- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- 'শরীরী চাহিদায় বিছানা শেয়ার করে সিরিয়ালে কাজ', কটাক্ষের প্রতিবাদে সফল শ্রুতি, তদন্ত শুরু লালবাজারের
'শরীরী চাহিদায় বিছানা শেয়ার করে সিরিয়ালে কাজ', কটাক্ষের প্রতিবাদে সফল শ্রুতি, তদন্ত শুরু লালবাজারের
- FB
- TW
- Linkdin
ইন্ডাস্ট্রির নতুন মুখ দেশের মাটির নোয়া ওরফে শ্রুতি দাস। ত্রিনয়নী ধারাবাহিক দিয়ে কেরিয়ারের শুরু, তারপর থেকে চুটিয়ে অভিনয়। ইতিমধ্যেই টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ শ্রুতি। কিন্তু এই পরিচিতির পিছনেও রয়েছে অনেক লাঞ্ছনা। গায়ের রং দুধ সাদা নয়, বরং অনেকটাই চাপা বলে বহুবার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে শ্রুতিকে।
এবার আর অশ্লীল কটুক্তি সহ্য করতে না পেরে সাইবার ক্রাইমের বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনেত্রী। শ্রুতির করা অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার।
গায়ের রঙের জন্য কুরুচিকর আক্রমণ, বর্ণ-বিদ্বেষের জন্য কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মন জিতলেও পিছু ছাড়েনি কুৎসিত আক্রমণ।
ইতিমধ্যেই শনিবার কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার কয়েকজন অফিসার শ্রুতির বাড়িতেই গেছেন। এবং তদন্তও শুরু করে দিয়েছেন লালবাজার।
সিরিয়াল নিয়েই বিতর্কের শুরু। সিরিয়াল থেকে শ্রুতিকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ।
নেটিজেনরা দেশের মাটির নোয়াকে প্রকাশ্যেই অশ্লীল মন্তব্য করেছেন। স্টার জলসার ফেসবুকে কমেন্ট এক নেটিজেন লিখেছেন, শ্রুতি দাসকে সিরিয়াল থেকে বাদ দেওয়া হোক।
শ্রুতি একটা ফালতু মেয়ে, শরীর বিক্রি করে। ওকে আমাদের খুব সামনে থেকে দেখা।এখানেই থামেননি ওই মহিলা, আরও নানারকম অশ্লীল মন্তব্য করেছেন শ্রুতির উদ্দেশ্য।
এতদিন নিজের গায়ের রং নিয়ে সমস্ত নোংরামি সহ্য করে নিলেও নিজের চরিত্র নিয়ে কাটাছেড়ে করতেই ফুঁসে উঠেছেন নোয়া। এবং ওই মহিলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এরপর গোটা ঘটনার স্ক্রিনশট তুলে প্রথমে কলকাতা পুলিশ ও পরে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল বিভাগে মেল করেছেন শ্রুতি। ওই মহিলার নাম সুর্পণা বোস সরকার, যিনি হোমটাউন কাটোয়ারই বাসিন্দা।
তবে ট্রোল-বিতর্ক যেন নিত্যদিনের সঙ্গী শ্রুতির। নিজের সম্পর্ক নিয়ে বেশ খুল্লামখুল্লা শ্রুতি। পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরেই সম্পর্কে রয়েছেন। দুজনের বয়সের বিস্তর ফারাক নিয়ে একাধিক কটাক্ষ ধেয়ে আসে শ্রুতির কাছে। কিন্তু নিজের শহর কাটোয়ার মানুষ তাকে কীভাবে এতটা অপমান করতে পারে,এটাই আফসোস শ্রুতি দাসের।