'সুশান্তকে জোর করে অবসাদের ওষুধ খাওয়ানো হত, মহেশ ভাট ও ডাক্তার মিলে খুন করেছেন'

বলিউড এখন তোলপাড়। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই একের পর এক রহস্য ঘনীভূত হয়ে চলেছে। নানা প্রশ্ন উঠছে সিনেপ্রেমীদের মনে। অধিকাংশ দেশবাসীর মধ্যে শুরু হয়েছে তর্ক বিতর্ক। সুশান্তের মৃত্যুর জন্য বলিউডের প্রভাবশালীদের ব্যক্তিদের দায়ী করেছে নেটিজেনরা। তাঁরা সুশান্তকে ছবিতে বয়কট করার পরই নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা। সেই তালিকায় রয়েছেন সলমন খান, করণ জোহার, একতা কাপুর, সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা, সঞ্জয় লীলা বনশালী, দিনেশ বিজন, ভূষণ কুমার, মহেশ ভাট। এই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের মধ্যে নাম জুড়েছে রিয়া চক্রবর্তীরও।  

এনাদের মধ্যে মহেশ ভাট এবং রিয়া চক্রবর্তী নাকি পরিকল্পিতভাবে খুন করেছেন সুশান্তকে। এমনই দাবি করছেন বলিউড অভিনেত্রী পায়েল রোহাতগি। 

সম্প্রতি পায়েল নিজের ইউটিউবে চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে অসংখ্য জিনিস নিয়ে কথা বলেন তিনি। মহেশ ভাট, রিয়া চক্রবর্তী, কর্সি চাভরা (সুশান্তের সাইকোলজিস্ট), সলমন খান, সোনম কাপুরের নাম তুলে একাধিক মন্তব্য করেন। 

প্রথমেই তিনি কর্সি চাভরার কথা বলে তিনি জানান, এই ডাক্তার নাকি অধিকাংশ মানুষকে ইচ্ছাকৃত বাইপোলার ডিসঅর্ডার নিয়ে চিকিৎসা করেন। যে বাইপোলার নয়, তাঁকে জোর করে অবসাদের ওষুধ খাওয়াতেন। 

পায়েলের কথামত, এই কর্সি চাভরা নাকি মহেশ ভাটের ঘনিষ্ঠ মহলের মধ্যে একজন। তাঁর কথাতেই সুশান্তকে অবসাদের ওষুধ খাওয়াতেন এই সাইকোলজিস্ট। সুশান্তের এই ডাক্তার পায়েলেরও চিকিৎসা করিয়েছিলেন এক সময়। 

সেই সময় পায়েল তাঁর কাছে মানসিক অবসাদের জন্য যেতেন। তিনি সেই সময় পায়েলকে চিকিৎসা করিয়ে ইচ্ছাকৃত বাইপোলার বলে দাবি করতেন। এবং তাঁকেও জোর করে অবসাদের ওষুধ খাওয়াতেন। 

সেই নিয়েই পায়েল জানান, সুশান্তকে মহেশ ভাট এবং কর্সি চাভরা সুশান্তকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছেনষ এবং সঙ্গে রয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী, বাড়ির কাজের লোকজন এবং কমপ্লেক্সের কর্মচারী যারা সিসিটিভি আগের দিন রাত থেকে বন্ধ করে দেয়। 

পায়েল এছাড়া সুশান্তের মরদেহের ছবি ভাইরাল হওয়া নিয়েও বলেন, কোনও মানুষের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলে চোখ বেরিয়ে আসার কথা, জীভ বেরিয়ে আসার কথা, পায়ের শিড়া ফুলে যাবে, হাত মুঠো করা থাকবে, তেমন কোনও চিহ্নই ছিল না তাঁর শরীরে।

অন্যদিকে তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল কেই গলা টিপে মেরে ফেলেছে। গলার দাগটিও সেরকমই ছিল। পায়েলের প্রতিটি কথায় সহমত নেটিজেনরাও। পায়েল বিশ্বাস করেন এটি পরিকল্পিত খুন, কোনও আত্মহত্যা নয়। 

মানসিক অবসাদে থাকা মানুষ, আত্মহত্যার কথা ভাবলে আগের দিন রাতে পার্টি করে না, সকালে উঠে বেদানার রস খেয়ে আত্মহত্যা করতে যায় না। এর পিছনে বলিউডের প্রভাবশালী ব্যক্তি মহেশ ভাটই রয়েছেন। 

মহেশ ভাটের সঙ্গে কোনও হিরোইনের এমন কোনও সম্পর্ক নেই যাঁরা তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন। অথচ রিয়ার সঙ্গে এমন সম্পর্ক কেন ছিল তাঁর। যার জন্য সুশান্তও ভয় পেয়ে বলেছিলেন, রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে তাঁকে হয়তো কোনওদিন খুন হতে হবে।

এই মন্তব্যের পাশাপাশি সোনম কাপুরের সম্বন্ধে নিন্দা করেছেন তিনি। নেপোটিজম নিয়ে তিনি যে ট্যুইটটি পিতৃদিবসে করেছেন, তার নিন্দা করে পায়েল জানান, তারকার মেয়ে হয়েও ওনার যে যোগ্যতা নেই বলিউডে থাকার তা সুশান্তের ছিল।