কলকাতা পুরসভায় নুসরতের সঙ্গে যশ, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
- FB
- TW
- Linkdin
শনিবার বিকেলের দিকে আচমকাই পৌরনিগমে হাজির হয়েছিলেন যশ এবং নুসরত। বিকেল ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ তাঁদের সেখানে দেখা যায়। এদিকে তাঁদের দেখতে ভিড় জমান পৌরনিগমের কর্মীরা।
এদিন তাঁরা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সঙ্গে দেখা করেন বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ পৌরনিগমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরীর ঘরে আলোচনা করেন। গুঞ্জন উঠেছে, ঈশানের জন্ম শংসাপত্র নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁরা সেখানে গিয়েছেন।
আরও শোনা গিয়েছে, 'সিঙ্গল মাদার' হিসেবে নুসরত শংসাপত্রে শুধু নিজের নাম রাখতে পারেন বলে জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে। এদিন তাঁরা দুজনেই কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও দেখা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও 'সিঙ্গেল মাদার' শুধুমাত্র তাঁর নিজের নামে সন্তানের জন্মের শংসাপত্র বের করতে পারেন। এদিন পুরসভার তরফে নুসরতকে সেকথা জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
যদিও পৌরনিগমে যাওয়ার আসল কারণ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি যশ ও নুসরত কেউই। এদিন তাঁরা করোনা টিকা কোভিশিল্ডের ডোজ নিতে পৌরনিগমে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছিল। ঈশানের পিতৃ পরিচয় জানার জন্য মুখিয়ে ছিলেন সবাই। তা নিয়ে অনেকে অনেকরকম প্রশ্নও তুলেছিলেন। কিন্তু, সমালোচকদের গুরুত্ব দেননি নুসরত। বরং একা হাতে সন্তানকে মানুষ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
দিন দুয়েক আগে ঈশানের জন্মের পর প্রথম প্রকাশ্যে আসেন নুসরত। ঈশানের বাবার প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, 'সন্তানের বাবাই জানে, বাবা কে। আমি এবং যশ দারুণ সময় কাটাচ্ছি। এই সময়টা ভীষণ উপভোগ করছি আমরা দু'জনে। ঈশানের জন্য আমাদের সব নিয়ম বদলে গিয়েছে।'
এই মন্তব্যের মাধ্যমেই যেন ঈশানের বাবার সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নুসরত। আর সঠিক সময় আসলেই যে সেকথা সবাই জানতে পারবেন তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
নুসরতের গর্ভাবস্থায় তাঁর খেয়াল রেখেছিলেন যশ। এমনকী, ঈশানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ও অভিনেত্রীর সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর পৌরনিগমে তাঁদের উপস্থিতি নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।