চোখের জলেই ভাইকে শেষ বিদায় সাজিদের, ইরফানের পাশে চিরনিদ্রায় ওয়াজিদ
ভাই সাজিদকে একা রেখে চিরঘুমে চলে গেলেন বিখ্যাত সুরকার ও গায়ক ওয়াজিদ খান। বলি অভিনেতা ইরফান খান এবং ঋষি কাপুরের মৃত্যুর এক মাস কাটতে না কাটতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ওয়াজিদ খান। বয়স মাত্র ৪২। থেমে গেল তার সুরের জাদু। কয়েকদিন আগে বলি অভিনেতা ইরফানের খানের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। আর আজ তারই পাশে চিরঘুমে শায়িত ওয়াজিদ। ভাইয়ের মৃত্যুতে বড্ডই যেন একা হয়ে গেলেন সাজিদ আলি। চোখের জলে শেষ বিদায় জানালেন জনপ্রিয় গানের স্রষ্টাকে। দেখে নিন শেষ যাত্রার ছবিগুলি।
- FB
- TW
- Linkdin
ফের ইন্দ্রপতন বলিউডে। সাতসকালেই সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন বিখ্যাত সুরকার ও গায়ক ওয়াজিদ খান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪২ বছর। গতকাল গভীর রাতেই মুম্বইতে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। তার এই অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা টিনসেল টাউনে।
ভাইয়ের মৃত্যু কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না সাজিদ। শেষযাত্রায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। চোখের জলেই ওয়াজিদকে চির বিদায় জানালেন সাজিদ।
মুম্বইয়ের ভারসোভা কবরস্থানে বলি অভিনেতা ইরফান খানের পাশে চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন ওয়াজিদ।
ঠিক এক মাস আগেই অভিনেতা ইরফান খানের মৃত্যুতে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন ওয়াজিদ। আজই তার পাশেই শুয়ে রয়েছেন তিনি। আজ হয়তো তাদের আবার দেখা হবে, তবে এখানে নয়, অনেক দূরে।
ইরফানের মৃত্যুতে ওয়াজিদ লিখেছিলেন, 'কানামাছি খেলায়, একজন শুধু খুঁজেই যায়, অন্যজন কিছুতেই ধরা দিতে চায় না, ফাঁকি দিয়ে চলে যায়।' ইরফানের উদ্দেশ্যে করা এই টুইটে দেখেই ভক্তরা চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না।
লকডাউনের মধ্যে তার শেষ যাত্রায় বলি অভিনেতা তথা পরিচালক আদিত্য পাঞ্চালিকে দেখা গেছে।
ভাইয়ের স্মৃতি আকড়েই বসে রইলেন সাজিদ। ভাই আর কোনওদিন ফিরে আসবে না। ভাইয়ের এই অকাল মৃত্যুতে বড় ধাক্কা পেলেন তিনি।
বলিউডের ভাইজান সলমনের হাত ধরেই বি-টাউনে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল সাজিদ-ওয়াজিদের। সালটা ১৯৯৮। 'প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া'- ছবিতে এই জনপ্রিয় জুটিকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন সলমন খান। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সাজিদ-ওয়াজিদকে। আজ যেন বড্ডই একা হয়ে গেলেন সাজিদ।
'দাবাং', 'গর্ব', 'মুঝসে শাদি কারোগি', 'সাওয়ান', 'পার্টনার', 'বীর', 'নো প্রবলেম'-এর মতো বহু ছবিতে সাজিদ-ওয়াজিদ সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ওয়াজিদ। কিছুদিন আগে কিডনি প্রতিস্থাপনও করা হয়েছিল। তারপরই তার লালারস পরীক্ষা করাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে।
এরপর থেকে শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। অবশেষে মুম্বইয়ের চেম্বুরের সুরানা হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। কিডনি থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছিল ওয়াজিদের। চারদিন ভেন্টিলেটরে থেকেও এত রোগের ধাক্কা নিতে পারেননি ওয়াজিদ।