- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- আবারও কি ফিরবে সিনেমাহলে দর্শক, বলি না টলি, ভবিষ্যত কোথায়, ২০২০ নিয়ে আড্ডায় অকপট ঋতাভরী
আবারও কি ফিরবে সিনেমাহলে দর্শক, বলি না টলি, ভবিষ্যত কোথায়, ২০২০ নিয়ে আড্ডায় অকপট ঋতাভরী
- FB
- TW
- Linkdin
ঋতাভরীঃ প্রতিবারের মতই স্ট্রং উত্তর ও উজ্জ্বল হাসি, ভালোই আছি।
ঋতাভরীঃ নিঃসন্দেহে এই বছরটা একটা বড় ধ্বস। তবে নিশ্চই মানুষ ফিরবেন প্রেক্ষাগৃহে। তবে দর্শক অনেকটাই এখন ডিজিটালমুখী, তবে তা কতটা প্রভাব ফেলবে বোঝা যাবে আগামী বছরেই। যখন ভ্যাকসিন বেরিয়ে যাবে, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ব্রহ্মা জানেন ছবিটি মুক্তি পাওয়ার দুসপ্তাহের মধ্যেই সমস্ত প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যায়। ছবিটা ভিষণ ভালো চলছিল, চিত্রনাট্য নির্ভর খুব জোরালো একটা ছবি, বক্স অফিস হিট দিয়েও বেশিদিন চলতে পারল না।
শুধু তাই নয়, এবছর সব বড় ছবিই মুক্তি পেয়েছে ডিজিটালে। টিকি টাকাও মুক্তি পেল ডিজিটালে, আমরা ওটাকে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি করাতে পারলাম না। তবে আমার বিশ্বাস মানুষ প্রেক্ষাগৃহে ফিরবেই। কারণ আমাদের দেশে বিনোদনের বিশাল কিছু নেই, যদি এটা বিদেশ হত আমি অন্যরকম ভাবে ভাবতাম, অনেক কিছু করার থাকে।
তবে আমাদের হচ্ছে উৎসব, খাওয়া-দাওয়া-শপিং আর সিনেমা দেখা- এই সম্বল। তাই সিনেমাহল মানুষের কাছ থেকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। মানুষ যখন সুরক্ষিত অনুভব করবে, আবার তাঁরা প্রেক্ষাগৃহে ফিরবে।
ঋতাভরীঃ তবে এটা ঠিক, শহুরে ব্যস্ততার মধ্যে ডিজিটাল ভীষণ রকমভাবে ঢুকে পড়েছে। যাঁরা দেখতেন না, তাঁরাও এই বছর ডিজিটালে মুখ গুঁজেছেন।
আমি আবারও বলছি, সিনেমাহলের বিকল্প হয় না। কিছু ছবি সিনেমাহল ছাড়া দেখা যায় না। সিনেমা বানানোই সিনেমাহলের জন্য। নয়তো সেই মজাটাই থাকে না, বাহুবলি কি ডিজিটালে দেখে মজা পাওয়া যাবে! বা বজরঙ্গি ভাইজান এগুলো কি ভালো লাগবে সিনেমাহল ছাড়া! এর স্কেলই তো আলাদা।
দেখ, একটা বড় ধাক্কা তো বটেই এই বছরটা। টেকনিশিয়ান ইন্ডাস্ট্রিতে যেটা ভিষণভাবে প্রকট। তাঁদের দিন পিছু পারিশ্রমিকটাও বন্ধ হয়ে যায়।
একটু সময়তো তো লাগবেই, নিঃসন্দেহে, পরিস্থিতিটাকে কাটিয়ে উঠতে। এটা সবার জন্য লব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সবটাই ঠিক হবে, সময় লাগবে, তবে এই বছরটা খুব খারাপ ভাবে এলো, এই অতিমারী একটু অন্যভাবেও আসতে পারত। আবার পরিস্থিতি নিয়ে ফ্লেক্সিবিলিটিটা এই কোভিডই নিয়ে এলো।
