- Home
- Entertainment
- Bollywood
- ড্রাগের নেশায় বুঁদ সঞ্জয়, মা নার্গিসের মৃত্যুর সময় এই জঘন্য কাজটিই করেছিলেন 'মুন্নাভাই'
ড্রাগের নেশায় বুঁদ সঞ্জয়, মা নার্গিসের মৃত্যুর সময় এই জঘন্য কাজটিই করেছিলেন 'মুন্নাভাই'
বলি অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত আজ ৬১ তে পা দিলেন। একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করলেও বিতর্ক তার জীবন জুড়ে রয়েছে। বান্ধবীর সংখ্যা হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। শোনা যায় ৩০৮ জন বান্ধবী ছিল সঞ্জয়ের। প্রেম-বিতর্ক বাদ দিলেও নেশার মোহেই তার জীবনের অধিকাংশ ক্ষতি নিজেই ডেকে এনেছিলেন সঞ্জয়। এমনকী মা নার্গিসকে হারানোর যন্ত্রনায় কান্নাকাটি করার পরিবর্তে বোনের কাছ থেকে চরস চেয়েছিলেন সঞ্জয়। জেনে নিন সঞ্জয়ের জীবনের উত্থান-পতনের কাহিনি।
- FB
- TW
- Linkdin
সঞ্জয় দত্তের বাবা-মা দুজনেই চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গ যুক্ত ছিলেন। আর্থিক স্বচ্ছল পরিবারে কোনওদিনই অর্থের অভাব ছিল না।
বাবা-মা দুজনেই নিজেদের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। সেই সময়েই কলেজে গিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন সঞ্জয়। গাঁজা, মদের নেশায় জড়িয়ে পড়েন সঞ্জয়। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না। বাবার নির্দেশেই কলেজে গিয়ে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি।
বাবা সুনীল দত্ত ছেলের এই বিষয়গুলি না বুঝলেও মা নার্গিস বুঝতে পেরেছিলেন। সঞ্জয়কে সন্দেহ করলেও স্বামী সুনীলকে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানাননি। পরে ভেবেছিলেন সঞ্জয় হয়তো ঠিক হয়ে যাবে।
মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে যখন গ্রেফতার হয়েছিল সঞ্জয়, সেই খবরে হতবাক হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতার বাবা।
ড্রাগসের নেশায় এতটাই বুঁদ হয়েছিলেন সঞ্জয় যে বাবা ছেলেকে সিনেমার কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেছিল। একদিন ছেলেকে প্রথম ছবির জন্য নিজের অফিসেও ডেকে পাঠিয়েছিল সুনীল দত্ত, সেই সময়ও নেশায় চুর ছিল সঞ্জয়, সেইদিন ছেলেকে ওই অবস্থায় দেখে অবাক হয়েছিল সুনীল।
একদিকে সঞ্জয় প্রথম ছবি নিয়ে ব্যস্ত অন্যদিকে মা নার্গিস দত্তের শরীর ক্রমশ খারাপ হতে যাচ্ছিল।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নার্গিসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আর তখনই ১৯৮১ সালে সঞ্জয়ের প্রথম ছবি মুক্তির দিন ৪ মে নির্ধারন করা হয়েছিল।
একদিকে নার্গিসের কারণে সুনীল সহ তার পুরো পরিবার টেনশনে ছিল এবং অন্যদিকে নার্গিসের ছেলে সঞ্জয়ের নেশায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। তখন ছবির প্রিমিয়ারের জন্য বাড়িতেই থিয়েটার তৈরি করেছিলেন সুনীল, যাতে নার্গিস ছেলের প্রথম ডেবিউ দেখতে পারে। কিন্তু নার্গিসের শরীর এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে তাকে অন্য ঘরে ঘুমাতে দেওয়া হয়েছিল।
সেই ভয়াবহ সময়ে ,মা নার্গিসকে হারানোর যন্ত্রনায় কান্নাকাটি করার পরিবর্তে বোনের কাছ থেকে চরস চেয়েছিলেন সঞ্জয়। কারণ নেশার ঘোরে এতটাই বুঁদ ছিলেন যে মায়ের মৃত্যুও তাকে নেশার ঘোর থেকে বের করে আনতে পারেনি। সঞ্জয়কে এরকম অবস্থায় দেখেই সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন সুনীল।
একদিকে স্ত্রীর মৃত্যুশোক অন্যদিকে ছেলে সঞ্জয়ের এই অবস্থা দেখে পুরো ভেঙে পরেছিলেন সুনীল তড়িঘড়ি করে বিদেশী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তাকে জার্মানি ও পরে আমেরিকাতে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পরে যখন সঞ্জয় জানতে পারেন তার মা নার্গিস আর নেই, তখন চারদিন ধরে কেঁদেই গেছিলেন সঞ্জয় দত্ত।