নিজের কবিতায় নিজেকে শুভেচ্ছা, কীভাবে জন্মদিন পালন করতেন কবিগুরু
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন মানেই যেন গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো। গোটা দেশ জুড়ে যখন পালিত হয় রবীন্দ্র জয়ন্তী, কবির গান, কবির কলমের অবদানই হয়ে ওঠে শ্রদ্ধা জানানো ভাষা। তাঁর নিজের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ছিল না। নিজের জন্মদিনেও কলম ধরতেন কবি, নিজেশে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রথমবার লিখেছিলেন- 'আজ আমার জন্মদিন — পঁচিশে বৈশাখ — পঁচিশ বৎসর পূর্ব্বে এই পঁচিশে বৈশাখে আমি ধরণীকে বাধিত করতে অবতীর্ণ হয়েছিলুম — জীবনে এমন আরও অনেকগুলো পঁচিশে বৈশাখ আসে এই আশীর্ব্বাদ করুন।'
- FB
- TW
- Linkdin
সালটা ছিল ১৮৮৬, ৭ মে, বাংলায় ২৫ শে বৈশাখ। প্রথমবার নিজের জন্মদিনে লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২৫ বছর বয়সের আগে সেভাবে কখনই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের জন্মদিন পালন করতেন না।
প্রথম জন্মদিন পালন করেছিলেন তাঁর ভাগ্নি। তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঠাকতেন পার্কস্ট্রীটের বাড়িতে।
সেখানেই হঠাৎই প্রবেশ করেছিলেন তাঁর ভাগ্নি। পায়ের কাছে রেখেছিলেন একটি ধুতি চাদর, ফুলের মালা, ও একটি বই।
রবীন্দ্রানথ ঠাকুর তখন ঘুমিয়েঠিলেন। ঘুম থেকে জাগিয়ে এভাবেই প্রণাম করে ভাগ্নি জানিয়েছিলেন শুভজন্মদিন। আর সেই থেকেই শুরু।
তখন গোটাবাড়িতে সাড়া পড়ে যায় যে আজ রবির জন্মদিন। এরপর থেকেই গোটা পরিবারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন হয়ে থাকত মহাসমারহে।
শেষ সময় রবীন্দ্রনাথের এই জন্মদিন পালন হয়েছিল বিশ্বভারতীতে। শান্তিনিকেতনে সকলের সঙ্গে এইদিনটি পালন করেছিলেন। সেদিনও লিখেছিলেন নিজের উদ্দেশ্যে কবিতা।