- Home
- Entertainment
- Bollywood
- 'আমার স্ত্রী-কে নিজের সমস্যা থেকে দূরে রাখো', সুশান্তকে কড়া বার্তা জামাই বাবুর
'আমার স্ত্রী-কে নিজের সমস্যা থেকে দূরে রাখো', সুশান্তকে কড়া বার্তা জামাই বাবুর
সুশান্ত সিং রাজপুতের কাছের বন্ধু ছিলেন সিদ্ধার্থ পিঠানি। বছর খানেক সুশান্তের ফ্ল্যাটেই ছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, রোজ সুশান্তকে দুটো করে ওষুধগুলো দিতেই হত। রিয়া চক্রবর্তী তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ওষুধের সময়ের বিষয়। তবে এই সাক্ষাৎকারের মধ্যেই তিনি তাঁর এই বক্তব্য় থেকে পিছু হটার চেষ্টার করেন এবং দাবি করেন যে সুশান্তের রোগ ও ওষুধ সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না। যদিও নেটিজেনরা সিদ্ধার্থের এই অবস্থান মানতে রাজি নন। তারা মনে করছেন, সিদ্ধার্থ অনেক কিছু জানেন, কিন্তু তিনি তা স্বীকার করছেন না।
- FB
- TW
- Linkdin
রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধার্থকেও এখন প্রশ্নবানে বিদ্ধ করছে নেটিজেনরা। তাই প্রকাশ্যে বেশ কিছু চ্যাটের স্ক্রিনশটকে পেশ করেছেন সিদ্ধার্থ। এসব চ্যাট সুশান্তের জামাইবাবু ওপি সিং এবং সিদ্ধার্থের মধ্যেকার।
সুশান্তের সঙ্গে মাসের পর মাস তাঁর পরিবার যোগাযোগ করতে পারত না। এমনই দাবি সিদ্ধার্থের। এবং সেই জন্যই সুশান্তের জামাইবাবু সিদ্ধার্থকে মেসেজ করতেন।
সিদ্ধার্থের দাবি, সুশান্তের ব্যবহারে হতাশ ছিলেন তাঁর দিদি ও জামাইবাবু। সেই কারণে প্রয়োজনীয় মেসেজ সিদ্ধার্থকেই পাঠাতেন তাঁরা।
সিদ্ধার্থ যে স্ক্রিনশট পেশ করেছেন, তাতে লেখা রয়েছে, "আমার স্ত্রী (রীতু)কে নিজের সমস্যা থেকে দূরে রাখো। এর কারণ তুমি যে সংস্থা খুলেছ তার পরিচালনায় তোমার অদক্ষতা এবং অব্যবস্থা। আমি চাইনা আমার স্ত্রী এর জেরে কোনও সমস্যায় পরুক।"
সিদ্ধার্থের পেশ করা স্ক্রিনশট মেসেজ থেকে আরও জানা যাচ্ছে- "আমার স্ত্রীকে এর মধ্যে আর জড়িও না। ও তোমার সংস্থার সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত নয়। তোমার সংস্থার প্রতি তাঁর কোনও দায়বদ্ধতা নেই। ও ভাল মানুষ বলে ওকে শাস্তি দিও না।"
স্ক্রিনশট থেকে আরও জানা যাচ্ছে, "আমি জেনে অত্যন্ত খুশি হলাম যে তুমি তোমার জীবন চালনা করো না। আমি সঠিক সময় এই পরিস্থিতিটি বুঝতে পেরেছি এবং সেভাবেই এগিয়েছি।"
রিয়ার প্রসঙ্গও তাঁর পাঠানো মেসেজে টেনে এনেছিলেন সুশান্তের জামাইবাবু ওপি সিং। তিনি মেসেজে লিখেছিলেন, "আমিই একমাত্র যে তোমায় সাহায্য করতে পারি। প্রয়োজনে, তোমার প্রেমিকা এবং তাঁর পরিবার, এবং ম্যানেজারকে নিয়ে যদি তুমি কোনও সিদ্ধান্তে আসতে চাও তাহলে আমার অফিসে বসে বিষয়টি মধ্যস্থতা করা যেতে পারে।"
সিদ্ধার্থের পেশ করা এই স্ক্রিনশটের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। কারণ এই স্ক্রিনশটগুলিতে বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে এলেও তার উত্তর মিলছে না। যেমন সুশান্তের সংস্থা নিয়ে কেন হতাশ ছিলেন জামাইবাবু ওপি সিং। কী সমস্যা হয়েছিল সুশান্তের সংস্থাতে।
সিদ্ধার্থের এই স্ক্রিনশটে উঠে আসছে আরও কিছু প্রশ্ন। যেমন, রিয়াকে নিয়ে সুশান্তের পরিবার যে খুব খুশি ছিল না তা জলের মত পরিষ্কার। তাহলে সুশান্ত কেন কোনও পদক্ষেপ নেননি। না তিনি পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। আর সেই পদক্ষেপের সঙ্গেই কি জড়িয়ে গিয়েছে সুশান্তের চরম পরিণতি।
অন্যদিকে সিদ্ধার্থ দাবি করেছেন সুশান্তের জীবনের সংকট নিয়ে তাঁর সেরকম কোনও ধারণাই ছিল না। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, সুশান্তের জামাইবাবু যখন এত গভীর পারিবারিক সমস্যার কথা শেয়ার করলেন, সেখানে সিদ্ধার্থ কীকরে বলতে পারেন যে তিনি কিছু জানেন না। তাহলে কি নেটিজেনদের এবং যারা জাস্টিস ফর সুশান্তের জন্য আওয়াজ তুলছেন তাদের দাবিই ঠিক! কোনওকিছু কি চেপে যাচ্ছেন সিদ্ধার্থ।