- Home
- World News
- International News
- অক্সফোর্ডের পর ভ্যাকসিনের দৌড়ে কেমব্রিজও, যে কোনও করোনা বধে মহাষৌধি এই টিকা দাবি বিজ্ঞানীদের
অক্সফোর্ডের পর ভ্যাকসিনের দৌড়ে কেমব্রিজও, যে কোনও করোনা বধে মহাষৌধি এই টিকা দাবি বিজ্ঞানীদের
- FB
- TW
- Linkdin
করোনার ‘রিইনফেকশন’ নিয়ে চিন্তিত গোটা বিশ্ব। সার্স-সিওভি-২ ভাইরাসের নতুন নতুন স্ট্রেন অ্যান্টিবডির ক্ষমতাকে হারিয়ে দিয়ে মানুষের শরীরে ঢুকে পড়ছে। একবার সংক্রামিত হওয়ার পরেও তাই দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। ভাইরোলজিস্টরা তাই চেষ্টা করছেন এমন ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করার যেটি সবরকমের করোনাভাইরাসের স্ট্রেনকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। সেই গবেষণাতেই সাফল্যের পথে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
কেমব্রিজের এই ভ্যাকসিনের নাম DIOS-CoVax2। অক্সফোর্ডের মতো ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিন হলেও কেমব্রিজের তৈরি টিকার কিছু বিশেষত্ব আছে। অক্সফোর্ডের মতো ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিন হলেও কেমব্রিজের তৈরি ভ্যাকসিনের কিছু বিশেষত্ব আছে।
এই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেটি প্রয়োগ করতে ইঞ্জেকশনের দরকার পড়বে না। দাবি করা হচ্ছে বিটা-করোনাভাইরাসের পরিবারের যে কোনও ভাইরাল স্ট্রেনের সংক্রমণ রুখতে পারবে এই ভ্যাকসিন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার পরে কেমব্রিজের ভ্যাকসিনেও আর্থিক অনুদান দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্বের ট্রায়াল শুরু হবে আগামী অক্টোবরেই।
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ভাইরাল জুনটিক্স ল্যাবরেটরির প্রধান জোনাথন হিনে জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিনের বৈজ্ঞানিক ফর্মুলা এখনই প্রকাশ করা যাবে না। এর বিশেষত্ব হল ভেক্টর ভাইরাসকে ব্যবহার করেই টিকা তৈরি হয়েছে তবে করোনার জিন সরাসরি নেওয়া হয়নি। ল্যাবরেটরিতে বিশেষ উপায় সিন্থেটিক জিন বানানো হয়েছে যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে যে কোনও রকম আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) ভাইরাল স্ট্রেনের মোকাবিলা করার জন্য সক্রিয় করে তুলবে।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি বেশিদিন স্থায়ী হচ্ছে না। তিন মাসের মধ্যেই অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই রিইনফেকশনের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। সেই জন্য এই ভ্যাকসিন এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যা শরীরে ঢুকলে সরাসরি টি-কোষকে সক্রিয় করে তুলবে।
মানুষের জন্মের পর থেকে মৃত্যু অবধি, এই টি-কোষ শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বা ইমিউন সিস্টেমকে সচল রাখার চেষ্টা করে। যে সমস্ত অ্যান্টিজেন মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে পারে তাদের শনাক্ত করে সেইমতো জিন ডিজাইন করা হয়েছে।
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া যদি শরীরের কোনও কোষে ঢুকে প্রতিলিপি তৈরি শুরু করে দেয়, তাহলে ভাইরাস সমেত সেই কোষকে নষ্ট রে দিতে পারে ঘাতক টি-কোষ। বিজ্ঞানীরা এই ঘাতক টি-কোষকেই জাগিয়ে তুলতে চাইছেন। আর সেই কাজই এই ভ্যাকসিন করতে পারবে বলে দাবি করেছেন কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।
এদিকে চলতি বছরের শেষের দিকেই ভারতের বাজারে মিলতে পারে অক্সফোর্ডে প্রস্তুত করোনার ভ্যাকসিন। এখনও পর্যন্ত যে সব সম্ভাব্য করোনা টিকার কথা শোনা যাচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল অক্সফোর্ডের কোভিড টিকা। ভারতে এই ভ্যাকসিন তৈরী করবে সেরাম ইনস্টিটিউট। এবার মানুষের ওপর এই টিকার কার্যকরীতা জানার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হয়েছে এদেশ।