ঋতাভরীঃ না, না, এটা অনেক আগে থেকে। আসলে আমি আমার অভিনয় কেরিয়ার নিয়ে এতটাই কমিটেড যে অন্যদিকে সেভাবে কখনও নজর দেওয়া হয়নি। এখন আমার মনে হল আমার এটা নিয়ে কিছু কথা উচিৎ।
ঋতাভরীঃ এই সময়টা আমি নিজেকে দিয়েছি, নিজের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছি। কোর্স করছি, আবারও পড়ার দিকে নজর দিয়েছি। নিজের মত করে নিজেকে গুছিয়েছি। তবে কাজটাই করতে চেয়েছি। আমি খুব খুশি যে অগাস্ট থেকে ছন্দে ফেরে পরিস্থিতি। আর আমি এখন কাজে ফিরতে পেরে ভিষণ খুশি।
ঋতাভরীঃ খুব ভালো কনটেন্ট চাই। যেটা আমার কেরিয়ারে পরবর্তী একটা বড় পদক্ষেপ হতে পারে। নয়তো আমি সিরিজের কথা ভাবছি না। কারণ এখন এতো সিরিজ হচ্ছে যে আমি জাস্ট না বলি। আমার মনে হয়, যতক্ষণ না একটা স্ট্রং কনটেন্ট, বা স্ট্রং কনটেন্ট মেকার আমি পাচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত এই নিয়ে খুব একটা এগোনো উচিৎ নয়। আমার কেরিয়ারে একটা ডিফারেন্ট সেড না দিলে আমি এটা নিয়ে ভাবতে চাই না।
ঋতাভরীঃ আমি ব্যালন্স করতেই চাই। আমি ভালো কাজ চাই। আমার কোনও প্রেফারেন্স নেই। যে ইন্ডাস্ট্রি আমায় ভালো কনটেন্ট অফার করবে, আমি নিঃসন্দেহে তা গ্রহণ করব। আমি যদি আজ অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতাম, বা কেরিয়ারে আরও ব্যস্ততার মধ্যেও থাকতাম, তাও ব্রহ্মা জানেন-কে আমি নিঃসন্দেহে নিতাম। এত ভালো চিত্রনাট্য, এত ভালো একটা ছবি, আমার কাজ করতে ভিষণ ভালো লাগত। ভাষা বা ইন্ডাস্ট্রি আমার কাছে লিমিট নয়, আমি ভালো কাজ করতে চাই।
ঋতাভরীঃ আমি জিৎ-দা, রাজ দা, কোয়েল দি-র সঙ্গে কাজ করাটাকেই প্রাধান্য দিয়েছি। আমার কাজটাই করতে ভিষণ ভালো লেগেছে। পাশাপাশি আমি সব ধরনের দর্শকদের কাছে পৌঁছতে চাই। একটা ধারার ছবিতে নিজেকে আটকে রাখতে চাই না। একটা জ্যঁর ভিত্তিক ছবিতে সীমাবন্ধ থাকাতে সাফ না। সব ধরনের ছবি করব। নেকেড যেমন এক ধরনের দর্শকদের জন্য, ঠিক তেমনই বাকি কাজগুলো আমার বাকি দর্শকদের ছুঁয়ে যায়।
ঋতাভরীঃ আমি চাই গোটা বিশ্ব আবার এই সামাজিক দূরত্ব ভুলে কাছে আসুক। সবটা স্বাভাবিক হয়ে যাক। সবাই খুব দূরে হয়ে গিয়েছি। ভিষণ রকমভাবে ভার্চ্যুয়াল, ফোন, ভিডিও কল, জুম মিটিং। আমি চাই সকলে আবার সামনে আসুক। মানুষের সঙ্গে দেখা করা, পাশাপাশি থেকে কাজ করা। আদিম মানুষ থেকে এখন পর্যন্ত আমরা ভিষণ রকমভাবে কাছাকাছি থেকে একটা সমাজ গড়ে তুলতে ভালোবাসি। আবারও সেই দিন ফিরে আসুক। এমন এক পৃথিবী যেখানে আবারও সব মিলে মিশে এক হয়ে ফুঁটে উঠুক এক সুন্দর সুস্থ সম্পর্কের ছবি।