- Home
- Entertainment
- Bollywood
- Rekha Secret - গোপনে চলত উদ্দাম Romance, প্রতারণা সহ্য করতে না পেরেই কি সঙ্গমের পর্দাফাঁস করেছিলেন রেখা
Rekha Secret - গোপনে চলত উদ্দাম Romance, প্রতারণা সহ্য করতে না পেরেই কি সঙ্গমের পর্দাফাঁস করেছিলেন রেখা
- FB
- TW
- Linkdin
তিনি বরাবরই সাহসী, গতে বাধা সমীকরণ থেকে বেরিয়ে নিজের ছন্দে তিনি সাবলীল। তাকে নিয়ে রয়েছে হাজারো বির্তক, সমালোচনাও চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। তিনি হলেন বলিউডের এভারগ্রীন অভিনেত্রী রেখা (Rekha)।
এখনও পর্যন্ত এই প্রজন্মের নায়িকাদেরও টক্করে এগিয়ে রেখা।বলি আইকনের ক্যারিশ্মার জাদুতেই মুগ্ধ আট থেকে অষ্টাদশী। মোহময়ী এই নায়িকার রিল লাইফের প্রেমিকাস্বত্ত্বা ছিল রিয়েল লাইফেও।
বলিউডের উমরাওজানের ব্যক্তিগত জীবনটাও ছিল চলচ্চিত্র জীবনের মতোই ঝা চকচকে । নিজের অবস্থান ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সবসময়েই সচেতন ছিলেন এই অভিনেত্রী। আজও অমলিন তার ম্যাজিক।
সত্তর থেকে নব্বই-অসংখ্য নায়কের বিপরীতে অভিনয় করে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রেখা। সত্তর থেকে নব্বই-অসংখ্য নায়কের বিপরীতে অভিনয় করে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রেখা (Rekha)। বলিউডের অমর প্রেমের জুটি বলতে গেলেই প্রথমেই উঠে আসে রেখা এবং অমিতাভের (Amitabh Bachchan) নাম।
কখনও নায়ক তো কখনও ব্যবসায়ী একের পর এক সম্পর্কে জড়িয়ে উঠে এসেছে একাধিক নাম। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে অমিতাভের স্থান শেষের দিকে। পুরুষকে আকৃষ্ট করতে রেখার (Rekha) জুড়ি মেলা ভার। যা নিয়ে এখনও অনেক গুঞ্জনই শোনা যায়।
সালটা ১৯৭৬। 'দো আনজানে' ছবির শুটিং চলাকালীন তাদের প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়। তারপর সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠলেই কখনও স্বীকার করেননি অমিতাভ। এমনকী ১৯৮৪ সালে ফিল্মফেয়ারে তাদের ডেটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সময়েও অমিতাভ রেখার সঙ্গে সম্পর্কে অস্বীকার করেছিল।
অমিতাভ যখন বারেবারে নিজেদের সম্পর্ক অস্বীকার করছিলেন তখন রেখা জানিয়েছিলেন, নিজের ইমেজ রক্ষার করা জন্যই তিনি এটা অস্বীকার করছেন। এমনকী অমিতাভের প্রতি তার ভালবাসা, অনুভূতি সম্পর্কে লোকে কী ভাবেন, তাতে তিনি কিছু মাথা ঘামান না।
রেখা আরও বলেছেন, নিজের ইমেজ ধরে রাখতে, নিজের পরিবার বাঁচাতে, নিজের বাচ্চাদের কথা ভেবেই তিনি কোনদিন সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। সুতরাং আমাদের সম্পর্ক নিয়ে পাবলিক কে কী ভাবছে তাতে আমার কিছু জানার নেই। আমি ওকে ভালবাসি, সেও আমাকে, এটাই যথেষ্ঠ। কারোর কোন ভাবনার গুরুত্ব নেই আমার কাছে।
সাক্ষাৎকারে রেখা আরও জানিয়েছিলেন, অমিতাভ যদি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে জানাতেন তাহলে আমি খুবই দুঃখ পেতাম। তিনি প্রকাশ্যে কী বলেছেন এটা নিয়ে আমার এত ভাবনার কিছু নেই। অনেকেই হয়তো এটা শোনার পর বলবে বেচারি রেখা, ওর প্রতি এতটাই পাগল, কিন্তু আমি এটাই শুনতে ভালবাসি। অমিতাভ কখনওই কাউকে দুঃখ দেয়নি। তাহলকে বউকেই বা কেন দেবে বলেছিলেন রেখা।
কিন্তু গ্ল্যামার কুইনের এই সম্পর্কও বেশিদিন টেকেনি। দিল্লীর শিল্পপতি মুকেশ আগরওয়ালের সঙ্গে ১৯৯০ সালে বিয়ে হয় রেখার। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই আত্মহত্যা করে মুকেশ। এখানেই শেষ নয়, একের পর এক সম্পর্ক এসেই গেছে তার জীবনে। মন দেওয়ার মধ্যেই কখনও কেউ ছেড়ে চলে গেছে আবার কখনও নিজে কাউকে ছেড়ে চলে এসেছেন এই বলি ডিভা।
সমালোচনা আজও যেন তার পিছু ছাড়ে না। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতুহলী দর্শক। বলিউডের হাজারো অভিনেত্রীর জৌলুস আজও তাকে ফিকে করতে পারে নি। হাজারো প্রেমের ভিড়ে তিনি আজও চির নতুন, চির যৌবনা বলিউডের এভারগ্রীন রেখা।