- Home
- Entertainment
- Bollywood
- গোপনে সঙ্গমের পর বিচ্ছেদ, শরীরের দাম উঠেছিল নিলামে, কীভাবে নিজেকে সামলেছিলেন করিশ্মা
গোপনে সঙ্গমের পর বিচ্ছেদ, শরীরের দাম উঠেছিল নিলামে, কীভাবে নিজেকে সামলেছিলেন করিশ্মা
- FB
- TW
- Linkdin
রণধীর কাপুর ও ববিতা কাপুরের বড় মেয়ে করিশ্মার ব্যক্তিগত জীবনটা মোটেই সুখকর নয়। অমিতাভ পুত্র অভিষেকের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা সকলেরই জানা। বচ্চন পরিবারের গৃহবধু হিসেবে মেনেও নিয়েছিলেন করিশ্মাকে। কিন্তু তা আর হয়নি। সম্পত্তির অতিরিক্ত লোভের কারণেই অভিষেকের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল করিশ্মার।
কেরিয়ার তখন মধ্যগগণে, নিজের চেয়ে বয়সে ২ বছরের ছোট অভিষেকের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন করিশ্মা। অভিষেক তখনও বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হয়নি সেভাবে। করিশ্মা কাপুর ও অভিষেক বচ্চনের প্রেম একসময়কার বলিউডে সবথেকে চর্চিত বিষয় ছিল। বলিউডে একের পর এক হিট ছবির নায়িকা তখন করিশ্মা। তখন থেকেই করিশ্মার সম্পর্ক অভিষেকের সম্পর্ক নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে থাকে।
বচ্চন পরিবারও ছেলের পছন্দে খুবই খুশি ছিলেন। অমিতাভের ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষে একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানেই সকলের সামনে জয়া বচ্চন পূত্রবধূ হিসেবে তার ছেলের পছন্দকেই মেনে নিয়েছিলেন। জয়া বচ্চন জানিয়েছিলেন, বচ্চন পরিবার নিজেদের সঙ্গে কাপুর পরিবারকেও মন থেকে মেন নিয়েছে। এবং জয়া আরও বলেছিলেন বচ্চন পরিবারের ভবিষ্যতের পূত্রবধূ হল করিশ্মা কাপুর।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। যার নেপথ্যে কাপুর পরিবারের একজন ছিলেন। তিনি হলেন করিশ্মার মা ববিতা কাপুর। মা ববিতার কারণেই করিশ্মার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল করিশ্মার। ববিতাই তাদের সম্পর্ক নিয়ে হাজারো প্রশ্ন তুলেছিলেন। অভিষেক তার মেয়ের যত্ন নিতে পারবেন কিনা, অভিষেকের কেরিয়ার, রোজগার-এ সব কিছু নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ববিতা।
এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হলেও ববিতা কিছুতেই রাজু হচ্ছিলেন না। তারপর বচ্চন পরিবারকে একটি শর্ত দেন ববিতা। ববিতা অমিতাভের সমস্ত সম্পত্তি অভিষেক ও করিশ্মার নামে লিখে দিতে বলেন। যাতে করিশ্মার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকে। ববিতার শর্তে রাজি হননি অমিতাভ। তারপরই তাদের সম্পর্ক সেখানেই থেমে যায়।
তারপরেই করিশ্মা ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন এবং অভিষেকও ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়েই মধুচন্দ্রিমাতে গিয়েছিলেন সঞ্জয় কাপুর ।প্রথম মধুচন্দ্রিমাতেই তিনি বুঝে গেছিলেন এই সম্পর্কের পরিণতি।
মধুচন্দ্রিমাতে গিয়ে এক রাতের জন্য করিশ্মাকে নিলামে তুলেছিলেন স্বামী সঞ্জয় । রীতিমতো শরীর নিয়ে চলেছিল দর কষাকষি। করিশ্মার প্রবল আপত্তি জানিয়ে প্রতিবাদ করলেই শুরু হয়ে যায় বচসা। এমন দিনও দেখতে হবে তা যেন ভাবতেই পারেননি লোলো। শেষমেষ স্বামীর জোর করে বাধ্য করে অন্যের শয্য়াসঙ্গী হতে।
বিয়ের পরের জীবনটা আরও বেশি ভয়ঙ্কর ছিল। বিয়ে, অসুখী দাম্পত্য, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, তারপর বিচ্ছেদ নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। আজও সেই বহুলচর্চিত বিচ্ছেদ দগদগে সকলের মনে। একটা সময়ে আদালতে করিশ্মার জবানিতে এমন কিছু তথ্য উঠে এসেছিল যা নাড়িয়ে দিয়েছিল বলিউডকে। অন্তঃসত্ত্বাকালীনও জুটেছিল চড়, থাপ্পড়, মারধর, করিশ্মার গার্হস্থ্য হিংসার শিউরে ওঠা কাহিনি যেন হার মানাবে বলিউডের চিত্রনাট্যকে।
মধুচন্দ্রিমা থেকেই শুরু। তারপরই শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন করিশ্মা। দিনের পর দিন অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষমেষ ২০১৬ সালে ডিভোর্স দেন সঞ্জয়কে। বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হলে কি এই মাশুল দিতে হতো করিশ্মাকে, আক্ষেপ নায়িকার।দীর্ঘদিন অভিনয় জগত থেকে দূরে থাকার পরে ফের বলিউডে ফিরে আসেন করিশ্মা। যদিও সেই ছবিও বক্স অফিসে হিট করেনি।