- Home
- Entertainment
- Bollywood
- 'গাঁজা-ড্রাগ-বিদেশি চরস' মাদকচক্রে এনসিবি-র নজরে রিয়া, হতে পারে ১০ বছরের জেলও
'গাঁজা-ড্রাগ-বিদেশি চরস' মাদকচক্রে এনসিবি-র নজরে রিয়া, হতে পারে ১০ বছরের জেলও
সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে একের পর এক সুশান্তের মৃত্যুতে একাধিক অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রেমিকা রিয়ার দিকে। প্রতিদিনই যেন নয়া মোড় বেরিয়ে আসছে। অভিনেতার মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার পরই একের পর এক গোপন সত্য ভাইরাল হচ্ছে। সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে রিয়াকে নিয়ে যখন গোটা দেশ ফুঁসছে, সেই সময়েই সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য। বড়সড় মাদকচক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে রিয়ার, খোঁজ পেয়েছে ইডি। গতকালই সুশান্ত মামলায় যোগ দিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ইতিমধ্যেই ইডি, সিবিআইয়ের পর তৃতীয় কেন্দ্রীয় সংস্থা মামলা দায়ের করেছে রিয়ার বিরুদ্ধে। ইডি-র চিঠি পেয়েই এই মৃত্য তদন্তে যোগ দিয়েছে এনসিবি।
| Published : Aug 27 2020, 09:46 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
মুম্বই পুলিশ,বিহার পুলিশ, ইডি, সিবিআই-এর পর সুশান্তের মৃত্যু মামলা খতিয়ে দেখতে তদন্তভার নিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
সুশান্তের বান্ধবী রিয়ার সঙ্গে বড়সড় মাদকচক্রের সন্ধান মিলেছে ইডির। মাত্র কয়েরঘন্টার মধ্যেই সমস্ত প্রাথমিক তথ্য খতিয়ে দেখেই রিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এনডিপিএস আইনের আওতায় রিয়া এবং ইডি চিঠিতে উল্লেখিত সকলের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের হয়েছে।
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, এনডিপিএস আইনের ১৯৮৫-র আওতায় ২০, ২২,২৭,২৯ -এর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুধু ড্রাগ সেবন নয়, ড্রাগ পাচার এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ড্রাগ আদান-প্রদানেরও অভিযোগ আনা হয়েছে রিয়া ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।
এই অপরাধমূলক অভিযোগ প্রমাণত হলে সর্বনিম্ম ১০ বছরের জেল হবে রিয়া চক্রবর্তীর।
সুশান্তের মৃত্যু মামলায় রিয়া ও তার বর্তমান ম্যানেজার শ্রুতি মোদির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে আসার পরই মাদক যোগ নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে সুশান্তের দেহরক্ষীর চাঞ্চল্যকর দাবি শোরগোল ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি জানিয়েছেন, নিয়মিত নাকি চরসের নেশা করতেন সুশান্ত।
মুস্তাক আরও জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত দামি চরসের নেশা করতেন সুশান্ত। তিনি বহুবার বারণও করেছিলেন সুশান্তকে।
কিন্তু সুশান্ত নাকি তাকে বলেছিল, এটা সাধারণ মানের নেশার দ্রব্য নয়, এটা অত্যন্ত দামি, বিদেশ থেকে আনা হয়। এবং গাড়ির মধ্যে যেন কোনও কিছু পড়ে না থাকে। তার জন্যও তাকে সাবধান করা হয়েছিল বলে দাবি দেহরক্ষীর।
রিয়ার সঙ্গে যে মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তারও প্রমাণ মিলেছে। কারণ বিভিন্ন লোকের জন্য মাদক নিয়ে রিয়ার কথোপকথন প্রকাশ্যে আসেছে।
রিয়ার আইনজীবী এই তথ্য খারিজ করে দিলেও মাদক যোগ খতিয়ে দেখতে রিয়ার রক্তের নমুনাও এনসিবি সংগ্রহ করতে পারে বলে খবর।