- Home
- Entertainment
- Bollywood
- বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েই বারবার গর্ভপাত, মা না হওয়ার যন্ত্রণা তাড়িয়ে বেড়াত ফ্যাশনিস্তা শিল্পাকে
বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েই বারবার গর্ভপাত, মা না হওয়ার যন্ত্রণা তাড়িয়ে বেড়াত ফ্যাশনিস্তা শিল্পাকে
বলিউডের ফিটনেস ফ্রিক হিসেবে শিল্পা শেট্টি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। শিরোনামে থাকতে যা যা প্রয়োজন তার পুরোটাই নখদর্পনে।'বাজিগর' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করেন শিল্পা। একাধিক ছবিরও জনপ্রিয় মুখ ছিলেন শিল্পা। একটানা দীর্ঘ ১৫ বছর বলিউডে রাজ করেছেন অভিনেত্রী। প্রায়শই নানা ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে দেখা যায় ফিটনেস ফ্রিক অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টিকে। তবে আদ্যোপান্ত হাসিখুশি থাকা মানুষটির ভিতরে যে এত কষ্ট রয়েছে তা না জানলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। মাতৃত্ব নিয়ে কঠিন সময় কেটেছে শিল্পার। ফিটনেস ফ্রিক অভিনেত্রীর শরীর যে এমন বিরল রোগ বাসা বাঁধতে পারে তা কোনওদিনই ভাবেননি শিল্পা শেট্টি।সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সেকথা ফাঁস করলেন শিল্পা।
| Published : May 25 2022, 12:27 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
'বাজিগর' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করেন শিল্পা। একাধিক ছবিরও জনপ্রিয় মুখ ছিলেন শিল্পা। একটানা দীর্ঘ ১৫ বছর বলিউডে রাজ করেছেন অভিনেত্রী। প্রায়শই নানা ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে দেখা যায় ফিটনেস ফ্রিক অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টিকে।
বলিউডের ফিটনেস ফ্রিক হিসেবে শিল্পা শেট্টি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। শিরোনামে থাকতে যা যা প্রয়োজন তার পুরোটাই নখদর্পনে। তবে আদ্যোপান্ত হাসিখুশি থাকা মানুষটির ভিতরে যে এত কষ্ট রয়েছে তা না জানলে বিশ্বাস করতে পারবেন না।
মাতৃত্ব নিয়ে কঠিন সময় কেটেছে শিল্পার। ফিটনেস ফ্রিক অভিনেত্রীর শরীর যে এমন বিরল রোগ বাসা বাঁধতে পারে তা কোনওদিনই ভাবেননি শিল্পা শেট্টি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সেকথা ফাঁস করলেন শিল্পা।
শিল্পার মতো একজন স্বাস্থ্য সচেতন নায়িকার শরীরে এত জটিলতা আসতে পারে তা শুনেই নিজেই হতবাক হয়েছিলেন ফ্যাশনিস্তা। শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক থাকলেও বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন শিল্পা। যার ফলে মাতৃত্বের স্বাদ পেতে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে তাকে।
বছর যখন ৩০ তখনই মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো তিনি অন্তঃসত্ত্বাও হন। কিন্তু অভিনেত্রীর গর্ভপাত হয়ে যায়। পরীক্ষা করে জানা যায়, শিল্পা অ্যান্টিফসফোলিপিড সিন্ড্রোম রোগে আক্রান্ত। এই রোগ হলে মহিলারা সহজেই প্রেগন্যান্ট হতে পারেন না।
সাক্ষাৎকারে শিল্পা জানিয়েছেন, মাত্র ২ শতাংশ মহিলারা এই রোগে আক্রান্ত হন। আমিও ছিলাম তাদের মধ্যে একজন। এই রোগের কথা প্রথম শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মা না হওয়ার যন্ত্রণায় দীর্ঘদিন ভুগতে হয়েছে আমাকে।
শিল্পা আরও জানান, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরের বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সময়ে টানা সাড়ে সাত মাস ধরে ইঞ্জেকশন নিতে হয়েছিল। মা হওয়ার খুশিতে সেই কষ্ট সহ্য করে নিয়েছিলাম। একটা সময় শরীর পুরো কালশিটে হয়ে গিয়েছিল। ২০১২ সালে এই কষ্ট সহ্য করেই ছেলে ভিয়ানের জন্ম দিয়েছিলেন শিল্পা শেট্টি।
২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির দিনই সারোগেসির মাধ্যমে দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের বাবা-মা হয়েছিলেন শিল্পা শেট্টি ও রাজ কুন্দ্রা। কন্যা সন্তানের নাম রেখেছেন সমিশা শেট্টি কুন্দ্রা। মাঝেমধ্যেই সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে খুশির মেজাজে পুরো পরিবারের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন অভিনেত্রী শিল্পা।
সদ্যোজাত সমিশার আনন্দের আড়ালেই লুকিয়ে রয়েছে শিল্পার এক গভীর যন্ত্রণা, এক সাক্ষাৎকারে শেয়ার করেছেন শিল্পা। অভিনেত্রী সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তার সারোগেসির কথা। কেন তিনি এই সারোগেসিকে বেছে নিলেন সে কথাও জানিয়েছিলেন শিল্পা শেট্টি।
শিল্পা জানিয়েছেন, একবার নয়, একাধিকবার মিসক্যারেজ হয়েছে অভিনেত্রীর। তাই বাধ্য হয়েই সারোগেসিকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ছেলে ভিভান একা বড় হোক এটা কখনওই চাইতেন না অভিনেত্রী। ভাই বা বোন কিছু একটা যেন থাকে, সেটাই চাইতেন তিনি।
শিল্পা জানিয়েছেন, একবার নয়, একাধিকবার মিসক্যারেজ হয়েছে অভিনেত্রীর। তাই বাধ্য হয়েই সারোগেসিকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ছেলে ভিভান একা বড় হোক এটা কখনওই চাইতেন না অভিনেত্রী। ভাই বা বোন কিছু একটা যেন থাকে, সেটাই চাইতেন তিনি।
সন্তান দত্তক নিয়ে অনেক নিয়মকানুনের বেড়াজালে আটকে পড়েছিলেন তার। সমস্যাও ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছিল। শেষমেষ সারোগেসির পথেই হাঁটেন তারা। কিন্তু সারোগেসির মাধ্যমে সমস্যায় পড়েন শিল্পা শেট্টি। প্রায় ৩ বার প্রচেষ্টার পর সামিশা কোলো আসে শিল্পার। বর্তমানে মেয়ে সামিশা এবং ছেলে ভিভানকে নিয়ে ভীষণই খুশি রয়েছেন।