- Home
- Entertainment
- Bollywood
- সুশান্তকে একা ছেড়ে দেওয়ার পিছনে মহেশ ভাটের সঙ্গে রিয়ার গোপন সম্পর্কই কি কারণ, সত্যতা কতখানি
সুশান্তকে একা ছেড়ে দেওয়ার পিছনে মহেশ ভাটের সঙ্গে রিয়ার গোপন সম্পর্কই কি কারণ, সত্যতা কতখানি
মহেশ ভাট এবং রিয়া চক্রবর্তীর সম্পর্ক ঠিক কী। এই নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া, বিনোদন জগৎ এবং সংবাদমাধ্যম। যে সম্পর্ক আগে কখনই স্বীকার করেননি, পুলিশের জেরার মুখে পড়ে তাঁর সঙ্গে সুশান্তের বিয়ে নিয়েও মুখ খুললেন রিয়া। নভেম্বরে তাঁদের বিয়ের নিয়ে চলছিল নানা প্রস্তুতি। এরই মধ্যে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর খবরের পর পরই উঠে এসেছে নানা তথ্য। তবে তার সত্যতা এখনও যাচাই করা যায়নি। রিয়া এবং মহেশ ভাটের সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন। কেনই বা মহেশ ভাটের কথা শুনলে এমন অবস্থায় সুশান্তকে ছেড়ে চলে এলেন। পরিচালক মুকেশ ভাট এবং মহেশ ভাটের সাক্ষাৎকারে চোখ কপালে উঠেছিল সকলের।
- FB
- TW
- Linkdin
মহেশ ভাটের সঙ্গে রিয়ার কি এমন সম্পর্ক ছিল যে প্রেমিকের দুরাবস্থায় তাঁকে একা ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন মহেশ ভাটের কথায়।
সম্প্রতি মহেশ ভাটের ঘনিষ্ঠ মহলের একজন লেখিকা সুরিতা সেনগুপ্ত, রিয়া-সুশান্তের সম্পর্ক এবং সুশান্তের মানসিক অবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন।
তাঁর কথায়, সুশান্তকে নানা রকম আওয়াজ শুনতে পেতেন, বারবার বলতেন, কারা নাকি তাঁকে মারতে চায়। এমনকি রিয়ার সামনেও এভাবে রিয়্যাক্ট করেছেন বহুবার।
একদিন সুশান্তের বাড়িতে রিয়া এবং সুশান্ত বসে অনুরাগ কাশ্যপের একটি ছবি দেখছিলেন। সেই সময় হঠাৎ সুশান্ত বলে ওঠেন, "আমি অনুরাগকে একটি ছবির জন্য নাকোচ করেছিলাম। ও আমায় মেরে ফেলবে।"
কথাটি শুনেই রিয়া হতবাক। কীভাবে রিয়্যাক্ট করবেন বুঝতে পারেননি। সুশান্তের সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করেননি তিনি। বরং তাঁর বাড়ি থেকে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে আসেন।
যদিও সুরিতার কথায়, রিয়া একাধিকবার সুশান্তকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন, তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করেন। সুশান্তই নাকি তাঁকে দূরে ঠেলে দেন।
তিনি জানান, মহেশ ভাটই রিয়াকে সুশান্তকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আদেশ দেন। কারণ সুশান্তের মানসিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। যা রীতিমত ভয় পাইয়ে দিয়েছিল রিয়াকে।
তবে রিয়া কেনই বা মহেশ ভাটের কথায় সুশান্তকে ছেড়ে চলে আসেন। দুরাবস্থায় কাছের জনের পাশে থাকাই মানবতার মধ্যে পড়ে।
অন্যদিকে সুশান্তকে ছেড়েই যদি চলে আসেন তাহলে নভেম্বরে বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কেন রিয়া। জেরায় উঠে আসা তথ্যতে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।
অন্যদিকে, মুকেশ ভাট সম্প্রতি জানিয়েছেন, যে তিনি এবং মহেশ জানতেন সুশান্ত এমন কাজ করতে চলেছেন। প্রথম দেখাতেই, সুশান্তের কথা শুনেই তাঁর এবং মহেশ ভাটের মনে হয়েছিল সুশান্তের মধ্যে কোনও সমস্যা আছে। কথা বললেও তিনি নিজের মধ্যে নেই।
কথা পরিষ্কার, স্পষ্টভাবে বললেও তাঁর মন অন্য কোথায় পড়ে রয়েছে। ডিস্টার্বড সোল হিসেবে সম্বোধন করেন সুশান্তকে। কোনও কিছুর সঙ্গে নাকি মানসিক যোগাযোগ ছিল না সুশান্তের।
তিনি জানান, সড়ক টু-এর ব্যাপারে কথা বলতে আসার সময় সুশান্তকে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। মহেশ এবং তিনি একসঙ্গে বসে সুশান্তের বিষয় কথা বলেছিলেন।
তাঁর কথায়, "ওকে দেখলেই কেমন মনে হত কিছু একটা ভাবছে, কিছু নিয়ে বিক্ষুব্ধ থাকত। কথা বলার সময় ও সেই মুহূর্তেই ছিল না। ভীষণ চিন্তিত লাগত ওকে।" তিনি বুঝেছিলেন যে সুশান্তের অবস্থা পারভিন বাবির মতই হবে। মুকেশ এবং মহেশ ভাট দু'জনেই চেয়েছিলেন সুশান্ত সুস্থ হয়ে, স্বাভাবিক উঠুক।