পূর্ণিমার এই তিথিতে দেবতারা তাঁদের রূপ বদলান, জেনে নিন বিশেষ এই তিথির গুরুত্ব
- FB
- TW
- Linkdin
খনার বচনে রয়েছে, "যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্যি রাজার পূণ্যি দেশ"। মাঘ মাসের পূর্ণিমাকে বলা হয় মাঘী পূর্ণিমা । মাস মাসের পূর্ণিমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। মাঘী পূর্ণিমা বৌদ্ধদের একটি ধর্মীয় উৎসব। এদিন বুদ্ধদেব তাঁর পরিনির্বাণের কথা ঘোষণা করেন।
কথিত আছে যে, বুদ্ধের এরূপ সংকল্প গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ ভীষণ ভূকম্পন শুরু হয়। ভিক্ষুক সংঘ এর কারণ জানতে চাইলে বুদ্ধ বলেন, তাঁর পরিনির্বাণের সঙ্কল্পের কারণেই এরূপ হয়েছে। অর্থাৎ তথাগতের জন্ম, মৃত্যু ও বুদ্ধত্ব লাভকালে জগৎ এমনিভাবে আলোড়িত হয়।
মাঘ মাসের এই বিশেষ তিথিতে বহু হিন্দু সম্প্রদায় বাড়িতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করে থাকেন আর্থিক উন্নতির জন্য। তবে এই পূর্ণিমার রীতি পালনের জন্য কয়েকটি বিশেষ নিয়ম করলে সহজেই বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পাবেন। জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলি।
পূর্ণিমার এই তিথিতে বিশেষ কিছু নিয়ম পালনে মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে পারে সকল বাধা ও বিপত্তি। শাস্ত্র মতে মনে করা হয় মাঘ মাসের এই পূর্ণিমা তিথিতে নিষ্ঠাভরে মাঘী পূর্ণিমার ব্রত পালন করলে সহজেই ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি পাওয়া সম্ভব হয়। এর ফলে সংসারের যাবতীয় বাধা ও বিপত্তি দূর হয়। আর্থিক সমস্যা কাটিয়ে ওঠাও সম্ভব। নানা রোগ-ব্যধি থেকে মুক্তি মেলে।
মনে করা হয় মাঘী পূর্ণিমার দিন দেবতারা রূপ বদলান। সেই কারণে তারা গঙ্গাস্নান করতে আসেন। আর যারা এইদিনে গঙ্গাস্নান করেন তাঁদের সকল মনঃষ্কামনা পূরণ হয়। ব্রহ্মাবৈবর্ত পূরাণ অনুসারে মাঘী পূর্ণিমায় ভগবান শ্রীবিষ্ণু গঙ্গাস্নান করেন। তাই এইদিনে গঙ্গাস্নান করা বিশেষ শুভ বলে মনে করা হয়।
বিশেষ এই তিথি বিষ্ণুদেবের আরাধনার দিন হিসেবে মনে করা হয়। তাই এই পূর্ণিমায় লক্ষ্মীর আরাধনার পাশাপাশি ভগবান শ্রীবিষ্ণুর আরাধনা করলে ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি সংসারের উপর বজায় থাকে বলে মনে করা হয়।
মাঘ মাসে কল্পবাসের প্রথা রয়েছে। এই বিশেষ তিথিতে যদি কেউ কল্পবাসের প্রথা পালন করে কোনও দুঃস্থ ব্যক্তিকে কিছু দান করেন তবে শুভ ফললাভের সম্ভাবনা থাকে বলে মনে করা হয়।
বাড়িতে পুজোর আয়োজন করে সন্ধ্যায় তুলসী মঞ্চে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করুন। ইষ্টদেবতার উদ্দেশ্যে সিন্নি প্রদান করুন। সকল বাধা কাটিয়ে আর্থিক উন্নতি ফিরে আসবে আপনার সংসারে।