মাসিক কত টাকা বেতনে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অক্ষয়, শুনলে অবাক হবেন
জীবনের অনেক ওঠা পড়ার মধ্যে দিয়ে স্বপ্নপূরণের পথ হয় প্রসস্থ। ভাগ্যের চাকা কখন যে ঘুরে যায় তা বোঝা দায়। মানুষ কেরিয়ার একভাবে শুরু করে, শেষ হয় অন্য কোথাও,অন্য কোনও খানে। লাইট-ক্যামেরা অ্যাকশনের স্বপ্ন বুকে নিয়ে কত মানুষ বলিউডে পা রাখে, কিন্তু স্টার হওয়া হয় না। অথচ যে মানুষটা কোনও দিনই অভিনয়ের কথা ভাবতেই পারতেন না তিনি আজ বলিউডের খিলারি। কীভাবে অভিনয় জগতে এনে ফেলেছিল ভাগ্য অক্কিকে, নিজেই সেই স্মৃতি উষ্কে আজও বলেন,- 'জীবন আশার থেকে অনেক বেশি কিছু দিয়েছেন আমায়'।
- FB
- TW
- Linkdin
দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অক্ষয় কুমার, পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। দশের গণ্ডি পার হতেই আর্থিক অবস্থার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন তিনি।
স্থির করেছিলেন মার্শাল আর্ট শিখবেন। বাবাকে বলেছিলেন, তাঁকে মার্শাল আর্টের ক্লাসে ভর্তি করিয়ে দিতে। কোনও মতে টাকা জোগার করেছিলেন তাঁর বাবা। পাঠিয়ে ছিলেন ব্যাঙ্ককে।
সেখান থেকে পাঁচ বছরের শিক্ষা নিয়ে ফিরে তিনি নানা রাজ্যে ঘুরে বেড়ায়। কলকাতাতে এসে বেশ কিছুদিন ছিলেন, গিয়েছিলেন ঢাকাতেও। এরপর মুম্বইতে কুন্দন জুয়েলারির কাজ করেন তিনি।
সেখানে কয়েকদিন থাকার পর পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বই। সেখানে ছোটদের মার্শাল আর্ট শেখাতেন। এক ছাত্রর বাবা তাঁকে বলেছিলেন মডেলিং করার কথা। তিনি জানতেনই না মডেলিং কী জিনিস।
মাসে তখন অক্ষয় কুমারের রোজগার তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। এরপর কথা মত হাজির হয়েছিলেন মডেলিং-এর ফ্লোরে। এসি ছিল, ভালো খাবার ছিল, কাজের শেষে দিয়েছিল ২১ হাজার টাকা।
দতখনই স্থির করেছিলেন অক্ষয় যে তিনি মডেলিং করবেন। এরপর তিনি ছবি নিয়ে ঘুরতে থাকেন দোরে দোরে। বেশ কিছু কাজও পেয়েছিলেন তিনি। এমন সময়ই আসে সুযোগ
হঠাৎ একদিন তিনি পেয়ে গিয়েছিলেন ছবির প্রস্তাব। যা জীবনে কখনও ভাবেননি অক্কি। রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই শুরু পথ চলা।
তারপর আর কোনওদিন ঘুরে তাকাতে হয়নি। অক্ষয় কুমার জানান- জীবনে অনেক সমস্যার সন্মুখীন হলেও, জীবন তাঁকে যা দিয়েছে, তা তিনি কোনও দিনই আশা করেননি।
অক্ষয় কুমার কোনও দিন ভাবতে পারেনি রাজেশ খান্নার মেয়ে তাঁকে বিয়ে করবেন। তিনি কখনই ভাবেননি এত অল্পের মধ্যেই তিনি এত ছবি করে দসুপারস্টার হবেন। পরিস্থিতি বদলালেও অতীত আজও ভোলেননি অক্কি।