- Home
- Entertainment
- Bollywood
- আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগ থেকে ড্রাগের নেশায় বুঁদ, সঞ্জয়ের 'ডার্ক সিক্রেট' কলঙ্কিত করেছে বলিউডকে
আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগ থেকে ড্রাগের নেশায় বুঁদ, সঞ্জয়ের 'ডার্ক সিক্রেট' কলঙ্কিত করেছে বলিউডকে
- FB
- TW
- Linkdin
বলিউডের বিতর্কিত পুরুষ মানেই সঞ্জয় দত্ত সকলের শীর্ষে। ড্রাগসের নেশা থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগ কেরিয়ারের অনেকটাই জুড়ে রয়েছে তার। বরাবরই কন্ট্রোভার্সিতে থাকতে পছন্দ করেন সঞ্জয় দত্ত।
৬২-তে পা দিলেন বলিউডের মুন্নাভাই। বলিউডের মুন্নাভাই সঞ্জয় দত্তের জীবনটাই যেন একটা চলচ্চিত্র। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না। বাবার নির্দেশেই কলেজে গিয়ে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি।
সঞ্জয় দত্তের বাবা-মা দুজনেই চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গ যুক্ত ছিলেন। আর্থিক স্বচ্ছল পরিবারে কোনওদিনই অর্থের অভাব ছিল না। বাবা সুনীল দত্ত ছেলের এই বিষয়গুলি না বুঝলেও মা নার্গিস বুঝতে পেরেছিলেন। সঞ্জয়কে সন্দেহ করলেও স্বামী সুনীলকে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানাননি। পরে ভেবেছিলেন সঞ্জয় হয়তো ঠিক হয়ে যাবে।
একদম অল্প বয়স থেকেই ড্রাগসের নেশায় এতটাই বুঁদ হয়েছিলেন সঞ্জয় যে বাবা ছেলেকে সিনেমার কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেছিল। একদিন ছেলেকে প্রথম ছবির জন্য নিজের অফিসেও ডেকে পাঠিয়েছিল সুনীল দত্ত, সেই সময়ও নেশায় চুর ছিল সঞ্জয়, সেইদিন ছেলেকে ওই অবস্থায় দেখে অবাক হয়েছিল সুনীল।
আসলে বাবা-মা দুজনেই নিজেদের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। সেই সময়েই কলেজে গিয়ে গাঁজা, মদের নেশায় জড়িয়ে পড়ে সাংঘাতিক মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন সঞ্জয়। নেশার জন্য মায়ের মৃত্যুও টের পাননি অভিনেতা। পৃথিবীর এমন কোনও নেশার ওষুধ নেই যেটা আমি খাইনি, জানিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত।
ছেলের এই বদভ্যাস জেনে সকলের থেকে লুকিয়ে যেতেন নার্গিস। সঞ্জয়ের প্রথম ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই মা নার্গিস দত্তের শরীর ক্রমশ খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েই ছেলের প্রথম ছবি রকি মুক্তি পাওয়ার আগে মারা যান নার্গিস। নার্গিসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আর তখনই ১৯৮১ সালে সঞ্জয়ের প্রথম ছবি মুক্তির দিন ৪ মে নির্ধারন করা হয়েছিল।
এরপর তো রয়েছেই একাধিক নারীসঙ্গ। সূত্র বলে,৩০০-র বেশি প্রেমিকা ছিল সঞ্জয়ের। অভিনেতা হওয়ার পাশপাশি তার যৌবনের নেশায় বুঁদ ছিল হাজারও নারী। বান্ধবীর সংখ্যা হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। ষাট পেরিয়েও আজ অটুট সঞ্জু ম্যাজিক।
বলি অভিনেত্রী সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে মাধুরীর দীক্ষিতের সম্পর্ক নিয়ে জোর গুঞ্জন শোনা যায় বলিউডে। কিন্তু ১৯৯৩ সালে মুম্বই ব্লাস্টে নাম জড়ায় সঞ্জয় দত্তর। এবং তার পর থেকেই সম্পর্ক থেকে ধীরে ধীরে সরে যান মাধুরী দীক্ষিত।
১৯৯৩ সালে মুম্বই বোমা বিস্ফোরণের জন্য দায়ী গুন্ডাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক গ্রহণের অভিযোগ উঠেছিল সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে । অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে সঞ্জয়কে সন্ত্রাসবাদ ও বিশৃঙ্খলামূলক কাজের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিলে। যদিও ২ বছর পর ১৯৯৫ সালে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত।
মুক্তি পেলেও মেলেনি স্বস্তি। ২০১৩ সালে ফের মুম্বই বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে সঞ্জয়ের অবৈধ যোগ ফের সুপ্রিম কোর্টে ওঠে এবং পাঁচ বছরের জন্য কারাবাস দেওয়া হয়।
ব্যক্তিগত জীবনেও একাধিক নারীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে সঞ্জয়ের। ১৯৯৬ সালে ব্রেন টিউমারে প্রথম স্ত্রী রিচা শর্মার মৃত্যুর পর ফের ১৯৯৮ সালে মডেল রিয়া পিল্লাইকে বিয়ে করেন সঞ্জয় দত্ত। সেই বিয়েও টেকেনি । ফের ২০০৮ সালে মান্যতাকে বিয়ে করে এখনও সুখী দাম্পত্যে রয়েছেন সঞ্জয়। বর্তমানে তাদের দুই সন্তানও রয়েছে।