- Home
- Astrology
- Horoscope
- 'কীসের বার কীসের তিথি, আষাঢ়ের ৭ তারিখ অম্বুবাচী', জেনে নিন প্রাচীণ এই উৎসবের আসল রহস্য
'কীসের বার কীসের তিথি, আষাঢ়ের ৭ তারিখ অম্বুবাচী', জেনে নিন প্রাচীণ এই উৎসবের আসল রহস্য
শাস্ত্র মতে, আষাঢ় মাসে মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে চতুর্থ পদে ঋতুমতী হন পৃথিবী বা ধরিত্রী মা। ঋতুমতী মহিলারা সন্তান ধারণে সক্ষম হন। ওই সময়টিতেই অম্বুবাচী পালন করা হয়। মনে করা হয়, অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন।
- FB
- TW
- Linkdin
সনাতন হিন্দু ধর্মের একটি উৎসব হল অম্বুবাচী। প্রতিবছর এই উৎসব পালন করা হয়। আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পদ শেষ হয়ে চতুর্থ পদের শুরুতে অম্বুবাচী শুরু হয়। তারপর থেকে তিনদিন অম্বুবাচী আচার পালন করা হয়।
শাস্ত্র মতে, আষাঢ় মাসে মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে চতুর্থ পদে ঋতুমতী হন পৃথিবী বা ধরিত্রী মা। ঋতুমতী মহিলারা সন্তান ধারণে সক্ষম হন। ওই সময়টিতেই অম্বুবাচী পালন করা হয়। মনে করা হয়, অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন।
ধরিত্রী আমাদের সকলের জন্মদাত্রী মা। এমনকী, অম্বুবাচীর সময় কৃষিকাজও বন্ধ রাখা হয়। ওই সময় জমিতে লাঙ্গল চালানো হয় না। জমিতে কোনওরকম খোঁড়া-খুঁড়ি করা হয় না। কথায় আছে যে, কীসের বার কীসের তিথি, আষাঢ়ের ৭ তারিখ অম্বুবাচী। আর ওই দিন থেকেই শুরু হয় অম্বুবাচী।
জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সূর্য যে বারের যে সময় মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্বুবাচী হয়। তিনদিন ধরে চলে এই উৎসব। এই তিনদিন সন্ন্যাসী এবং বিধবারা বিশেষভাবে পালন করেন।
এই তিনদিন কোনও শুভ কাজ করা যায় না। যেমন বিবাহ, উপনয়ন, অন্নপ্রাশন, গৃহ প্রবেশ, গৃহ আরম্ভের মতো কাজ হয় না। অম্বুবাচী শেষ হলে পুনরায় শুভ অনুষ্ঠান ও চাষাবাদ শুরু হয়। এই তিনদিন মন্দিরের দ্বার বন্ধ রাখা হয়। পুজোপাঠও নিষিদ্ধ থাকে।
অসমের কামাক্ষ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে উৎসব পালন করা হয়। কামাক্ষ্যা মন্দির ৫১ সতীপীঠের অন্যতম পীঠ। কথিত আছে, সতীর অঙ্গচ্ছেদের সময় এই স্থানে দেবীর যোনি পড়েছিল। তিনদিন মন্দির বন্ধ থাকলেও, চতুর্থ দিনে সর্বসাধারণের দর্শনের জন্য মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া হয়।
ভারতের একাধিক স্থানে অম্বুবাচী উৎসব, 'রজঃউৎসব' নামেও পালিত হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ঋতুকালে মেয়েরা অশুচি থাকেন। একইভাবে মনে করা হয় পৃথিবীও সময়কালে অশুচি থাকে। সেজন্যেই এই তিন দিন ব্রহ্মচারী, সাধু, সন্ন্যাসী,যোগীপুরুষ এবং বিধবা মহিলারা 'অশুচি' পৃথিবীর উপর আগুনের রান্না করে কিছু খান না। ফলমূল খেয়ে এই তিন দিন কাটাতে হয়।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে, এবার অম্বুবাচী শুরু হবে ২২ জুন অর্থাৎ আজ, ৭ আষাঢ় রাত ১২ টা বেজে ৫২ মিনিটে। এই তিথি শেষ হবে ২৬ জুন অর্থাৎ রবিবার ১১ আষাঢ় রাত ৩ টে বেজে ২৭মিনিটে।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে, এবার অম্বুবাচী শুরু হচ্ছে ৭ আষাঢ় অর্থাৎ ইংরেজির ২২ জুন। রাত রাত ৮টা বেজে ১৮ মিনিট ১৩ সেকেন্ড অম্বুবাচী পড়বে। আর শেষ হবে ২৬ জুন অর্থাৎ রবিবার ১১ আষাঢ় রাত ৮টা ৪১ মিনিট ৫১ সেকেন্ড।।