অমিতাভের সঙ্গে রেখার অন্তরঙ্গতা দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন জয়া, কী ঘটেছিল সেদিন
কেটে গেছে বিয়ের এতগুলি বছর। দাম্পত্যের যুগলবন্দির আজ বর্ষপূর্তি। আজ অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চনের ৪৭ তম বিবাহবার্ষিকী। সালটা ১৯৭৩, ৩ জুন আজকের দিনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন। তাদের বিয়ের পিছনেও রয়েছে অনেক অজানা গল্প। তাঅমিতাভ-রেখা সম্পর্কের কথা সকলেরই জানা। বলিউডের অমর প্রেমের জুটি বলতে গেলেই প্রথমেই উঠে আসে রেখা এবং অমিতাভের নাম। রিল থেকে রিয়েল বারেবারে পেজ থ্রি-র শীর্ষে উঠে এসেছেন এই জুটি। সত্তরের দশক থেকে আজও তাদের রোম্যান্টিক জুঁটি দশর্কমনে হিট। একটা সময় এমন হয়েছিল, রেখার সঙ্গে অমিতাভের অন্তরঙ্গতা দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন জয়া। জেনে নিন ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন।
- FB
- TW
- Linkdin
বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন, যার অভিনয় আজও মুগ্ধ গোটা দর্শককুল। একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে তা ভক্তেদের মণিকোঠায় স্মরণীয় করে রেখেছেন বিগ-বি। আজ ৩ জুন। অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চনের ৪৭ তম বিবাহবার্ষিকী।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রাজ করছেন অমিতাভ। একের পর এক সুপারহিট সিনেমা যেমন সুহাগ, মুকাদ্দর কা সিকান্দর, মি.নটবরলাল আরও অনেক ছবিতে রোমান্টিক জুঁটি হিসেবে বি-টাউনে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন রেখা-অমিতাভ।
তারপর থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে দুজনের। সালটা ১৯৭৬। 'দো আনজানে' ছবির শুটিং চলাকালীন তাদের প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়। তারপর সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠলেই কখনও স্বীকার করেননি অমিতাভ। এমনকী ১৯৮৪ সালে ফিল্মফেয়ারে তাদের ডেটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সময়েও অমিতাভ রেখার সঙ্গে সম্পর্কে অস্বীকার করেছিল।
রেখার কারণেই অমিতাভ-জয়ার মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। একবার একটি সাক্ষাৎকারে রেখা জানিয়েছিলেন, আমি তাকে ঘর ভাঙতে বলছি না। তবে আমি বলতে পারি তিনি যা আমাকে দিয়েছেন তা পেয়েই আমি খুশি।
রেখা আরও জানিয়েছিলেন,মুকাদ্দর কা সিকান্দর ছবিতে স্ক্রিনিংয়ের সময় আমি প্রোজেকশন রুমে ছিলাম। জয়া ও তার সন্তানরা প্রথম সারিতে বসেছিল। অমিতাভ ছিল দ্বিতীয় সারিতে। ছবিতে যখন অমিতাভের সঙ্গে আমার প্রেমের দৃশ্য দেখানো হয়েছিল তা দেখেই কেঁদে ফেলেছিলেন জয়া।
অনেক পরিচালক, প্রযোজক তারপর থেকে রেখাকে অমিতাভের বিপরীতে এমন ছবি করতেও না করেছিলেন। তাদের সম্পর্কের কথা সবার জানা থাকলেও কোনওদিন স্বীকার করেননি অমিতাভ। অমিতাভ যখন বারেবারে নিজেদের সম্পর্ক অস্বীকার করছিলেন তখন রেখা জানিয়েছিলেন, নিজের ইমেজ রক্ষার করা জন্যই তিনি এটা অস্বীকার করছেন।
রেখা আরও বলেছেন, নিজের ইমেজ ধরে রাখতে, নিজের পরিবার বাঁচাতে, নিজের বাচ্চাদের কথা ভেবেই তিনি কোনদিন সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। সুতরাং আমাদের সম্পর্ক নিয়ে পাবলিক কে কী ভাবছে তাতে আমার কিছু জানার নেই। আমি ওকে ভালবাসি, সেও আমাকে, এটাই যথেষ্ঠ। কারোর কোন ভাবনার গুরুত্ব নেই আমার কাছে।
একটি সাক্ষাৎকারে জয়া বচ্চনকে নিয়ে রেখা জানিয়েছিলেন, আমি জয়াকে বোনের মতো মনে করতাম। জয়া প্রায়শই আমাকে পরামর্শ দদিতেন। কিন্তু পরে জানতে পারি নিজের প্রভাব বাড়াতেই তিনি এই কাজটি করেছিলেন। এমনকী তাদের বিয়েতেও আমাকে আমন্ত্রণ জানায়নি।
তবে অমিতাভ-জয়ার বিয়ের পিছনের কারণটি বেশ মজার। সালটা ১৯৭৩। তখন সদ্যই মুক্তি পেয়েছে অমিতাভ-জয়া অভিনীত ছবি 'জঞ্জির'। ছবিটি সুপারহিটও হয়েছিল। 'জঞ্জির' বক্স অফিসে সফল হলে বন্ধুরা মিলে লন্ডন যাবে বলে ঠিক করেন অমিতাভ। কিন্তু পরিকল্পনা ঠিক থাকলেও বাধা দেয় বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন। বাবা তখনই জানতে চেয়েছিলেন কে কে সঙ্গে যাবে? সকলের নাম শোনার পর জয়ার নাম শুনেই তিনি বলেছিলেন, আগে বিয়ে করো,তারপর যাবে, নাহলে নয়। বাবার সেই কথাই সেইদিন মেনে নিয়েছিল অমিতাভ। বাবার কথা মেনেই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পরের মাসেই আজকের দিনে জয়াকে বিয়ে করে লন্ডন ট্রিপে গিয়েছিলেন অমিতাভ।