সংক্ষিপ্ত

ডুরান্ড কাপ (Durand Cup 2022) ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে চ্যম্পিয়ন হয়েথে বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। খেলার ফল ফল ২-১। কেরিয়ারের প্রথমবার অধরা ডুরান্ড কাপ জিতে উচ্ছ্বসিত সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। 
 

দীর্ঘ কেরিয়ারে দেশের বিভিন্ন ক্লাবের জার্সি গায়ে তুলেছেন সুনীল ছেত্রী। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান থেকে শুরু করে বর্তমানে বেঙ্গালুরু এফসি, দীর্ঘ দু শকের বেশি সময়ে ভারতীয় ক্লাব ফুটবল আইলিগ, ফেডারেশন কাপ, আইএসএল সহ একাধিক প্রায় সব ট্রফিই ভারতীয় ফুটবলের পোস্টার বয়ের ক্যাবিনেটে রয়েছে। শুধু এতদিন অধরা ছিল ডুরান্ড কাপ। অবশেষে ২০২২ সালে এসে  সেই স্বপ্ন পূরণ হল সুনীল ছেত্রী। ডুরান্ড কাপে ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল বেঙ্গালুরু এফসি। মেগা ফাইনালে বেঙ্গালুরুর হয়ে গোল করেন শিবশক্তি এবং অ্যালান কোস্তা। নিজে গোল না পেলেও দলকে গোল করালেন, দলকে খেলালেন, ফাইনালে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন সুনীল ছেত্রীই।

এত বছর ধরে যে ট্রফি অধরা ছিল অবশেষে সেই ট্রফি জয়ের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক। ডুরান্ডের ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসিকে যোগ নেতার মতই ফুটবল খেলেছেন। গোল না পেলেও যে ফুটবল সুনীল ছেত্রী খেলেছেন তার প্রশংসা করেছেন সকলেই। ফাইনাল জয়ের পর সুনীল ছেত্রী বলেন, দলের খেলায় খুশি। এই একটি ট্রফিই অধরা ছিল তার, সেটি জিততে পেরে ভালো লাগছে। দলের নতুন কোচ, একাধিক নতুন প্লেয়ার রয়েছে। তাররও যেভাবে পারফর্ম করেছে তাতে আমি গর্বিত। প্রি সিজেন প্রতিযোগিতা হিসেবে এই জয় আমাদের অনেক কাজে দেবে।

 

 

সোশ্যাল মিডিয়ায়  পোস্ট করেও নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সুনীল ছেত্রী। ট্যুইটারে সুনীল ছেত্রী লিখেছেন, দুই দশক অপেক্ষার  পর একটি জয়।  কিন্তু এর অর্থ যদি বেঙ্গালুরুর নীল রঙে এটি হয়, তবে প্রতিটি মরসুমে চেষ্টা করার মূল্য ছিল। ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন । একটি আর্মি বাচ্চা যদি পেশাদারভাবে ফুটবল খেলতে পারে তবে এটি বলার সুযোগ না পেলে লজ্জা হত। কামঅন, বিএফসি!

 

 

প্রসঙ্গত, ফাইনালে ম্যাচের ১১ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। রক্ষণ থেকে বল ভাসিয়েছিলেন জোভানোভিচ। মুর্তাদা ফলকে টপকে গোল করেন শিবশক্তি। এরপর ম্যাচের ৩০ মিনিটে সন্দেশ জিঙ্ঘনের ফাউলের কারণে বেঙ্গালুরু বক্সের সামনেই ফ্রিকিক পায় তারা। আহমেদ জাহু পাস দেন গ্রেগ স্টুয়ার্টকে। তাঁর শট গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু বাঁচিয়ে দিলেও ফিরতি বলে গোল করেন আপুইয়া। দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। ম্য়াচের ৬১ মিনিটে সুনীলের কর্নার থেকে বাকিদের টপকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে দলের জয় নিশ্তচিৎ করেন কোস্তা।