- Home
- Entertainment
- Bollywood
- ৬৭ টি কাচের টুকরো-তে ক্ষতবিক্ষত সারা মুখ, আয়নায় নিজেকে দেখলেও ভয় পেতেন মহিমা, কেন জানেন
৬৭ টি কাচের টুকরো-তে ক্ষতবিক্ষত সারা মুখ, আয়নায় নিজেকে দেখলেও ভয় পেতেন মহিমা, কেন জানেন
'পরদেশ' ছবিতে বলিউডে পা রেখেই দর্শকমন জিতে নিয়েছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। শুটিং চলাকালীনই গাড়ি দুর্ঘটনায় ৬৭ টি কাঁচ ভেঙে তার সারা মুখে ফুটে গিয়েছিল।মহিমা চৌধুরী জানিয়েছেন, ওই দুর্ঘটনাই তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার নষ্টের পিছয়ে দায়ী।
- FB
- TW
- Linkdin
সালটা ১৯৯৭। বলিউডের কিং খান শাহরুখের সঙ্গেই প্রথম পর্দায় ডেবিউ করেন বাঙালি অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী। 'পরদেশ' ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেই মুহূর্তেই দর্শক মনে নিজের জায়গা পাকিয়ে নিয়েছিলেন।
তার মলিন হাসিতেই ঝড় উঠেছিল আট থেকে অষ্টাদশীর হৃদয়ে। তার ওই হাসি দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতেন পুরুষরা। 'পরদেশ' সিনেমায় তার পর্দাউপস্থিতি এতটাই মনে ধরেছিল যে তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন ভক্তরা।
কিন্তু সেটা আর পূরণ হয়নি। বলিউডে পা রাখার কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি যেন ফিল্মি দুনিয়া থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন মহিমা ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, বলি অভিনেত্রী কাজল এবং অজয় দেবগণের সঙ্গে 'দিল ক্যায়া করে'ছবির শুটিং চলছিল বেঙ্গালুরুতে।
সেই শুটিং চলাকালীনই বড়সড় গাড়ি দুর্ঘটনার সন্মুখীন হয়েছিলেন মহিমা। শুধু প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী। দুর্ঘটনার জেরে গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে তার সারা মুখে ফুটে গিয়েছিল।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। একটা বা দুটো নয়, ৬৭ টি কাঁচ তার সারা মুখে ফুটে গিয়েছিল। সেই ক্ষত সারাতে বেশ অনেক বছর সময়ও লেগে গিয়েছিল।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। একটা বা দুটো নয়, ৬৭ টি কাঁচ তার সারা মুখে ফুটে গিয়েছিল। সেই ক্ষত সারাতে বেশ অনেক বছর সময়ও লেগে গিয়েছিল।
মুখটা এতটাই ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল যে লোকেরাও বলতে শুরু করেছিল, 'এর চেহারাই পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছে।'সকলের থেকে এক কথা শুনতে শুনতে নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন মহিমা।
পরে ধীরে ধীরে তিনি যখন ক্ষত সারিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেন,সেই সময় ডিজাইনার নীতা লুল্লা তাঁকে বিরাট সঙ্গ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, মহিমাকে ফের নতুন করে কাজ শুরু করারও পরামর্শ দেন নীতা।
তারপরই মহিমাকে'ইয়াদ পিয়া কী আনে লাগি'-তে দেখা যায় এবং অক্ষয় কুমারও তাঁর মনের জোর বাড়াতে সাহায্য করেন । তারপরেই নতুন রূপে ধড়কন'-এ দেখা যায় মহিমাকে। মহিমা চৌধুরী জানিয়েছেন, ওই দুর্ঘটনাই তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার নষ্টের পিছয়ে দায়ী।