রাজেশ খান্নার গালে টেনে চড়, কেমন মেজাজ হারিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন মেহমুদ
রাজেশ খান্না, এক কথায় বলতে গেলে যাঁর উপস্থিতিতেই সিনেমা হিট। সেই স্টারকে নিয়ে বিটাউনে গসিপ তুঙ্গে। যতটা তিনি ছিলেন পর্দায় রঙিন, ঠিক ততটাই পর্দার পেছনে ছিল তাঁকে ঘিরে গসিপ। তবে তাঁকে নিয়ে নানান জল্পনার মধ্যে একটি কথা এক বাক্যে সকলেই মেনে নেবেন, রাজেশ খান্নার টেনন্ট্রাম ছিল চুরান্ত।
| Published : Sep 29 2021, 06:23 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna), সুপারস্টার কাকে বলে, তার এক কথায় সংজ্ঞাই হলেন এই স্টার। যাঁর প্রতিটা পদেপদে ছিল কেবলই বক্স অফিস (Box Office) হিটের রেকর্ড।
সেই রাজেশ খান্নাই একটা সময় ছন্দপতন ঘটার ফলে মুখ থুবরে পড়েছিলেন। কোথাও গিয়ে যেন তাঁর অহংকারই হয়ে উঠেছিল পতনের কারণ।
রাজেশ খান্নার একের পর এক সিনেমা নিয়ে যখন ব্যস্ত, তখনই তাঁর আচরণে আসে অদ্ভুত পরিবর্তণ, যা প্রতিটা মানুষ চাক্ষুস করেছিলেন সেই সময়।
মাত্রা অতিরিক্ত টেন্ট্রাম, এক কথায় বলতে গেলে তাঁকে নিয়ে কাজ করা মাথার যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছিল, এমনই পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন মেহমুদ (Mehmood)।
তাঁর পরিচালনায় ছবি ১৯৭৯ সালে জনতা হাওয়ালদার (Janta Hawalda) ছবির কাাজ চলছিল। কাজ চলছিল তাঁরই বাড়িতে। সেখানেই ছিলেন মেহেমুদের ছেলে।
সে মাঝে মধ্যেই রাজেশ খান্নাকে দেখে হ্যালো, বা সুপ্রভাত বলতে চলে আসত। তবে এই বিষয়টাতে রীতিমত বিরোক্ত বোধ করতেন রাজেশ খান্না।
তিনি হঠ্যাৎই একটা সময় সেটে আসা ছেয়ে দিলেন সময় সময়। সকলকে অপেক্ষা করতে হত, দিন যায়, এভাবে বিষয়টিকে নিতে না পেড়ে হঠাৎই একদিন মেজজা হারান মেহমুদ।
তিনি রাজেশ খান্নার গালে সপাটে একটি চড় মেরে বলেছিলেন, তিনি সিনেমার জন্য সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে ফেলেছেন। ফলে কাজটা শেষ করা রাজেশ খান্নার কর্তব্য।
এরপর সেই ছবি যখন মুক্তি পায়, তখন তা নিয়ম মেনেই সুপারহিট হয়েছিল। সকলের প্রশংসা পেয়েছিল ছবিটি। তবে এই ঘটনাটি সারা জীবন মনে রাখবে বিটাউন।