- Home
- Entertainment
- Bollywood
- 'হুমকি দিয়ে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করাতে চেয়েছিল', চিত্রাঙ্গদার হেনস্তা বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি নওয়াজুদ্দি
'হুমকি দিয়ে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করাতে চেয়েছিল', চিত্রাঙ্গদার হেনস্তা বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি নওয়াজুদ্দি
নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকির 'বাবুমশাই বন্দুকবাজ' ছবিতে অভিনেত্রী বিদিতা বাগের 'ফুলওয়া' অত্যন্ত সাহসি একটি চরিত্র ছিল। যার জেরে তাঁর অভিনয়ের প্রশংসার পুল বেঁধেছিল চলচ্চিত্র সমালোচকরা। তবে এই চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল চিত্রাঙ্গদা সিংয়ের। কথামত শুরুও হয়ে গিয়েছিল ছবির শ্যুটিং। মাঝপথে হঠাৎ ছেড়ে দেন ছবিটি। কেন ছেড়ে দেন , সেই কারণ নিয়েও সেই সময় মুখ খোলেননি চিত্রাঙ্গদা। ২০১৬ সালের ছবি নিয়ে ২০১৮ সালে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। তনুশ্রী দত্তের বলিউডে শুরু করা মিটু আন্দোলনের সময় চিত্রাঙ্গদা জানান, তাঁকে বাবুমশাই বন্দুকবাজের সেটে রীতিমত হেনস্তা হতে হয়, যার কারণেই ছবিটি মাঝপথে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি।
| Published : May 30 2020, 12:07 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
পরিচালক কুশন নন্দীর এই ছবিতে তাঁকে কেবল হেনস্তা করা হয় তাই নয়, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য শ্যুট করার সময়, নানা কুমন্তব্যও শুনতে হয়। এবং চিত্রাঙ্গদার কথামত, নওয়াজ তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসেননি।
চিত্রনাট্যে যে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের কথা লেখা ছিল, শ্যুটিংয়ের সময় একেবারে ভিন্ন কিছু ব্রিফ করা হয়েছিল চিত্রাঙ্গদাকে। পরিচালক তাঁকে বলেন, শাড়ি খুলে হিরোর উপর চেপে বসতে, তারপর হিরোর সঙ্গে অপ্রীতিকরভাবে ঘনিষ্ঠ হতে বলা হয়।
এই নিয়ে বচসা বাঁধে অভিনেত্রী এবং পরিচালকের মধ্যে। সেই সময় নওয়াজ কেবল দাঁড়িয়ে মজা দেখছিলেন বলেই জানান চিত্রাঙ্গদা। একবারের জন্যও তাঁর সমর্থনে আওয়াজ তোলেননি।
চিত্রাঙ্গদা বলেন, "আমি প্রায় হাতে পায়ে ধরি ওদের। বারবার বলেছিলাম আমার কমফার্ট জোনের বাইরে এটা। আমার পক্ষে কিছুতেই এমন দৃশ্যে অভিনয় করা সম্ভব নয়। আমি শাড়ির নিচে শুধুমাত্র সায়া পরেছিলাম। পরিচালক বলল বিষয়টি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি না করে যা করতে বলা হচ্ছে তাই করতে।"
তিনি আরও জানান, "আমায় রীতিমত হেনস্তা করা হয়, অপমান করা হয়। একরকম হুমকিও দেওয়া হয়েছিল আমায়। কোনও প্রকারে এই দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ওনারা।"
"নওয়াজ ওখানে চুপচাপ বসেছিলেন। ঘটনাটি শুরু থেকে দেখলেন, কিন্তু মুখে রা কাটলেন না। উনি অপেক্ষা করছিলেন, কখন সমস্যা মিটবে আর আবার শ্যুটিং শুরু হবে।"
তিনি ছবির প্রযোজকের বিষয়ও বলেন, এ কথা সত্যি যে মেয়েরাই মেয়েদের চরম শত্রু। প্রযোজক একজন মহিলা হয়েও আমার হয়ে একটাও কথা বলেননি।
যদিও পরবর্তীকালে চিত্রাঙ্গদার এই অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করে কুশন নন্দীর বিজনেস পার্টনার করিণ শ্রফ। এমন কিছুই নাকি হয়নি বলেই জানিয়েছিলেন তিনি।
তাঁর কথায়, "চিত্রাঙ্গদা চেয়েছিলেন চিত্রনাট্যে বদল আনতে। যা সম্ভব ছিল না কোনও মতেই। আমরা ওনাকে সরাসরি বারণ করে দেওয়ার পর উনি ছবিটি ছেড়ে চলে যান।"
কিরণ এও বলেন, "আপনারা কি জানেন, ছবিটি ছেড়ে দেওয়ার পরও চিত্রাঙ্গদা নওয়াজকে মেসেজ করতেন। নওয়াজকে অনুরোধ করতেন যাতে উনি আমায় এবং কুশনকে বলে চিত্রনাট্যে বদল আনতে। নওয়াজের সঙ্গে যদি ওনার সমস্যাই থেকে থাকে, তাহলে ওনাকে মেসেজ করতেন কেন চিত্রাঙ্গদা।"