- Home
- Entertainment
- Bollywood
- লতা মঙ্গেশকরের পার্থিব শরীর শিবাজি পার্কে, রাষ্ট্রীয় সম্মানে শুরু শেষকৃত্য
লতা মঙ্গেশকরের পার্থিব শরীর শিবাজি পার্কে, রাষ্ট্রীয় সম্মানে শুরু শেষকৃত্য
- FB
- TW
- Linkdin
লতা মঙ্গেশকরকে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী। এদিন লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের পরই মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে শিবাজি পার্কে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্যসরকারর তরফ থেকে। এরপরই তড়িঘড়ি নিরাপত্তা বাড়ানো হয় এই স্থানে।
ঠিক সন্ধে ৬টা নাগাদ শিবাজি পার্কে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী, সেখানেই সম্মান জানান তিনি। পাশাপাশি পরিবারের সকলে, বিভিন্ন গুণীব্যক্তিদের শ্রদ্ধাজ্ঞলির পর্ব শুরু হয়। পাশাপাশি উপস্থিত পুরহিতেরা শুরু করে দেয় শেষ কৃত্যের প্রস্তুতি, শুরু হয় হোম, মন্ত্রপাঠ, মুখাগ্নীর প্রস্তুতিও শুরু হয়। এদিন শিবাজি পার্কে উপস্থিত মানুষের ঢল।
শাহরুখ খান, জাভেদ আখতর, শ্রদ্ধা কাপুর থেকে শুরু করে সচিন তেন্ডুলকর, ঠাকরে পরিবার, এমনকি উপস্থিত রয়েছে লতা মঙ্গেশকরের সম্পূর্ণ পরিবার, সকলেই এদিন লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন লতা মঙ্গেশকরের প্রতি। শেষ বেলায় পৌঁছে সম্মান জানান অনুরাধা পরওয়ালও। চোখের জলে ভাসছে গোটা দেশ।
শেষ বিদায়ে সামিল সকলেই। লতা মঙ্গেশকরের গাড়িতেই উপস্থিত ছিলেন আশা ভোঁসলে ও উষা ভোঁসলে, এদিন সকাল থেকেই পরিবারের সকলের মধ্যে ব্যস্ততা তুঙ্গে। শনিবার থেকেই জীবন-মৃত্যুর টানাপোড়েন, রবিবার গোটা দেশকে কাঁদিয়ে চির ঘুমের দেশে লতা মঙ্গেশকর। আগামী দুদিন জাতীয় শোক পালন।
চির বিদায় বেলায় চোখে জল গোটা দেশবাসীর। শুরু সুর-সম্রাজ্ঞীর শেষকৃত্য। সকলের উপস্থিতিতেই রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হচ্ছে লতা মঙ্গেশকরকে। হয়ে গিয়েছে অন্তীমসংস্কারের কাজ। লতা মঙ্গেশকরের শেষ বিদায়ে সেলেব মহলের ঢল। সামিল গোটা দেশের মানুষ। চোখের জলে ভাসছেন সকলেই। উপচে পড়া ভিড় শিবাজি পার্কে।
লতা মঙ্গেশকরকে শেষ বেলায় একবার চোখের দেখা দেখতে হাজির শত শত মানুষ। তাঁর গানে গানে এদিন সকলে জানালেন শ্রদ্ধার্ঘ। প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mageshkar Has Passed Away)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। করোনা আক্রান্ত (Corona Positive) হওয়ায় ১১ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে।
নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হন তিনি। তারপর থেকে ছিলেন আইসিইই-তেই। প্রায় একমাস ধরে হাসপাতালে লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনি। কখনও তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো হচ্ছিল, আবার কখনও খুবই খারাপ। সেভাবেই কোনওরকমে লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, গতকাল শারীরিক অবস্থার খুবই অবনতি হওয়ায় তাঁকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। তবে সেই লড়াই শেষে আর জেতা হল না তাঁর। আজ সকালেই হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
লতার প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই টুইটারে একাধিক টুইট করেছেন মোদী। তিনি লেখেন, "আমি অত্যন্ত মর্মাহত। এই শোক ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। প্রিয় দয়াময়ী লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। দেশে একটা শূণ্যতা রেখে চলে গেলেন তিনি। যা কখনও পূরণ করা সম্ভব নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁকে ভারতীয় সংস্কৃতির একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনে রাখবে, সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার এক অতুলনীয় ক্ষমতা ছিল তাঁর।"
কঠিন লড়াই দীর্ঘ ২৮ দিনের। শনিবার দুপুরেই স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতী ঘটে। তখন থেকেই চলছিল অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট। ডাক্তারের কথায় তিনি প্রাথমিক অবস্থায় টলারেট করছিলেন এই চিকিৎসা পদ্ধতি, রাতের দিকে অবস্থার উন্নতিও ঘটে। কিন্তু রবিবার ভোরেই মেলে ভয়ানক খবর, হঠাৎই স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতী ঘটায় ব্যর্থ হয় সকল চেষ্টা।