প্রভাস কেবল দক্ষিণী সুপারস্টার নন, বরং বাহুবলীর ভক্ত ছড়িয়ে গোটা বিশ্বে
২০ বছরের কেরিয়ার। কেরিয়ারের শুরু থেকেই একের পর এক হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস। তাই প্রথম থেকেই পরিচালকরা তাঁকে পছন্দ করেন। প্রভাস মানেই বক্স অফিস হিট। তবে কেবল দক্ষিণ ভারতেই নয়, প্রভাস এক কথায় নজর কেড়েছেন গোটা বিশ্বের, নেপথ্যে বাহুবলী।
- FB
- TW
- Linkdin
২০০২ সালে প্রভাস প্রথম পর্দায় আত্ম প্রকাশ করেন। এরপর থেকে কেটেগিয়েছে দীর্ঘ আঠেরো বছর। দক্ষিণী ছবির দুনিয়াতে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে বিশ্বের কাছে এক ভিন্ন পরিচিতি তৈরি করেছেন তিনি।
প্রভাস যে চরিত্রেই অভিনয় করেন, তাতেই যেন বাজিমাত। নিজের একশো শতাংশ দিয়ে তা পর্দায় ফুঁটিয়ে তুলতে সিদ্ধ হস্ত এই অভিনেতা। ফলে পরিচালকেরাও তাঁকে খুব পছন্দ করেন।
পরিচালকদের পছন্দের তালিকাতে প্রভাস থাকার প্রথম শর্তই তাঁর অভিনয়ের দক্ষতা। আর দ্বিতীয় হয় বিপুল অঙ্কের অর্থের ব্যবসা।
তবে বর্তমানে এই সুপারস্টার কেবল মাত্র ভারতেই নিজের জনপ্রিয়তা অর্জন করেননি, বরং দেশ ছাপিয়ে বিদেশের বক্স অফিসেও ঝড় তুলছেন।
সালটা ২০১৬, বাহুবলী ছবির হাত ধরে প্রভাসের কেরিয়ার নিয়েছিল নয়া বাঁক। এই ছবি ভারতের বক্স অফিসে যেমন ইতিহাস গড়েছিল, ঠিক তেমনই দাপিয়ে বেড়িয়ে জাপান, চিন, ইন্দোনেশিয়া, লন্ডন ও রাশিয়ার টেলিভিশনে।
গোটা বিশ্বের দর্শকেরাই এক কথায় এই ছবি দেখে প্রভাসের ভক্ত হয়ে ওঠেছে। এরপরই আরও এক ব্লকবাস্টার ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছিলেন প্রভাস, সাহো।
এই ছবি ভারতের বুকে যতটা প্রভাব ফেলেছিল ততটাই জাপানে প্রভাব ফেলেছে। চলতি বছরের শুরুতেই এই ছবি জাপানে মুক্তি পেয়েছিল।
প্রভাসের জনপ্রিয়তা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে বিখ্যাত অষ্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটর ডেভিড ওয়ার্নার ও তাঁর মেয়েও একটি ভিডিওতে বাহুবলীর সংলাপ বলেন। সেই ভিডিও রাতারাতি ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়।
বর্তমানে প্রভাস তাঁর পরবর্তী ছবির প্রস্তুতিতে রয়েছেন। পরিচালক নাগ অশ্বিনের এই ছবি বিশ্বে প্রথমবার প্যানইন্ডিয়ায় মুক্তি পেতে চলেছে।