- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- স্তন্যপান থেকে ছেলের দেখভাল, একাই সবটা সামলাচ্ছেন নুসরত, ঈশানকে নিয়ে কেন ফিরলেন না বাড়িতে
স্তন্যপান থেকে ছেলের দেখভাল, একাই সবটা সামলাচ্ছেন নুসরত, ঈশানকে নিয়ে কেন ফিরলেন না বাড়িতে
- FB
- TW
- Linkdin
গত বৃহস্পতিবারই পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন বসিরহাটের সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান । সি-সেকশনের পর মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছে সেকথা নিজেই জানিয়েছেন নুসরতের সহবাস সঙ্গী যশ দাসগুপ্ত। তবে নুসরতের ছেলে জন্মের পরই সদ্যোজাতকে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন সকলেই।
ইতিমধ্যেই সদ্যোজাতকে চোখে হারাচ্ছেন মা নুসরত। নিজের কোল ছাড়া একমুহূর্ত করছেন না সন্তানকে। এমনকী নার্সারিতেও রাখছেন না ছেলেকে, নিজের বিছানায় তাকে আগলে রেখেছেন টলিপাড়ার নতুন মা।
স্তন্যপান করানো থেকে ছেলের যাবতীয় কাজই একাই সারছেন নুসরত। গতকাল ছোট্ট ঈশানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল মাম্মা নুসরতের, কিন্তু তা আর হল না। কেন সদ্যোজাতকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন না নুসরত, আর কতদিন থাকবেন হাসপাতালে , তা জানতেই সকলেই মুখিয়ে রয়েছেন।
সন্তান জন্মের পর থেকেই চিকিৎসকদের কড়া নজরে ছিলেন নুসরত জাহান। আপাতত নুসরতের কোনও শারীরিক জটিলতা নেই। সন্তান জন্মের ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই এবার একটু একটু করে হাঁটতেও শুরু করেছেন নুসরত জাহান।
নুসরতের সন্তানের বেশ কিছু পরীক্ষা করানো হয় রবিবার। এবং সেগুলোর রিপোর্ট ঠিকঠাক এলেই মা ও ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হবে তেমনটাই সকলে জানতেন। কিন্তু তা আর হল না। ছেলে ঈশানকে নিয়ে হাসপাতালেই আছেন নুসরত। গত শনিবার পর্যন্ত যশও ছিলেন সেখানে।
চিকিৎসক রাজীব আগরওয়ালের হাতেই ছেলের জন্মের হয়েছে নুসরতের। সূত্রের খবর, ছেলের দেখাশোনার বিষয়টা আরও একটু পাকা করে নিতে চান নুসরত। এবং সবটা শিখে নেওয়ার জন্যই আরও দু-দিন হাসপাতালেই থাকছেন অভিনেত্রী। মঙ্গল কিংবা বুধবার বাড়ি ফিরতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
কলকাতার পার্কস্ট্রিটের ভাগীরথী নেওটিয়া হাসপাতালে ৫১১ নম্বর বেডে রয়েছেন নুসরত জাহান। লক্ষ্মীবারেই পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন নুসরত। সি-সেকশনের পর মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, নুসরতের সন্তানের ওজন হয়েছে ২.৯ কেজি। আপাতত নিজেই ছেলেকে স্তন্যপান করাচ্ছেন নুসরত। সদ্যোজাতর খিদে পাচ্ছে কিনা, কিংবা কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা সেদিকে নিজেই খেয়াল রাখছেন নুসরত।
গান শুনতে শুনতেই সন্তান প্রসব করেছেন নুসরত। শুধু তাই নয়, বিতর্ককে তুড়ি মেড়ে উড়িয়ে সুরে-তালেই যেন নতুন জীবন শুরু করেছেন যশ-নুসরত, এবং ২৪ ঘন্টায় ছায়াসঙ্গী আগলে রেখেছেন মা ও সদ্যোজাতকে।