- Home
- Entertainment
- Bollywood
- ঠিক সকাল সাড়ে দশটা, চেষ্টা করলে হয়তো বাঁচানো যেত সুশান্তকে, ঠিক একবছর আগে অভিশপ্ত সকালের স্মৃতি
ঠিক সকাল সাড়ে দশটা, চেষ্টা করলে হয়তো বাঁচানো যেত সুশান্তকে, ঠিক একবছর আগে অভিশপ্ত সকালের স্মৃতি
সুশান্ত সিং রাজপুত, বলিউডে যাঁর প্রসার ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু ভেতরে লুকিয়ে থাকা হাজারও উত্থান-পত্তনের কাহিনি সামনে আসেনি সেভাবে কখনও। কীভাবে একের পর এক ছবি চলে যায় তাঁর হাত থেকে, কীভাবে তিনি নেপোটিজমের স্বীকার হয়য়েছিলেন, তার খবর ছিল না কোথাও। একা একাই নাকি গুমরে অবসাদে ডুবেছিলেন সুশান্ত। আত্মহত্যার প্রাথমিক কারণ হিসেবে রিয়া চক্রবর্তী সেটাই তুলে ধরেছিলেন। ১৪ জুন ঠিল বেলা ১.৩০ মিনিট, উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। ময়না তদন্তে উঠে আসে আনুমানিক মৃত্যুর সময় সাড়ে দশটা থেকে এগারোটা।
- FB
- TW
- Linkdin
ঠিক কী ঘটেছিল ১৪ জুনের সকালে। আজও তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। ভক্ত মহলের কথায়, সুশান্ত এভাবে হেরে যেতে পারেন না।
এটা ছিল খুব সুক্ষ্ম হত্যা,, এমটাই দাবী নেট পাড়ায় আবারও ভাইরাল। এক বছর ছবে চলছে তদন্ত। প্রশ্নের পর প্রশ্ন, কখনও মাদক কাণ্ড, কখনও আবার সুশান্তের আসে পাশে মানুষের অবসস্থান ঘিরে প্রশ্ন।
এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনকে জেরা করা হয়েছে, আটক করা হয়েছে। তবে ভক্তদের মনে একটাই আক্ষেপ, ঠিক এক বছর আগে এখনও বেঁচে ছিলেন সুশান্ত।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলে ঠিক সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে গলায় ফাঁস পড়ে, এই সময় যদি অপেক্ষা না করে কেউ ফ্ল্যাটে ঢুকত, হয়তো তিনি বেঁচে যেতেন।
ফ্ল্যাটের পাশে থাকা সিদ্ধার্থ পিঠানির বয়ান অনুযায়ী, তিনি কেবলই ডাকাডাকি করেছেন ঘণ্টা দুয়েক।
এতেই সব শেষ। কেন ভাঙা হয়নি দরজা, কেন কেবলই অপেক্ষা চলছিল, কিসেলর জন্য বেলা এগারোটাতে সারা না পেড়ে চুপ করে বসেছিলেন তিনি।
এমনই প্রশ্ন গত এক বছর ধরে নেট পাড়ায় ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ সুশান্তের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতেও সেই একই আক্ষেপ।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সেই একই প্রশ্ন, যদি একটু তৎপর হতেন সিদ্ধার্থ, যদি কেবলই বাইরে থেকে ডাকাডাকি না করে দরজাটা ভাঙতেন, হয়তো সুশান্ত আজ সকলের মধ্যে থাকতেও পারতেন।