অবশেষে স্বস্তি দেশাবাসীর, মহেশ ভাটকে জেরার জন্য ডাক, নিস্তার নেই করণেরও
অবশেষে উৎসবে মাতার চেষ্টায় নেটিজেনরা। জেরার জন্য শীঘ্রই ডাকা হবে করণ জোহার এবং মহেশ ভাটকে। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ সম্প্রতি নিশ্চিত করেছেন, মুম্বই পুলিশের পক্ষে থেকে অতি শীঘ্রই ডাকা হবে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর প্রায় এক মাস শেষ হতে চলল, বিপ্লবীরা এখনও অনড়। সুশান্তের মৃত্যু মুম্বই পুলিশ আত্মহত্যা হিসেবে ঘোষণা করলেও, ভক্তরা সহ জনা কয়েক দেশাবাসীরা আত্মহত্যার যুক্তি মানতে নারাজ। তারা সহ গুটি কতক তারকারাও ব্যক্ত করেছেন, সুশান্তকে মানসিক অবসাদে ঠেলে দেওয়ার কারণ হিসেবে দায়ী বলিউডের মাফিয়া গ্যাং।
- FB
- TW
- Linkdin
জানা যাচ্ছে এক-দুদিনের মধ্যে ডাকা হবে মহেশ ভাটকে। করণ জোহারের ম্যানেজারের সঙ্গেও ইতিমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনিও প্রয়োজন পড়লে পুলিশের ডাকেক জেরার জন্য হাজির হবেন।
এই গ্যাংয়ের মধ্যে শীর্ষেই নাম রয়েছে করণ জোহার এবে মহেশ ভাটের। নিজের প্রযোজনা সংস্থা থেকে সুশান্তকে ব্যান করা, বিভিন্ন ছবি থেকে তাঁকে সরিয়ে কোনও তারকার ছেলেকে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে করণের বিরুদ্ধে।
করণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেই শুরু হয়েছে তাঁকে নিয়ে ট্রোল তৈরি করা। অস্রাব্য ভাষায় অপমান করা। বাদ যায়নি তাঁকে ব্যক্তিগত মেসেজে হুমকি দেওয়াও।
করণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেই শুরু হয়েছে তাঁকে নিয়ে ট্রোল তৈরি করা। অস্রাব্য ভাষায় অপমান করা। বাদ যায়নি তাঁকে ব্যক্তিগত মেসেজে হুমকি দেওয়াও।
সুশান্তের খুনি, বৃহন্নলা, তাঁর চরিত্র নিয়ে নানা কথা, সবকিছুকে ঘিরেই অবশেষে হতাশ হয়ে পড়েন করণ। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু সম্প্রতি এমনটা জানায় সংবাদমাধ্যমকে।
তাঁর কথায়, "করণকে আগেও ট্রোল করা হয়েছে স্বজনপোষণ নিয়ে। তবে এভাবে কখনও ভেঙে পড়তে দেখিনি ওকে। সাংঘাতিকভাবে মানসিক আঘাত পেয়েছে করণ। করণের মৃত্যু কামনা করছে সকলে। করণের তিন বছরের সন্তানদেরও মৃত্যুর অভিশা দিচ্ছে সকলে। এগুলি কী ধরণের ঘৃণা।"
করণের মা হিরু জোহারের ধর্ষণের হুমকি দিয়ে চলেছে নেটিজেনরা। এর বিরুদ্ধেই এবার আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছেন করণ। আইনজীবী এবং পুলিশের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সাইবার ক্রাইম টিমের থেকে পরামর্শ নিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, নেটিজেনরা পূর্বে এই প্রশ্ন তোলে, মহেশ ভাটের সঙ্গে রিয়ার কি এমন সম্পর্ক ছিল যে প্রেমিকের দুরাবস্থায় তাঁকে একা ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন মহেশ ভাটের কথায়।
মহেশ ভাটের ঘনিষ্ঠ মহলের একজন লেখিকা সুরিতা সেনগুপ্ত, রিয়া-সুশান্তের সম্পর্ক এবং সুশান্তের মানসিক অবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁর কথায়, সুশান্ত নানা রকম আওয়াজ শুনতে পেতেন, বারবার বলতেন, কারা নাকি তাঁকে মারতে চায়।
রিয়া এই বিষয় নাকি বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। যদিও সুরিতার কথায়, রিয়া একাধিকবার সুশান্তকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন, তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করেন। সুশান্তই নাকি তাঁকে দূরে ঠেলে দেন।