প্রতিবছর ১৭ সেপ্টেম্বরই বিশ্বকর্মা পুজো হয়, কেন জানেন
- FB
- TW
- Linkdin
তিথি নক্ষত্রের গতিবিধি অনুসারে সাধারণত পুজোর দিন ঠিক করা হয়ে থাকে। আর সেই কারণেই কোনও পুজোর নির্দিষ্ট কোনও দিন থাকে না। এ বছর এই দিনে তো আগামী বছর তা পিছিয়ে যেতে পারে আবার এগিয়েও যেতে পারে।
তবে এই নিয়ম খাটে না বিশ্বকর্মা পুজোর ক্ষেত্রে। প্রতিবছর ১৭ সেপ্টেম্বর এই পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। এর কোনও পরিবর্তন হয় না। যাই হোক না কেন প্রতিবছর ভাদ্রমাসের সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মার পুজোর আয়োজন করা হয়।
হিন্দু ধর্মে সব দেব-দেবীর পুজোর তিথি স্থির হয় চাঁদের গতিপ্রকৃতির উপর নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে চান্দ্র পঞ্জিকা অনুসরণ করা হয়। কিন্তু বিশ্বকর্মার পুজোর তিথি ঠিক করা হয় সূর্যের গতিপ্রকৃতির উপর নির্ভর করে।
সিংহ রাশি থেকে সূর্য গমন করে কন্যা রাশিতে। আর ঠিক তখনই উত্তরায়ণের সময় আসে। ওই সময়ই দেবতারা ঘুম থেকে জাগেন। শুরু হয় বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন।
ভাদ্র মাসের শেষ দিন বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। আসলে ওই দিনটি হল ভাদ্র সংক্রান্তি। তার আগে বাংলার পাঁচটি মাস রয়েছে। এই পাঁচটি মাসের দিনও প্রায় একই থাকে। সেই দিনগুলিকে যোগ করে পঞ্জিকা মতে যে তারিখ আসে তাই হল ইংরেজির ১৭ সেপ্টেম্বর।
তবে ব্যতিক্রমও মাঝে মধ্যে হয়ে থাকে। কখনও যদি বাংলার পাঁচটি মাস (বৈশাখ, জৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভ্রাদ্র)-এর মধ্যে কোনওটা ২৯ বা ৩২ দিনে শেষ হয় সেক্ষেত্রে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন এগিয়ে বা পিছিয়ে যায়। যদিও সেটা একেবারেই বিরল।
এছবরও ১৭ সেপ্টেম্বরই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন নির্ধারণ হয়েছে। তবে করোনা আবহে এবার পুজো কিছুটা হলেও ফিকে। আগের মতো রমরমা নেই এই পুজোতে।
পুরাণ অনুযায়ী, আদি নারায়ণ সবার আগে ব্রহ্মা ও তার পর বিশ্বকর্মার রচনা করেন। মনে করা হয় ব্রহ্মার সঙ্গে মিলেই ইনি সৃষ্টির নির্মাণ করেন। সেই জন্য এই পুজোর দিন যন্ত্রপাতি, নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত মেশিন, দোকান, কারখানা ইত্যাদির পুজো করা হয়।
কথিত আছে, কন্যা সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মার জন্ম হয়েছিল। শাস্ত্র মতে, বিশ্বকর্মা পুজোর ফলে ব্যবসা বৃদ্ধি হয়। ধন-ধান্য ও সুখ-সমৃদ্ধির জন্য বিশ্বকর্মার পুজো শুভ ও আবশ্যক।