- Home
- Entertainment
- Bollywood
- দিনের পর দিন 'সহবাস', স্ত্রীকে ছাড়তে নারাজ পাঞ্চোলি, শেষমেষ আদিত্যর বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ আনেন কঙ্গনা
দিনের পর দিন 'সহবাস', স্ত্রীকে ছাড়তে নারাজ পাঞ্চোলি, শেষমেষ আদিত্যর বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ আনেন কঙ্গনা
- FB
- TW
- Linkdin
একাধিক সম্পর্কের কারণে সর্বদাই শিরোনামে কন্ট্রোভার্সি কুইন কঙ্গনা রানাউত । কেরিয়ারের শুরুতে নাবালিকা কঙ্গনার সঙ্গে ২১ বছরের বড় আদিত্য পাঞ্চোলির সম্পর্ক নিয়ে আজও গুঞ্জন তুঙ্গে। বলিউডে নিজের পরিচিতির জন্য আদিত্যকে আঁকড়ে ধরেছিলেন কিন্তু পরবর্তীকালে দিনের পর দিন সহবাস, ধর্ষনের অভিযোগ আনেন কঙ্গনা।
বয়স তখন ১৭। হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি মেয়ের চোখে তখন বলিউডের নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন। মায়ানগরীতে পা দেওয়ার পর এমন রাতও কেটেছে যেখানে খাবারও জোটেনি। এমনকী ছিল না শোবার জায়গাও। সেই খারাপ সময়ে বলিউড অভিনেতা প্রযোজক আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে দেখা হয় কঙ্গনার।
আদিত্যর সঙ্গে সম্পর্কও দিনের পর দিন ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। বয়সের ফারাক দুজনের ২১ বছর। কিন্তু তার পরেও নবাগতার সঙ্গে আদিত্যর ঘনিষ্ঠতার পর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে বলিপাড়ায়। জানা যায়, আদিত্যই নাকি কঙ্গনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন নামকরা পরিচালকদের।
তারপর থেকেই পার্টি, থেকে রোস্তোরাঁ , ডিনার ডেট -সবেতেই একসঙ্গে দেখা যেতে শুরু করে আদিত্য ও কঙ্গনাকে। অন্যদিকে বিবাহিত আদিত্যর বৈবাহিক জীবনেও ফাটল ধরতে শুরু করে। স্ত্রী জারিনা সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। এর মধ্যে গ্যাংস্টার ছবি দিয়ে সুনাম অর্জন করে ফেলেন কঙ্গনা, পুরস্কার ও পান। তখনও সঙ্গে ছিলেন আদিত্য পাঞ্চোলি।
তারপর থেকেই সেভাবে আর দেখা যেত না আদিত্য ও কঙ্গনাকে। সূত্র থেকে শোনা যায়, আদিত্যর সঙ্গে নাকি সম্পর্কে নেই কঙ্গনা। ধীরে ধীরে সবটা যেন চাপা পড়ে যায়। তারপর হঠাৎই সব বদলে যায়। ২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন কঙ্গনা রানাউত।
কঙ্গনা সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, নাবালিক অবস্থায় দিনের পর দিন সহবাস করেছেন আদিত্য। তবে নিজের বউকে ছাড়তে চাইতেন না অভিনেতা। এমনকী শারীরিক ও মানসিক ভাবেও নিগ্রহ করতেন আদিত্য। এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পর ফের শিরোনামে উঠে আসেন আদিত্য ও কঙ্গনা।
কঙ্গনা জানান, গাড়ির মধ্যে আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ২০০৪ সালে আদিত্যর সঙ্গে একটি পার্টিতে গেছিলাম। একটু মদ্যপ ছিলান সেই সময় আদিত্য আমার ড্রিঙ্কে কিছু মিশিয়ে দিয়ে মাঝরাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমার ধর্ষণ করে এবং বেশ কিছু ছবি তোলে। পরে আমায় বলে আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকব।
কঙ্গনা বলেন , আমার বয়স তখন ১৭ বছর। একবার নাকি আদিত্য এমন মেরেছিল যে মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোতে শুরু করে। তবে আমিও ছেড়ে দিইনি। নিজের হাওয়াই চটি দিয়ে মেরেছিলাম আদিত্যকে। সেদিন বুঝেছিলাম আমি জন্ম থেকেই ফাইটার, লড়াইটা আমাকে চালিয়ে যেতে হবে।
২০১৯ সালে আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন কঙ্গনা রানাউত। দিনের পর দিন ধর্ষণের দায়ে আটক করা হয়েছিল আদিত্যকে। আদিত্যর আইনজীবী প্রশান্ত পাটিল জানিয়েছিলেন ১৫ বছর ধরে ধর্ষণের কোনও মামলার ভিত্তি নেই।
তবে আদিত্যও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। কঙ্গনা ও তার দিদি রঙ্গোলির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। আদিত্য আরও বলেছিলেন, ও পাগল হয়ে গিয়েছে। কঙ্গনা কী বলছে ও নিজেই জানে না। ওর কথায় সবাই খারাপ শুধু ও ভাল। আদিত্য ও কঙ্গনার সম্পর্ক অতীত হলেও কন্ট্রোভার্সি আজও নাম জড়িয়ে রয়েছেন কঙ্গনা রানাউতের।