পরিকল্পনা করেই সলমনকে খুনের চেষ্টা, অবশেষে পুলিশের জালে 'মাস্টারমাইন্ড'
যে কোনও সময়েই খুন হয়ে যেত পারেন সলমন খান। দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা করে খুন করার চেষ্টা চলছে বলিউডের ভাইজানকে। সলমনের বান্দ্রার বাড়ির ওপরও চলছিল নিয়মিত নজরদারি। এমনকী রেইকি পর্যন্তও করা হয়েছিল সলমনের বাড়িতে। কোথায়, কখন যাচ্ছেন, কে কখন আসছে ভাইজানের বাড়িতে সবকিছুর উপরই চলত কড়া নজরদারি। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নই উঠে আসছে সকলের মুখে। বি-টাউনের মোস্ট পপুলার চিরকুমার সলমনকে নিয়ে চর্চা সবসময়েই চলে আসছে। ব্যক্তিগত কারণেই হোক কিংবা সিনেমার জন্যই হোক সর্বদাই লাইমলাইটের শীর্ষে থাকেন সলমন। তবে কিসের রোষের কারণে ভাইজানকে খুন করার পরিকল্পনা চলছিল তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।
- FB
- TW
- Linkdin
একাধিক অভিনেত্রীদের সঙ্গেই নাম জড়িয়েছে সলমন-এর। রিল নয়, বরং রিয়েল লাইফেও অনেকের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ ছিলেন সলমন। বি-টাউনের মোস্ট পপুলার চিরকুমার সলমনকে নিয়ে চর্চা সবসময়েই চলে আসছে।
দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা করে খুন করার চেষ্টা চলছে বলিউডের ভাইজানকে। সলমনের বান্দ্রার বাড়ির ওপরও চলছিল নিয়মিত নজরদারি। এমনকী রেইকি পর্যন্তও করা হয়েছিল সলমনের বাড়িতে। কিন্তু কেন?
চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই সলমনের গতিবিধির উপর জোরকদমে নজরদারি শুরু হয়েছিল। যে কোনও সময়েই খুন হয়ে যেত পারতেন সলমন খান, তেমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র থেকে।
দীর্ঘ জল্পনার পর পুলিশের জালে ধরা পড়লেন কুখ্যাত দুস্কৃতী রাহুল নামে ওই ব্যক্তি। গ্রেফতারের পর এমনটাই জানিয়েছেন ডিসিপি হেডকোয়ার্টার রাজেশ দুগ্গল।
ভিওয়ানির বাসিন্দা রাহুল গ্যাংস্টার লরেন্সের হয়ে কাজ করতেন। গুলি চালানোতে তিনি পারদর্শী। আর সেখানে থেকেই অন্ধকার জগতে তার আনাগোনা।
সূত্র থেকে জানা গেছে, গ্যাংস্টার লরেন্স আপাতত যোধপুর জেলে রয়েছেন। আর জেলে বসেই বলিউডের ভাইজানকে খুন করার প্ল্যান কষছেন। এবং তার এই কাজের মূল মাথাই ছিল শ্যুটার রাহুল।
সম্প্রতি জানা গেছে লরেন্সের সঙ্গে দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে সলমনের। কৃষ্ণসার হরিণ শিকার অপরাধে যে অভিযোগ রয়েছে সলমনের উপর। সেই তখন থেকেই নাকি লরেন্সের নজরে রয়েছেন ভাইজান।
দীর্ঘদিন ধরেই সল্লু ভাইকে টার্গেট করেছেন এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। জেলে বসেই নিজের দল নিয়ে সলমনকে মারার ছক কষেছেন লরেন্স।
রাহুল একাই নয়, আরও ৪ জন দুস্কৃতীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও আগে ৪ টি খুনের অভিযোগ রয়েছে রাহুলের বিরুদ্ধে।
এখানেই শেষ নয়, পুলিশের থেকে এক গ্যাংস্টারকে পালাতেও সাহায্য করেছে রাহুল। পুলিশ রাহুলের থেকে বন্দুকও উদ্ধার করেছে।