- Home
- Entertainment
- Bollywood
- 'আত্মহত্যা করেছেন বচ্চন বধূ ঐশ্বর্যা', এই মিথ্যা খবরে ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান
'আত্মহত্যা করেছেন বচ্চন বধূ ঐশ্বর্যা', এই মিথ্যা খবরে ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান
গুজব! আর এই একটা গুজবে একটা সময়ে ত্রাহি-ত্রাহি রব পড়ে গিয়েছিল। এমনিতেই বলিউড তারকাদের নিয়ে রটনার শেষ নেই। পারলে তাঁদের নিয়ে গল্পের গরু শুধু নয় গরুর গাড়়িটাকে শুদ্ধ পারলে ঠেলে কেউ কেউ গাছে উঠিয়ে দিতে চান। ঠিক এমনইকাণ্ড ঘটিয়েছিল পাকিস্তান। ২০১৬ সালে তাদের সেই গুজবে দম আটকে গিয়েছিল অর্ধেক হিন্দুস্তানের।
- FB
- TW
- Linkdin
সালটা ছিল ২০১৬। আচমকাই রটে যায় আত্মহত্যা করেছেন ঐশ্বর্যা। এবং সেই সঙ্গে এই ছবিটিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল নেট দুনিয়ায়।
পরে জানা যায়, পাকিস্তানে প্রকাশিত রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। পরে, সীমান্তের ওপার থেকে দাবি করা হয়েছিল আত্মহত্যা নয় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন অ্যাশ।
এমনকি সেই রিপোর্টে এমনও দাবি করা হয়েছিল সাংসারিক বিবাদের জেরে নাকি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বচ্চন পরিবারের বধূ। আরও বলা হয়েছিল যে রণবীর কাপুরের সঙ্গে একটি ছবি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করা নিয়ে বাড়িতে অশান্তি থেকেই এই ঘটনা নাকি ঘটিয়েছিলেন ঐশ্বর্য।
কিন্তু, পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত হওয়া এই খবরের মধ্যেই আরও এক বিস্ফোরণ। কারণ, সুস্থ-সবল ঐশ্বর্যাকে আবিষ্কার করা হয় মণীশ মালহোত্রার একটি পার্টিতে।
সেই পার্টিতে উপস্থিত একজন পরে হিন্দুস্তান টাইমস-কে জানিয়েছিলেন, 'দুপুর ২টো থেকে ওই পার্টিতে ঐশ্বর্য সঙ্গে আমি ছিলাম। কিন্তু একবারও ঐশ্বর্যকে দেখে মনে হয়নি তেমন কিছু ঘটেছে। তাঁকে বেশ হাসিখুশি এবং ঝকঝকে দেখাচ্ছিল। ছবি তোলার জন্য অসংখ্যবার পোজও দিয়েছেন হাসিমুখে। এমনকি অসংখ্য অতিথি ঐশ্বর্যাকে অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল-এর অভিনয়ের জন্য প্রশংসা করেন। এতে পার্টিতে উপস্থিত অভিষেক বচ্চনকে দেখেও মনে হয়নি যে তিনি রেগে যাচ্ছেন। বরং ঐশ্বর্যা প্রশংসাতে তিনিও যথেষ্ট হাসিখুশি ভাবে অতিথিদের ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন।'
আউটলুক পাকিস্তান নামে সেই সংবাদমাধ্যম হেডলাইনে এমনও দাবি করেছিল যে ঐশ্বর্য আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার জন্য সাংসারিক বিবাদকে দায়ী করেছেন।
এখানেই ক্ষান্ত হয়নি আউটলুক পাকিস্তান। তারা তাদের রিপোর্টে এমন দাবিও করেছিল যে ঐশ্বর্য-র চিকিৎসা চিকিৎসক নিজে এই আত্মহত্যার প্রচেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এমনকি, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে ওই চিকিৎসক নাকি জানিয়েছিলেন, ঐশ্বর্যা বারবার বলছিলেন তিনি মরে যেতে চান। বেঁচে থেকে নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে চান না।
পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত হওয়া সেই ফেক নিউজে এমনও দাবি করা হয়েছিল যে বচ্চন পরিবার ঐশ্বর্য-র আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়টি জানতে পেরে নাকি তৎক্ষণাত বাড়িতে চিকিৎসক ডেকে এনেছিল।
ওই রিপোর্টে এমনও দাবি করা হয়েছিল যে আসলে বচ্চন পরিবার বিষয়টি কোনওভাবে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু, ঐশ্বর্যর অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে প্রচারিত এই ফেক নিউজ অবশ্য সে সময় সিনেমাপ্রেমীদের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল। অনেকের স্মৃতিতে ফিরে এসেছিল দিব্যাভারতীর মর্মান্তিক পরিণতি। তাহলে কি বলিউডে ফের অভিশাপ লাগল। ভাগ্য ভালো যে সেদিন দুপুরের মধ্যেই মোটামুটি পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান থেকে প্রচারিত সেই রিপোর্ট আসলে পুরোপুরি একটা ফেক নিউজ বা মিথ্যা খবর ছিল। যার সত্যতা কোনওভাবেই আউটলুক পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।