শ্রীদেবীর আকস্মিক মৃত্যু আসলে প্ল্যান করা খুন, দাবি এসিপির
আকস্মিক মৃত্যু নয়, পুরোটাই প্ল্যান করে খুন করা হয়েছে শ্রীদেবীকে। নেপথ্যে ছিলেন বনি কাপুর। বছর কয়েক আগে এমনই এক দাবি নিয়ে প্রকাশ্যে নানা তথ্য এনেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এসিপি বেদ ভূষণ। ২০১৮ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারির রাতে দুবাইয়ে মৃত্যু হয় শ্রীদেবীর। এক পাঁচতারা হোটেলের বাথটাবে অদ্ভুদভাবে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল অভিনেত্রী। এ কথা মানতে নারাজ ছিলেন বেদ ভূষণ। তদন্ত চলাকালীন তিনি নিজেই আলদা করে তদন্ত চালান। এমন কিছু তথ্য সকলের সামনে আনেন, যার পর সন্দেহের ক্ষীণ আলো দেখা দিয়েছিল সকলের মনেই।
- FB
- TW
- Linkdin
শ্রীদেবী যদি বাথটাবেই ডুবে মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে ডোবার সময় অবশ্যই হাত পা ছুড়ে বাঁচার চেষ্টা করেছেন।
পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি ছিল ওনার উচ্চতা। বাথটাবটি ছিল চার ফুটের চেয়ে খানিকটা বড়ো।
পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চির একজন মহিলা কখনই একটি চার ফুটের বাথটাবে ডুবে মারা যেতে পারেন না।
যদিও ডুবে গিয়ে থাকেন, তাহলে হাত পা ছোড়াকালীন এক ফোঁটা জলও কেন বাথটাবের বাইরে পড়ল না। প্রশ্ন তুলেছিলেন বেদ।
বেদ ভূষণের পাশাপাশি পরিচালক সুনীল সিংও শ্রীদেবীর মৃত্যুকে খুন বলে দাবি করে একটি বীমার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন।
ওমানে শ্রীদেবীর নামে বনি কাপুর ২৪০ কোটি টাকার একটি বীমা করান। যার ক্লজগুলির মধ্যে একটি জানার পরই শ্রীদেবীর মৃত্যু খুন বলে দাবি করেছিল অভিনেত্রীর ভক্তরাও।
বীমার পরিষ্কার লেখা, এই টাকা তখনই এনক্যাশ হবে যদি শ্রীদেবীর মৃত্যু কোনও কারণে দুবাইতে হয়।
বীমার এই ক্লজটি সামনে আসতে উঠে আসে আরও তথ্য। ধান দেনা সে সময় ডুবে ছিলেন বনি কাপুর। অর্জুন কাপুরের ছবিও তখন একের পর এক ফ্লপের খাতায়।
শ্রীদেবীর মেয়ে জাহ্নবী তখনও ডেবিউ করেননি। সব মিলিয়ে টাকার অত্যন্ত প্রয়োজন বনির।
দুয়ে দুয়ে চার করতেই অধিকাংশ ভক্তদের কথায়, এই বীমার আসল ক্লজ অনুযায়ী শ্রীদেবীকে দুবাইয়ের হোটেল জুমেরাই এমিরেটসের বাথরুমে খুন করা হয়।