রিয়ার পরই সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছলেন সুশান্তের বাবা, ক্যাভিয়েট দাখিল পরিবারের
- FB
- TW
- Linkdin
সুশান্তের মৃত্যুতে একাধিক অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রেমিকা রিয়ার দিকে। এবার পুরোনো সমস্ত অভিযোগকেও ছাপিয়ে গেছে সুশান্তের বাবার করা গতকালের অভিযোগ। সুশান্তের মৃত্যুর আগেই কোটি কোটি টাকা ঘায়েব করে সরিয়ে নিয়েছিল প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। প্রায় ১৫ কোটি টাকা সুশান্তের ব্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন রিয়া । অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ১৬ দফা বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন অভিনেতার বাবা।
রিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রজু হওয়ার পরই নিজের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী। এফআইআর দায়ের হওয়ার পরই গভীর রাতেই আইনজীবীকে ডেকে পাঠান অভিনেত্রী। সুশান্তের বাবার অভিযোগের পরই অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য আবেদন করেছেন বলে খবরে জানা গেছে।
রিপোর্টে আরও জানা গেছিল আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী রিয়া। এবং তার সঙ্গে কথা বলেই জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, পালঘর হত্যাকান্ড এবং ১৯৯০ সালে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তর আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছিলেন সতীশ মানশিন্ডে। এমনকী সলমন খানেরও একাধিক মামলায় তিনি লড়েছিলেন। এবার আইনি বিপাক থেকে বাঁচতে সেই আইনজীবীর কাছেই গেলেন রিয়া চক্রবর্তী।
শুধু তাই নয় গতকালই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন রিয়া চক্রবর্তী, যাতে পাটনা পুলিশের থেকে মুম্বই পুলিশের হাতে এই মামলার তদন্তভার স্থানাস্থরিত করা হয়।
শারীরিক অবস্থা ভাল নেই বলে সুশান্তের বাবা মুম্বইয়ে গিয়ে মামলা দায়ের করতে পারেননি। ইতিমধ্যেই তার এফআইআর-এর ভিত্তিতে বিহার থেকে চারজন সদস্যের তদন্তকারী দল তদন্তের জন্য মুম্বইয়ে এসেছে। তাদের প্রশ্নের মুখেই পড়তে চলেছে রিয়া, এমনকী গ্রেফতারির সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই তড়িঘড়ি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেত্রী।
তবে সূত্র থেকে জানা গেছে, সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত যাতে সুস্থভাবে হতে পারে তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন সুশান্তের বাবা।
এক তরফা শুনানি আটকাতেই সুপ্রিম কোর্ট ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে প্রয়াত অভিনেতার পরিবার। রিয়ার পিটিশন শোনার আগে যাতে সুশান্তের পরিবারের পক্ষের কথা শোনে কোর্ট, সেকথা বলা হয়েছে ক্যাভিয়েটে।
ইতিমধ্যেই বিহার পুলিশের তদন্তকারী দল সুশান্তের দিদি মিতু সিং ও তার পরিচারিকার নতুন বয়ানও রেকর্ড করেছে। তাদের নতুন বয়ানে বেশ কিছু নয়া তথ্য পেয়েছে বিহার পুলিশ।
সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, যদি রিয়া সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন, তাহলে ওনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে আবেদন করা উচিত ছিল। এফআইআর পাটনায় দায়ের করা হয়েছে। তাহলে উনি কেন কেস মুম্বইতে ট্রান্সফার করতে বলছেন? এর থেকে কী প্রমাণ করছেন যে মুম্বই পুলিশের কেউ ওনাকে সাহায্য করছে।