'সব দুঃখ শেষ হোক', গণেশ চতুর্থীতে প্রার্থনায় মগ্ন সঞ্জয় ও মান্যতা দত্ত
অগাস্ট মাসের শুরু দিকে হঠাৎই শ্বাসকষ্টের জেরে লীলাবতি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল সঞ্জয় দত্তকে। ৮ অগাস্ট বিকেলের দিকে বুকে হালকা ব্যাথা অনুভব করেন ৬১ বছর বয়সী অভিনেতা। যার জেরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সঞ্জয়ের কোভিড পরীক্ষা হয় ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে। যার ফলাফল নেগেটিভ আসে। সেই সময় জানা যায় তাঁর শারীরিক অবস্থার খানিক উন্নতি হয়েছে। তারপরই ঘনিয়ে এল সমস্যা।
- FB
- TW
- Linkdin
স্টেজ ফোর ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে সঞ্জয় দত্তের। কোভিডের আশঙ্কা করতে গিয়ে বেরিয়ে এল এই বড় বিপদ। ক্যান্সার শরীরে বহন করেও দমে যাননি অভিনেতা। ভেঙে পড়েননি একবারের জন্যও।
সাহসের সঙ্গে জীবনের যুদ্ধক্ষেত্রে নেমে লড়তে শুরু করেছেন সঞ্জয় দত্ত। হাসপাতালের বাইরে পাপারাৎজি বিরাজমান। তাদের দেখে হাত নাড়ানো থেকে শুরু করে হাসিমুখে হাতজোর করা কিছুই বাদ রাখছেন না তিনি।
এবার গণেশ চতুর্থীও হাসিমুখে পালন করলেন অভিনেতা। স্ত্রী মান্যতার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। পাশে গণেশের মূর্তির সামনে চড়ানো হয়েছে ভোগ। এবারে আর বড় করে পূজ না করতেও পারলেও প্রসাদে কোনও কমতি রাখেননি।
ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, আশা করছেন গণপতি সকলের দুঃখ ঘুঁচিয়ে আনন্দে ভরিয়ে তুলবে জগৎকে। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণে তাঁর নাম জড়ায়। ভারতীয় আইনে তিনি রেহাই পেলেও বিদেশে তাঁকে নিয়ে চলছে সমস্যা।
মার্কিন আইনের কড়া পদক্ষেপে তিনি ভিসা পাচ্ছেন না। যার জেরে আপাতত ভারতেই চলছে তাঁর চিকিৎসা। দিন কতক আগে কোকিলাবেন হাসপাতালে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
সঙ্গে ছিলেন মান্যতা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। ক্যান্সারের রীতিমত গুরুতর স্টেজে আক্রান্ত হয়েছেন বলিউড অভিনেতা। তবুও দমেনি তাঁর দাপট। পাপারাৎজিকে দেখেই হাত নাড়ান, প্রণামও করেন।
চোখে মুখে নেই কোনও ভয়। হাসিমুখে পরিস্থিতিকে মেনে নিয়েছেন সঞ্জু। গত ৮ অগাস্ট থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় তাঁর। যদিও এখন সেই সমস্যা নেই।
বাড়িতে অক্সিমিটারে অক্সিজেন লেভেল পরীক্ষা করতে দেখা যায় শরীরে অক্সিজেন অনেকটাই কমে গিয়েছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে এসে কোভিড পরীক্ষা করানো হয় সঞ্জের। রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাঁর পরবর্তী অন্যান্য রিপোর্টে ক্যান্সার ধরা পড়ে।