'কেন মহেশ ভাটের কাছে বারবার ছুটে যেতেন রিয়া', খোলসা করলেন অভিনেত্রীর মা
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরেই জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। একের পর এক বিতর্ক জল্পনাকে আরও জোড়ালো করছে। এর পাশাপাশি সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না পরিচালক মহেশ ভাটের। অভিনেতার মৃত্যর অভিযোগ উঠেছে মহেশ ভাটের দিকে। সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে মহেশের গোপন সম্পর্ক নিয়েও উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। মহেশের কথাতেই নাকি সুশান্তকে একা রেখে চলে যায় রিয়া, এই নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। এবার সেই জল্পনাতেই শিলমোহর দিলেন অভিনেত্রীর মা সুহৃতা দাস। যা নিয়ে ফের উত্তাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
| Published : Jun 29 2020, 01:25 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সুশান্তের মৃত্য়ুর পিছনে মহেশ ভাটের এবং রিয়া চক্রবর্তীর গভীর সংযোগ রয়েছে তা মনে করছেন একাংশ। অভিনেতার মৃত্যুতে রাগে-ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। মৃত্যুর তদন্তের দাবি উঠেছে।
সম্প্রতি সুশান্তের মৃত্যুতে রিয়াকে করা অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ খুললেন অভিনেত্রীর মা সুহৃতা দাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্টে নিজের মেয়ের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রীর মা।
অভিনেত্রীর মা সুহৃতা দাস জানিয়েছেন. সুশান্ত দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। তার চিকিৎসাও চলছিল। তিনিও এও জানিয়েছেন মানসিক সমস্যা কাটাতে নাকি সুশান্তের জন্যও প্রচুর চেষ্টাও করেছিল তার মেয়ে।
রিয়ার মা সুহৃতা দীর্ঘ একটি পোস্টে জানিয়েছেন, সুশান্তকে সারিয়ে তোলার জন্য বারবার চেষ্টা করেছিলেন রিয়া। তারপরই মহেশ ভাটের কাছে এসে বারবার সুশান্তকে নিয়ে পরামর্শ নিতেন রিয়া।
রিয়ার মুখ থেকে সুশান্তের সম্পর্কে সমস্ত কথা শোনার পরই মহেশ জানিয়েছিলেন, অবসাদের কোনও ওষুধ হয় না। এবং পারভিন ববিকে নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেছিল। হয় বেরিয়ে যাও, নয়তো তোমাকেও ডুবতে হবে।
মহেশ ভাটের কথা মত সুশান্তকে ছেড়ে একদিন বেরিয়ে আসেন রিয়া। তার আগে সুশান্তের সঙ্গে লিভ ইনেই ছিলেন অভিনেত্রী।
মহেশ ভাটের পরামর্শে কীভাবে সুশান্তের এই মানসিক অবস্থায় রিয়া তাকে ছেড়া আসতে পারে,এই নিয়ে উত্তাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
কিন্তু রিয়ার মায়ের পোস্ট নিয়েও জল্পনা বাড়ছে। কারণ ১৪ জুন ,৩ টে ৩৮ মিনিটে সুহৃতা এই পোস্ট করেছিলেন। এবং কিছুক্ষণ আগেই সুশান্তের মৃত্যুর খবরে তোলপাড় হয়েছিল গোটা বিশ্ব।
সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, তিনি আদৌ রিয়ার মা নন, তিনি হলেন মহেশ ও মুকেশ ভাটের ফিল্মসের এক কর্মী। এমনকী ফেসবুক বায়োতেও তাই লেখা লেখা আছে। এমনকী তিনি মহেশকে স্যার বলেও সম্বোধন করেছেন।
কিন্তু তিনি যেই হন না কেন, তিনি যে দুটি বিষয় নিশ্চিত করেছেন, তা সকলেই একমত।
প্রথমত রিয়া সুশান্তরে ব্যাপারে মহেশের সঙ্গে আলোচনা করতেন এবং দ্বিতীয়ত, মহেশই রিয়াকে বলেছিলেন সুশান্তকে ছেড়ে বেরিয়ে আসতে।