- Home
- Astrology
- Horoscope
- দুই সন্তানের মধ্যে সারাক্ষণ লেগে আছে মারপিট ও ঝগড়া, সমস্যা মিটবে বাস্তু টোটকায়
দুই সন্তানের মধ্যে সারাক্ষণ লেগে আছে মারপিট ও ঝগড়া, সমস্যা মিটবে বাস্তু টোটকায়
দুই সন্তানের মধ্যে বয়সের ফারাক ৪ বছর। দুই সন্তান, স্বামী আর শ্বশুর, শাশুড়ি নিয়ে আপনার সংসার। কাজের লোক থাকার সুবাদে সংসার (Family) সামলানোর তেমন ঝক্কি না থাকলেও বাচ্চাদের (Kids) সামলাতে গিয়ে আপনার সব সময় হিমশিম অবস্থা। সারাক্ষণ তাদের ঝগড়া, মারপিট লেগে আছে। হাজার মার-ধর, বকা দিয়েও লাভ হয়নি। এবার সমস্যা সমাধানে মেনে চলুন বাস্তু টোটকা (Vastu Tips)।
- FB
- TW
- Linkdin
বাচ্চার বিছানার প্রভাব পড়ে তার মানসিকতার ওপর। বাচ্চার বিছানা কেমন হবে, তা তৈরি করুন বাস্তু মেনে। অনেক সময় ছোট খাটে শোওয়ার ব্যবস্থা করেন বাচ্চাদের। এটা করা উচিত নয়। এমন খাটে তাকে শোওয়া যেন, তার পা বেরিয়ে না যায়। বাচ্চার বিছানা যেন বড় হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
দুই বাচ্চার ঘর যেন পাশাপাশি হয়। এতে তাদের সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। বাস্তু মতে, বাচ্চার ঘর পাশাপাশি করা শুভ। এতে তাদের বন্ধুত্ব বৃদ্ধি পাবে। অনেকের বাড়িতে একটি ঘরের মধ্যে দিয়ে অন্য ঘরে যাওয়া যায়। এমন করা উচিত নয়। তার থেকে বাচ্চাদের এমন ঘরে রাখুন মাঝে কোনও দরজা না থাকে।
বাথরুম যেন বাচ্চাদের ঘরের সামনে না হয়। বাথরুম বাচ্চার ঘরের সামনে হলে, তার থেকে নেতিবাচক এনার্জি তৈরি হয়। যা তাদের সম্পর্কে পড়বে। এতে বাচ্চাদের মধ্যে ঝগড়া ও অশান্তি বাড়বে। তাই বাচ্চাদের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে বাথরুমের সামের ঘরে তাদের রাখবেন না।
অনেকেই একই ঘরে দুই বাচ্চাকে রাখেন। তাদের শোওয়ার জন্য দোতলা বিছানার ব্যবহার করেন। বাস্তু মতে, এমন ধরনের বিছানায় তাদের শোওয়ার ব্যবস্থা না করাই ভালো। একই খাটে দুজনের শোওয়ার ব্যবস্থা করুন। অথবা পাশাপাশি দুটি খাট রাখুন। তা না হলে, দেখা দিতে পারে বাস্তুদোষ। যার প্রভাব পড়বে বাচ্চাদের সম্পর্কের ওপর।
মেঝেতে ঘুমাতে দেবেন না বাচ্চাকে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তার ওপর। অনেকেই মেঝেতে বিছানা করে শুতে পছন্দ করেন। এমন স্বভাবের বদল করুন। পারিবারিক সুখ শান্তি বজায় রাখতে চাইলে মেঝেতে না শোওয়াই ভালো।
দুই বাচ্চার মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে মেনে চলতে পারেন বাস্তু টোটকা। তাদের ঘরের দরজার সামনে উইন্ডচাইম ঝোলান। এতে তাদের সম্পর্ক ভালো থাকবে। উইন্ড চ্যাম্প পজেটিভ এনার্জি তৈরি করে। যা সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবে।
অনেকের বাড়িতেই লম্বা কলিডোর থাকে। তার পাশে থাকে ঘর। এমন পর পর দুটি ঘর বরাদ্দ করেন দুই বাচ্চার জন্য। সম্ভব হলে এই জিনিসের বদল করুন। দালানের সামনে ঘর বাচ্চাকে দেবেন না। এতে তাদের সম্পর্কে ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে। তাদের সম্পর্ক ভালো রাখবে, বাস্তু মেনে বাড়ি সাজান।
দুই বাচ্চার সম্পর্কের উন্নতি করতে হলে শুধু বাস্তু মেনে চললে হল না। এই উদ্যোগ নিতে হবে মা -বাবাকেও। তাদের সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝান। ভাই বোনের সম্পর্ক যে কতটা গুরত্বপূর্ণ তা জানান। প্রয়োজনে উদাহরণ দিন। তাদের মানসিকতা বোঝার চেষ্টা করুন। তারা কেন মারপিট করে তা বুঝুন। এতে তাদের কী ক্ষতি হতে পারে তা বোঝান।
তুলনা করবনে না। দুজের মধ্যে একজন ভালো অপর জন খারাপ হতেই পারে। তবে, ভুলেও দুজনের তুলনা করবেন না। এতে সম্পর্কের অবনতি হতে বাধ্য। তাই বাচ্চাদের সম্পর্কের উন্নতি করতে গেলে নিজের ভুল শুধরে নিন। তাদের অশান্তির মাঝে একজন করে বকা দিলেন, এমন করা উচিত না। দুজনকে সমান ভাবে শাসন করুন।
ভাই বোনের বয়সের ফারাক কম হলে তাদের মধ্যে খুনশুটি হবেই। হয়তো সারাক্ষণ তাদের ঝগড়া, মারপিঠ লেগে আছে। হাজার মার-ধর, বকা দিয়েও লাভ হয়নি। এমন হলে বাস্তু মত মেনে চলুন। ঘরে নেতিবাচক শক্তি থাকলে তা সম্পর্কের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই ঘরের নেতিবাচক শক্তি দূর করার চেষ্টা করুন