- Home
- Entertainment
- Bollywood
- 'কিশোরী বয়সেই ড্রাগের নেশায় আসক্ত, বেছে নিয়েছিলেন মৃত্যুকেও', ভিডিওতে সর্বনাশ ডেকে আনলেন কঙ্গনা
'কিশোরী বয়সেই ড্রাগের নেশায় আসক্ত, বেছে নিয়েছিলেন মৃত্যুকেও', ভিডিওতে সর্বনাশ ডেকে আনলেন কঙ্গনা
সুশান্তের মৃত্যুর পর একের এক বোমা ফাটাচ্ছেন বলিউডের কন্ট্রোভার্সি কুইন কঙ্গনা রানাউত। সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। সম্প্রতি টুইটে কঙ্গনা জানিয়েছেন, রণবীর, ভিকি এরা সকলেই নাকি নিষিদ্ধ মাদক কোকেইন-এর নেশায় আসক্ত। এবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে পুরোনো অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। কঙ্গনা নিজেই মাদকের নেশায় জড়িত ছিলেন। এমনকী বলিউডে পা দেওয়ার শুরুতেই কোকেনের নেশায় আসক্ত ছিলেন বলে নিজেই মুখে খুলেছিলেন। সম্প্রতি পুরোনো ভিডিও নিয়েই উত্তাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। শধু তাই নয়, কঙ্গনার সঙ্গে মাদক যোগ তদন্তের দায়িত্বও মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চকে দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। View this post on Instagram #KanganaRanaut talks about the time when she couldn’t close her eyes because tears won’t stop. 🙏🙏A post shared by Kangana Ranaut (@kanganaranaut) on Mar 29, 2020 at 1:27am PDT

বলিউডের কন্ট্রোভার্সি কুইন বললেই একজনের নাম মাথায় আসে তিনি হলেন কঙ্গনা রানাউত। সবসময়েই কোনও না কোনও গসিপে সবার শীর্ষে উঠে আসে তার নাম।
বি-টাউনের প্রথম সারির অভিনেতা রণবীর সিং, রণবীর কাপুর, ভিকি কৌশল, পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায় সহ আর অনেক তারকাদের মাদক পরীক্ষার দাবি তুলে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত।
কঙ্গনা আরও জানিয়েছেন, বলিউডের ৯৯ শতাংশ অভিনেতাই মাদকের নেশায় আসক্ত। প্রত্যেকের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে মাদক পরীক্ষার দাবিও তুলেছেন কঙ্গনা।
তিনি নিজে ড্রাগ নেন না তা প্রমাণ করতেই নিজের রক্ত পরীক্ষা করাতেও প্রস্তুত বলে দাবি করেন কঙ্গনা। এমনকী কোনও মাদকপাচারকারীর সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে কিনা তা জানতে মুম্বই পুলিকে তার ফোন রেকর্ড দেখারও আর্জি জানান।
এবার কঙ্গনাকে নিয়ে উত্তাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। সম্প্রতি কঙ্গনার একটি পুরোনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে কঙ্গনা নিজেই নিষিদ্ধ মাদক নিতেন তা তিনি স্বীকার করেছেন।
কঙ্গনা নিজে জানিয়েছেন কিশোরী বয়সেই তিনি ড্রাগ অ্যাডিক্ট ছিলেন। ইন্ডাস্ট্রিতে পা দেওয়ার শুরুতেই তিনি খারাপ সঙ্গতে পড়ে ড্রাগের নেশায় জড়িয় পড়েন।
জীবনে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে বহুবার গেছেন তিনি। ড্রাগের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই সময়ে। এমনকী মৃত্যুই সমাধান সেটাই ভেবেছিলেন অভিনেত্রী। আর সেই সময়ে জীবনে এমন এক মানুষ আসে যিনি নতুন পথ দেখান।
ধ্যান আর যোগাভ্যাসের মধ্য দিয়েই জীবনের এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠেন অভিনেত্রী। তিনি হলেন স্বামী বিবেকানন্দ।তারপর থেকে স্বামীজীকে গুরু হিসেবে মেনে নেন। এরপর প্রায় ২ বছর তিনি ব্রহ্মচর্য পালন করেন।
এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নেটিজেনরা মুম্বই পুলিশকে ট্যাগ করতে শুরু করেন। কঙ্গনা যেখানে নিজে মুখে ড্রাগ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন সেখানে এর তদন্তের দাবি তুলেছেন।
ইতিমধ্যেই কঙ্গনার বিরুদ্ধে ওঠা মাদক যোগের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এবার মাঠে নামছে মুম্বই পুলিশ। সূত্র থেকে জানা গেছে, মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে মুম্বই পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের জন্য লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র থেকে আরও জান গেছে, মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চকে দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী কঙ্গনা ও তার বন্ধু এবং সহকর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
কিছুদিন আগে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন কঙ্গনার প্রাক্তন প্রেমিক অধ্যয়ন সুমন। অধ্যয়ন জানিয়েছিলেন, কঙ্গনা একসময় প্রতিদিন হ্যাশ খাওয়াতেন সকলকে। তবে শুধু হ্যাশ নয়, তার সঙ্গে কোকেন দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন কঙ্গনা। একটি সাক্ষাৎকারেই সেকথা স্বীকার করেছিলেন অধ্যয়ন।
কিছুদিন আগে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন কঙ্গনার প্রাক্তন প্রেমিক অধ্যয়ন সুমন। অধ্যয়ন জানিয়েছিলেন, কঙ্গনা একসময় প্রতিদিন হ্যাশ খাওয়াতেন সকলকে। তবে শুধু হ্যাশ নয়, তার সঙ্গে কোকেন দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন কঙ্গনা। একটি সাক্ষাৎকারেই সেকথা স্বীকার করেছিলেন অধ্যয়ন।