- Home
- Entertainment
- Bollywood
- হলিউডের 'অ্যাভেঞ্জার্স'কে টপকে গেল 'দিল বেচারা', সুশান্ত নিজের অনুপস্থিতিতেই গড়ে দিলেন রেকর্ড
হলিউডের 'অ্যাভেঞ্জার্স'কে টপকে গেল 'দিল বেচারা', সুশান্ত নিজের অনুপস্থিতিতেই গড়ে দিলেন রেকর্ড
- FB
- TW
- Linkdin
২৪ ঘন্টার মধ্যেই ৪.৮ মিলিয়ন লাইকস পেল ট্রেলারটি। রেকর্ড ভাঙল হলিউডেরও। অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেমের ট্রেলারকে ছাপিয়ে গেল দিল বেচারার ট্রেলার।
একদিনে ২.৯ মিলিয়ন লাইকস পেয়েছিল অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেম। হলিউড এই ছবিকেই টপকে গেল সুশান্তের দিল বেচারা। সোমবার (গতকাল) বিকেল চারটে নাগাদ মুক্তি পায় সুশান্তের শেষ ছবির ট্রেলার।
ইতিমধ্যেই ইউটিউবে এক নম্বর ট্রেন্ডিংয়ে চলে এসেছে ছবিটি। ট্রেলারটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন অনুরাগীদের আবেগ। পুলিশি তথ্য অনুযায়ী, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে তা মানতে নারাজ ভক্তমহল। খুন বলে দাবি করে চলেছে তারা।
তাদের পাশাপাশি কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং নেটিজেনের দাবি অনুযায়ী, সুশান্তের মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলিউডের মাফিয়া। সেই মুভি মাফিয়াদের কারণেই কি ট্রেলারে বাড়ছে ডিজলাইকের সংখ্যা।
কমেন্ট সেকশনে যা নয় তাই বলা হয়েছে সেসব নেটিজেনদের যারা এই ভিডিওতে এসে ডিজলাইক করে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৪ হাজার ডিজলাইক পড়েছে ট্রেলারে।
সুশান্তের বিচার চাওয়া প্রতিবাদীদের দাবি, সলমন খানের ভক্তরা পরিকল্পিতভাবে ট্রেলারে ডিজলাইক দিয়েছে। যাতে ছবির ট্রেলারটি নিয়ে কেউ বেশি চর্চা না করে।
তবে একাংশ নেটিজেনের কথায়, এখানে কোথাও যেন শত্রুতা, মৃত্যু, খুন, বদলার বিভিন্ন মতামত ছাড়িয়ে ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রসঙ্গ উঠে আসে। সুশান্ত সিং রাজপুত নিঃসন্দেহে একজন ভাল অভিনেতা ছিলেন।
তাঁর প্রতিভা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকার কথা নেই। তবে প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর কেরিয়ার গ্রাফে উঁচ-নিচ আসতেই থাকে। সুশান্তের জীবনেও যে আসেনি তা নয়। দিল বেচারা অবশ্যই সুশান্তের শেষ ছবি হিসাবে ভক্তদের মনে একটি আলাদা জায়গা নিয়ে বিরাজমান।
তবে ছবিটির ট্রেলার যদি কেবল দর্শক হিসাবে দেখতে হয়। সেখানেই উঠে আসে পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার। কারও ছবিটির ট্রেলার পছন্দ হয়েছে কারও পছন্দ হয়নি। এমন সাধারণভাবে ভাবা যেতেই পারে। এই প্রসঙ্গটি তুলেছে বহু নেটিজেন। তাদের কথায়, সুশান্তের মৃত্যু অত্যন্ত মর্মান্তিক।
এক মাস হতে চলল তাঁর মৃত্যুর, কারও পক্ষেই তাঁকে ভোলা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে সকলেই কমবেশি দুঃখপ্রকাশ করেছে। তবে তাই বলে, কোনও ছবির বিষয় কারও ব্যক্তিগত মতামত থাকবে না কেন।
আজ যদি সুশান্ত বেঁচে থাকতেন, তাঁর ছবি নিয়ে সকলেই মন খুলে রিভিউ লিখতেন কমেন্ট সেকশনে। কেবল মাত্র তিনি নেই বলে তাঁর এই ছবিটি সকলের পছন্দ হবেই তার কি কোনও মানে আছে। এই প্রসঙ্গ তুলতেই নেটদুনিয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।