- Home
- Entertainment
- Bollywood
- সুপারস্টারের পতন, ঘুরে দাঁড়ানোর মনোবল যখন হারাতে বসে, তখনই কামব্যাকে বাজিমাত হৃত্বিকের
সুপারস্টারের পতন, ঘুরে দাঁড়ানোর মনোবল যখন হারাতে বসে, তখনই কামব্যাকে বাজিমাত হৃত্বিকের
- FB
- TW
- Linkdin
১৯৮০ থেকে ৯০ এর দশকে হৃতিক বেশ কিছু সিনেমায় শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। সেই সময় থেকেই তাঁর ইছে ছিল তিনি বড় হয়ে অভিনেতা হবেন। তবে তাঁর কথা বলার সমস্যার কারণে তাঁর বাবা তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন হৃতিক যাতে ভালো করে পড়াশুনা করে অন্যকোন সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত হন।
কথার বলার সময় কথা আটকিয়ে যাওয়া, হাতে ১ টি অতিরিক্ত আঙ্গুল থাকার কারণে হৃতিককে বুহুবার অপমানিত হতে হয়েছে। এমনও হয়েছে স্কুলে ওড়াল টেস্টের সময় তিনি শরীর খারাপের বাহানা করে পরীক্ষা দিতে যেতেন না।
তবে হৃতিক হাল ছাড়েননি। ওড়াল-থেরাপির মাধ্যমে তিনি তাঁর কথা বলার সমস্যাকে কাটিয়ে ওঠেন। এর পর তাঁর বয়স যখন ২০ বছর সেই সময় তাঁর বাবা হৃতিককে তাঁর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করান। তাঁর বাবা চেয়েছিলেন এই কাজের হাত ধরে হৃতিক যাতে সিনেমা কীভাবে তৈরি হয় তা বুঝতে পারেন। এর পাশাপাশি অভিনয় শিক্ষাও গ্রহণ করতে পারেন।
১৯৯৫ সালের বিখ্যাত সিনেমা ‘কারন অর্জুনেও’ সহকারী পরিচালক সিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এই ভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে করতে হৃতিক তাঁর বাবার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। তখন তাঁর বাবা ঠিক করেন হৃতিককে লঞ্ছ করবেন।
২০০০ সালে মুক্তি পেলো হৃতিককের প্রথম সিনেমা ‘ক্যাহোনা প্যার হে’। রাকেশ রোশন পরিচালিত এই সিনেমাটি বক্স-অফিসে ব্যাপক সফলতা পায়। এই সিনেমাটির জন্য হৃতিক ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান, এবং রাতারাতি একজন স্টার হয়ে ওঠেন।
তবে এখানেই শেষ নয়। এর পর ২ বছরে হৃতিক বেশ কিছু সিনেমা করেন। এবং প্রত্যেকটি বক্স-অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। তখন অনেকেই বলে ছিলেন হৃতিক আসলে একটি সিনেমাতে কোন ভাবে হিট হয়ে গেছে। তাকে দিয়ে আর সম্ভব নয়।
ঠিক সেই সময় আবারও তাঁর বাবা হৃতিককে নিয় ‘কোই মিল গ্যায়া’ সিনেমা বানান। এবং সিনেমাটি সুপার ডুপার হিট হয়। এই সিনেমাটির হাত ধরে হৃতিক সমস্ত সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেন।
কিন্তু এর পর আবারও ছন্দপতন ঘটলো। কোই মিল গ্যায়ার পর ২০০৪ এবং ২০০৫ সালের সব সিনেমা ফ্লপ হয়। কিন্তু ২০০৬ সালে কৃশ এবং ধুম২ বক্স-অফিসে ভালো ব্যাবসা করে।
এর পরবর্তী সময়ে ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁর কোন সিনেমাই বাণিজ্যিক সফলতা পায়নি। তবে যোধা আকবর এবং গুজারিস ছবিতে তাঁর অভিনয় চারিদিকে প্রশংসিত হয়। এই ছবি দুটির মাধ্যমে হৃতিক তাঁর অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দেন।
এর পর ২০১২ সালে মুক্তি পায় অগ্নিপথ। এই সিনেমাটিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জয় করে নেয়। এর পাশাপাশি সিনেমাটি বাণিজ্যিক ভাবেও সফল হয়। এর পর আর তাকে পিছনে ঘুরে তাকাতে হয়নি। এর পর কৃশ৩, ব্যাং ব্যাং, ওয়ার এর মতো সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও সুপার ৩০ এবং মনেঞ্জদারো সিনেমাতে হৃতিক আবারও প্রমাণ করে দেন তিনি শুধু সুপারস্টার নন , এর পাশাপাশি তিনি একজন ভালো অভিনেতাও বটে।