পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, জুভেন্টাসের সিনিয়র কর্তারা দলবদলের সময় বিনিয়োগকারীদের ভুয়ো তথ্য দিয়েছিলেন কি না, বা অস্তিত্বহীন লেন-দেনের নথি পেশ করেছিলেন কি না, তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এই সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে পুলিসের কাছে। তাই  যাতে কোনও তথ্য লোপাট না করতে পারে কোনও ক্লাব কর্তা তাই না জানিয়েছেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

পুলসের তদন্তের  নিশানায় মূলত ২ জনের নাম রয়েছে। একজন হলেন  জুভেন্তাসের সবাপতি আন্দ্রে আগনেলি ও অপরজন  জুভেন্তাসের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্লেয়ার  যার সময়ে ২ বার সিরি আঁ জয় সহ চ্যাম্পিয়নস লিগ রানার্সআপও হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের পাভেল নেডভেড। বর্তমানে তিনি জুভেন্তাস ক্লাবের সহ সভাপতির পদেও রয়েছেব।  এছাড়াও তন্তের তালিকায় আরও ৪ জন ক্লাব কর্তা রয়েছেন। এদিন জুভেন্তাসের দুটি দফতরে হানা দেয় পুলিস। তুরিন ও মিলানের দফতরে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে কী ধরনের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ৬ কর্তার বিরুদ্ধে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সঠিক কিছুই জানা যায়নি। ক্লাবের তরফ থেকেও এই বিষয়ে কোনও কিছুই  খোলসা করে বলা  হয়েনি।