Yami Gautam- দেখতে মিষ্টি, কিন্তু খুব সাধারণ লুক, বিটাউনে পা রেখেই লুক নিয়ে কটাক্ষের শিকার ইয়ামি

বলিউডে কাস্টিং কাউচ হোক বা রূপ নিয়ে কটাক্ষের শিকার, শরীর হোক বা অভিনয়গুণ, বাঁকা কথা হজম করে নিয়ে সফরে সামিল হওয়াটা অধিকাংশের জন্যই বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘদিন বিউটি প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন করা অভিনেত্রীকেও শুনতে হয় তাঁর নাক, ডিম্পল ও রূপ নিয়ে নানান মন্তব্য।

ইয়ামি গৌতম অভিনেত্রী হয়ে ওঠার আগে যার সঙ্গে সকলের পরিচয় ঘটে একজন বিউটি প্রোডাক্ট এর মডেল হিসেবে। দিনের পর দিন তার রূপে মুগ্ধ হয়ে সকালে পছন্দ করে এসেছে বিজ্ঞাপন।

সেই অভিনেত্রীর বলিউডে পা রাখার পালা। একের পর এক ছবির প্রস্তাব নিয়ে যখন তিনি রীতিমতো উত্তেজিত ঠিক সেইসময় শুনতে হয়েছিল তার রূপ খুব একটা আহমরি নয়। শুনতে হয়েছিল খুব সাধারন দেখতে তাকে।

সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম। সোশ্যাল মিডিয়া একটি দীর্ঘ পোষ্টের মাধ্যমে তিনি জানান চল এবার বন্ধ হওয়া উচিত। হঠাৎ করে কেন আসলো এ প্রসঙ্গ ইয়ামির মাথায়। ইয়ামির বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ার সব পোস্ট পড়েন তিনি।

সেখানেই ইয়ামির চোখে পড়ে একজন কমেন্ট বক্সে লিখেছে তার বয়ফ্রেন্ড বা হাসবেন্ড চান যে তাকে যেন সবসময় সেলিব্রেটিদের মত সুন্দর দেখতে লাগে। আর এই কমেন্টই অবাক ইয়ামি।

তার বক্তব্য বা সৌন্দর্য একটি সামরিক, কেউ প্রথম থেকেই এটা নিয়ে বেশ স্বস্তিতে থাকেন, আবার কারো জীবনে একটা বিশেষ সময় আসে যে মুহূর্তটা তে সে নিজেকে নিয়ে কনফিডেন্ট থাকেন। কিন্তু এর আগে বা পরের মুহূর্তে তার কি হবে! 

এই সমাজেরই চিন্তাধারা বদলানো টা একান্ত প্রয়োজন। এ অস্বাস্থ্যকর আলোচনাগুলো মানুষকে তিলে তিলে পিছিয়ে দিচ্ছে। ইয়ামি কেউ এমন মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছিল।

শুনতে হয়েছিল তার ডিম্পলটা একটু অড জায়গায় রয়েছে। আবার কখনো শুনতে হয়েছিল তার নাকটা বেশ চোখে লাগে। এরই মাঝে বেশ খানিকটা রূপনিয়েও চর্চা চলে। তবে তিনি তা গায়ে মাখেননি। 

ইয়ামির কথায় সমাজের এই দিক থেকে চিন্তাধারা বদলানো উচিত। নয়তো এই নিয়ে বহু মেয়েদের সারাজীবনে কটাক্ষের শিকার হতে হয়। বাড়ে মানসিক সমস্যা। আর তা নিয়ে প্রয়োজন সচেতনতা। 

ইয়ামি এই প্রথম নয়, এর আগেও বহু তারকা এই নিয়ে মুখ খুলেছেন নেটদুনিয়ায়। একের পর এক সেলেবের বলিউডে পা রাখার পর কটাক্ষ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়া ঝড় তোলা মন্তব্য কোথাও গিয়ে সাধারণ মানুষের ধ্যানধারনাকে পাল্টানোর চেষ্টা মাত্র।