কত কোটি টাকার মালিক সইফ আলি খান, অভিনেতার মাসিক রোজগার শুনলে আঁতকে উঠবেন
- FB
- TW
- Linkdin
দীর্ঘদিনের প্রেম পরিণতি পায় ২০১২ সালে। তারপর থেকে দীর্ঘ বছর ধরে চুটিয়ে সংসার করছেন নবাব কাপল করিনা-সইফ। ৫০ বছরে ফের সন্তানের বাবা হয়েছেন সইফ। বিয়ে-সন্তান-সম্পর্ক নিয়ে সবসময়েই লাইমলাইটে থাকেন সইফিনা জুটি।
এখন ৩ থেকে ৪ সইফিনা। পতৌদির নবাব যেন বলিউডের অ্যাংরি ইয়াং ম্যান। ৪ সন্তানের বাবা হওয়ার পরও নিজেকে যেন কঠোর ভাবে ধরে রেখেছেন সইফ। বলিউডে প্রায় তিন দশকের দীর্ঘ কেরিয়ার, পতৌদির নবাব সইফ আলি খান বলিউডের অ্যাংরি ইয়াং ম্যান।
বলিউডে খানদের মধ্যে নবাব কিন্তু এই একজনই। বলি অভিনেতা সইফ আলি খান শুধু পতৌদির নবাব নন, বলিউডেরও নবাব বলা হয় থাকে। একাধিক ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি বহু বিজ্ঞাপনেরও জনপ্রিয় মুখ সইফ আলি খান।
দামী গাড়ি থেকে বাড়ি তো রয়েইছে। একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে সইফের পতৌদি প্যালেসের বর্তমান বাজারদর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। তবে এই পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধার করতে মোটা টাকা ব্যায় করতে হয়েছে সইফকে। কারণ একটি হোটেল চেনকে লিজে দেওয়া ছিল এই প্রপার্টি।
ছবি, বিজ্ঞাপন থেকেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন সইফ আলি খান। ছবি কিংবা বিজ্ঞাপন প্রতি কত পারিশ্রমিক নেন পতৌদির নবাব, মাসিক কত টাকাই বা রোজগার করেন। মিলিয়ে মোট কত কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক সইফ আলি খান, তা প্রকাশ্যে আসতেই চোখ কপালে উঠেছে ভক্তদের।
২০২২ সালের রিপোর্চ অনুসারে সইফ আলি খানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১১৮০ কোটি টাকা। বছরে ৩০ কোটি টাকা রোজগার করেন সইফ আলি খান এবং প্রতি মাসে ৩ কোটি টাকা রোজগার করেন পতৌদির নবাব।
রিপোর্টে জানা গেছে, ১০-১৫ কোটি টাকা আয় করেন প্রতি ছবি থেকে। অন্যদিকে বিজ্ঞাপনী প্রচার থেকে ১ থেকে ৫ কোটি আয় করেন সইফ আলি খান। এছাড়াও পতৌদির নবাব সইফের পূর্বপুরুষের বিশাল সম্পত্তি রয়েছে। সূত্র বলছে হরিয়ানার পতৌদি প্যালেস এবং ভোপালে পৈতৃত সম্পত্তি সব মিলিয়ে অভিনেতার ৫০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।
তবে এত টাকার মালিক হওয়া সত্ত্বেও তা সন্তানদের কাউকেও কিছু দিতে পারবেন না অভিনেতা সইফ আলি খান। এর পিছনে রয়েছে একটি বড় কারণ। সইফ আলি খানের সমস্ত পৈতৃক সম্পত্তি ভারত সরকারের শক্র বিরোধ আইনের আওতায় পড়ে। এই আইন মতে, কোনও ব্যক্তি সম্পত্তির উপর দাবি করতে পারবেন না।
কেউ যদি এর বিরোধিতা করে নিজের সম্পত্তি বলে মনে করে তাহলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে। তবে হাইকোর্টে সুরাহা না হলে সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারেন ওই ব্যক্তি। যদি সুপ্রিম কোর্টেও এই সম্পত্তির কোনও সমাধান না হয় তাহলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণার অধিকার শুধুমাত্র দেশের রাষ্ট্রপতির হাতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, সইফের প্রপিতামহ হামিদুল্লাহ খান ব্রিটিশ আমলের নবাব যিনি তার কোনও সম্পত্তির উইল করেননি। এই কারণের জন্য পরিবারিক অশান্তি রয়েছে। এই বিশেষ কারণের জন্যই ৫০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তা কোনও ছেলে-মেয়েকেই দিতে পারছেন না পতৌদির নবাব সইফ আলি খান।