- Home
- Entertainment
- Bollywood
- বুম্বা দা মানেই ইন্ডাস্ট্রি, নিজের কাঁধে টলিউডের বাণিজ্যের মোড় ঘুরিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ
বুম্বা দা মানেই ইন্ডাস্ট্রি, নিজের কাঁধে টলিউডের বাণিজ্যের মোড় ঘুরিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ
- FB
- TW
- Linkdin
এখন কমার্শিয়াল ছবির নাম শুনলেই অনেক এলিট ক্লাসের সিনেপ্রেমীরা নাক শিঁটকোয়।
অথচ সেই গলায় গামছা দিয়ে গ্রামের মাঠে ঘাটে নাচের কিংবা মারপিটের দৃশ্য শ্যুট করে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের বাণিজ্যকে টেনে তুলেছিলেন প্রসেনজিৎ।
আজ হয়তো তাঁকে সেই ধরণের ছবিতে দেখা যায় না, অভিনেতার কথায়, এখন আর সেই সময়টা নেই তাঁর ওই ধরণের করার, তবে তিনি আজও সেই সোনালি দিনগুলির জন্য কৃতজ্ঞ।
বাংলার মানুষ ২০০২, ২০০৩ সাল অবধিও প্রসেনজিৎকে সেই শশুড়বাড়ি জিন্দাবাদ, অমরসঙ্গী এই ধরণের ছবির জন্যই চিনত।
গ্রামে গঞ্জে তাঁর ছবির জন্য ভিড় উপচে পড়ত। অভিনেতাও এ কথা অস্বীকার করেন না কখনই যে সে সকল মানুষের থেকে তিনি অগাদ ভালবাসা পেয়েছেন।
প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি তখন হিট। একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে মুগ্ধ করেছিলেন সিনেপ্রেমীদের।
তখন তাঁকে ছাড়া ইন্ডাস্ট্রির আর কোনও অভিনেতার দিকে তাকানোও ছিল বিপদ।
কারণ দর্শক সেই দেড় দর্শক প্রসেনজিৎ ছাড়া আর কাউকেই তখন তেমন হিরো হিসেবে দেখত না।
আজ বাণিজ্যিক ছবি না করলেও আজও তিনি দর্শকের মনের মণিকোঠায়।
ছেলেবেলার সময় থেকেই লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের সঙ্গে সাবলিল তিনি।
'ছোট্ট জিজ্ঞাসা'র প্রসেনজিৎকে দেখে আজও সিনেমোদীরা একই রকমভাবে মুগ্ধ হয়।
এখন তাঁর ঝুলিতে 'প্রাক্তন', 'গুমনামি', 'বাইশে শ্রবাণ'র মত ছবি। যেখানে এখনকার অভিনেতার সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে অভিনয় করে চলেছেন।
প্রসেনিজতের বৈচিত্রময় চলচ্চিত্র জীবন আজও অনুপ্রেরণা দিয়ে চলেছে অসংখ্য উঠতি তারকাদের।
টলিউডের মহিরূহ বলতে তাঁকেই চেনে একাধিক দর্শক। এমনকি এখনও বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বুম্বা দাকে অনুপ্রেরণার হিসেবেই দেখে।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সৃজিৎ মুখোপাধ্যায়ের পছন্দের অভিনেতার মধ্যে তাঁর নাম প্রথমেই। কেবল তাই নয়, দর্শকের পছন্দের তালিকায় প্রসেনজিৎই প্রথম।