- Home
- Entertainment
- Bollywood
- যৌনমিলনের পরও চলত অকথ্য শারীরিক নির্যাতন, নিজের ভুলেই চরম সর্বনাশ ডেকে এনেছিলেন ঐশ্বর্য
যৌনমিলনের পরও চলত অকথ্য শারীরিক নির্যাতন, নিজের ভুলেই চরম সর্বনাশ ডেকে এনেছিলেন ঐশ্বর্য
- FB
- TW
- Linkdin
বলিউডের প্রথম সারির তাবড় তাবড় অভিনেত্রীরা তাদের ফিল্মি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন দক্ষিণী সিনেমা দিয়েই। বলিউডে আসার আগে বেশ কয়েকটি দক্ষিণী ছবিতেই নজর কেড়েছিলেন ঐশ্বর্য। প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনও নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তামিল ছবি দিয়ে। ১৯৯৭ সালে মনিরত্নমের ছবি 'ইরুভার'-এ তাকে প্রথম দেখা গিয়েছিল।
বলিউডে পা রাখার পর হাম দিল দে চুকে সানাম, তাল, দেবদাস, তাল, জোশ মহব্বতে, একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া। সমস্ত পরিচালক-প্রযোজকরাই তাদের ছবিতে কাস্ট করতে চাইছিলেন ঐশ্বর্যকে। তাকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেয় দর্শকমহলে।
বলিউডের প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। বি-টাউনে একের পর এক অভিনেতার সঙ্গে বারবার নাম জড়িয়েছে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। অভিনয় থেকে রিলেশন সবসময়েই লাইমলাইটের শীর্ষে থেকেছেন বচ্চন বধূ। কেরিয়ার যখন মধ্যগগণে,তখনই 'হাম দিল দে চুকে সনম' সিনেমায় সলমন খানের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন ঐশ্বর্য। বি-টাউনে তখনও সেভাবে জমি পাকাতে পারেন নি ঐশ্বর্য। অন্যদিকে সলমন বেশ প্রতিষ্ঠিত।
কেরিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সবেতেই সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন সলমন। কেরিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনের টালমাটাল পরিস্থিতিতেই বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। যার ফলে গোল্ডেন কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যায় সহজেই। শুধু তাই নয়, নিজের ভুলেই চরম সর্বনাশ ডেকে এনেছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।
১৯৯৯ সালে হাম দিল দে চুকে সানম সিনেমার সাফল্যের পরেই পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি তার স্বপ্নের প্রজেক্ট বাজিরাও মস্তানি সিনেমায় সলমন-ঐশ্বর্যকে কাস্ট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তা করতে রাজি হননি ঐশ্বর্য। পরে ২০১৫ সালে রণবীর-দীপিকা ছবিতে অভিনয় করেছিল।
'ভুল ভুলাইয়া' ছবির অফারও প্রত্যাখ্যান করেছিল ঐশ্বর্য। যেটি সুপারহিটের তকমাও পেয়েছিল।'কুচ কুচ হোতা হ্যায়' ছবিটির অফারও করা হয়েছিল ঐশ্বর্যকে। কিন্তু তাতেও রাজি হননি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। পরে ছবিটিতে রানি মুখার্জি অভিনয় করেছিল।
মধুর ভান্ডারকরের 'হিরোইন' ছবিরও অফার গিয়েছিল ঐশ্বর্যর কাছে। শুটিং শুরু করে গর্ভাবস্থার কারণে তা মাঝপথে ছেড়ে দেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। 'মুন্নাভাই এমবিবিএস' ছবির প্রাথমিক লিড কাস্ট ছিলেন শাহরুখ খান ও ঐশ্বর্য। সেই ছবি সুপারহিটের তকমা পেলেও ঐশ্বর্য করতে রাজি ছিলেন না।
'বীর-জারা' ছবির অফারেও রাজি হননি ঐশ্বর্য। পরে ছবিটিতে শাহরুখের বিপরীতে রানি মুখার্জি অভিনয় করেছিল। 'দোস্তানা' ছবিতেই ঐশ্বর্য-অভিষেকের করার কথা ছিল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে ছবি করতে নারাজ ছিলেন রাই সুন্দরী, যা পরে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া অভিনয় করেছিল।
'চলতে চলতে' ছবিতেও ঐশ্বর্য-শাহরুখ মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে লড়াইয়ের কারণে তা করতে রাজি ছিলেন না ঐশ্বর্য। 'রাজা হিন্দুস্তানি'র মতো সুপারহিট সিনেমায় পরিচালকের পছন্দ ঐশ্বর্য থাকলেও তা করতে রাজি হননি রাই সুন্দরী। মধুর ভান্ডারকরের আরও একটি ছবি 'কর্পোরেট' প্রত্যাখ্যান করেছিল ঐশ্বর্য। যা পরে বিপাশা বসু অভিনয় করেছিল।
একবার নয়, একাধিকবার সঙ্গমের পরেও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ঐশ্বর্য। যদিও সলমন একথা আজও স্বীকার করেননি।ঐশ্বর্য নিজেও আর এই সম্পর্ক রাখতে চাননি। এমনকী তার পরিবারও সলমনকে মেনে নেয় নি।
'কুছ না কাহো' ছবির সেটে গিয়েও অসভ্য আচরণ করেছিলেন সলমন। ছবিতে ঐশ্বর্যর বিপরীতে অভিষেককেই দেখা গিয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রির সকল অভিনেতাদের সঙ্গেই ঐশ্বর্যকে সন্দেহ করতেন সলমন। তারপর তাদের বিচ্ছদের খবরে উত্তাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।