- Home
- Entertainment
- Bollywood
- Sara Ali Khan: মা-বাবার ডিভোর্স হলেই সন্তানের জীবন নষ্ট হয় না, বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সারা
Sara Ali Khan: মা-বাবার ডিভোর্স হলেই সন্তানের জীবন নষ্ট হয় না, বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সারা
১৯৯১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সইফ আলি খান ও অমৃতা সিং। নব্বইয়ের দশকে নবাবপুত্র সইফ আলি খানের বিয়ে নিয়ে যেমন ঝড় উঠেছিল বি-টাউনে, ঠিক বিবাহ-বিচ্ছেদের খবরেও নড়ে গিয়েছিল টিনসেল টাউন। মাত্র ২০ বছরে বয়সে অমৃতার সঙ্গে সংসার পেতে ২ সন্তানের জন্ম দিয়েও বৈবাহিক সম্পকে দাড়ি টেনেছিলেন সইফ আলি খান। বর্তমানে চার সন্তানের বাবা সইফ আলি খান। সম্প্রতি বাবা সইফ আলি খান এবং মা অমৃতা সিংয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সারা আলি খান।
| Published : Jan 29 2022, 10:27 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সইফ আলি খান ও অমৃতা আরোরার বিবাহবিচ্ছেদের খবর নিয়ে আজও সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। বয়স মাত্র ২০। প্রেম থেকে বিবাহের সম্পর্কে এত ছোট বয়সে বোধহয় সইফই প্রথম পা দিয়েছিলেন। তারপর ২সন্তানের বাবা হয়েও সেই পুরোনা সম্পর্ক টেকাতে পারেননি নবাব পুত্র। অচিরেই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে দাড়ি টেনেছিলেন সইফ।
১৯৯১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সইফ আলি খান ও অমৃতা সিংয়ের। নব্বইয়ের দশকে নবাবপুত্র সইফ আলি খানের বিয়ে নিয়ে যেমন ঝড় উঠেছিল বি-টাউনে, ঠিক বিবাহ-বিচ্ছেদের খবরেও নড়ে গিয়েছিল টিনসেল টাউন।
২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সইফ আলি খান। সম্প্রতি বাবা সইফ আলি খান এবং মা অমৃতা সিংয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সারা আলি খান। অভিনেত্রী বলেছেন,একই বাড়িতে দুজন মানুষ একসঙ্গে সুখী হতে না পারলে আলাদা বাড়িতে থাকলে যদি তারা সুখী থাকে তাহলে তাদের তাই করা উচিত।
এবারও বাবা সইফ আলি খান এবং মা অমৃতা সিংয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সারা আলি খান। কী কারণে ২ সন্তান থাকার পরও বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা ফাঁস করলেন সারা আলি খান।
সম্প্রতি সারা জানিয়েছেন, আমি আমার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে একসঙ্গে থাকি। মা আমার সবকিছু। তবে বাবার সঙ্গেও দারুণ বন্ধুত্ব। যখনই ফোন করি বাবাকে পাই কিংবা ইচ্ছা হলে বাবার কাছে গিয়েও ঘুরে আসি।
সারা বলেন, আসলে সত্যি বলতে কী মা ও বাবা দুজনে একসঙ্গে মোটেই সুখী ছিলেন না। ওনাদের খুশি থাকার মেজাজটাই হারিয়ে গিয়েছিল। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তই ভাল বলে আমার মনে হয়। এতে ওরাই যেমন ভাল রয়েছে তেমনই আমি ও ভাই দিব্যি আছি।
সারা বলেন, যে কোনও দম্পতির কাছে দুটি অপশন থাকে। প্রথম নিজেরা ভাল না থেকেও সারাজীবন একসঙ্গে থাকা। এবং দ্বিতীয়টি হল বিবাহবিচ্ছেদ। আর মা ও বাবা সেটাই করেছে। এখন সকলেই খুশিতে রয়েছেন।
সারা বলেন,গত ১০ বছরে মা-কে হাসতে দেখিনি। কিন্তু সইফের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই মা অনেক বেশি প্রাণোচ্ছ্বল। সারার মতে, বাবা ও মায়ের বিচ্ছেদ হলেই সন্তানের জীবন নষ্ট হয়ে যায় না। বরং বাবা ও মা আলাদা থেকে খুশ হলেও সন্তানের জীবনে আনন্দ আসে।
১৯৯১ সালে অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় সইফ আলি খানের। তারপর ২০০৪ সালেই বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদের ৮ বছর পর ২০১২ সালে করিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সইফ আলি খান। বতর্মানে ২ সন্তান তৈমুর ও জেহকে নিয়ে সুখী পরিবার করিনা-সইফের।
উল্লেখ্য, সইফের দ্বিতীয় স্ত্রী অর্থাৎ সারার সৎ মা করিনা কাপুরের সঙ্গে বেশ ভাল সম্পর্ক রয়েছে সারার। মাঝেমধ্যেই তাদের শপিং, রেস্টুরেন্টেও দেখা যায়। এমনকি গত বছর করিনার রেডিও শো হোয়াট ওম্যান ওয়ান্ট-এও হাজির হয়েছিলেন সারা আলি খান।