- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- বর্ধমানের পাত্র-পাত্রী ভিনদেশি, ভার্চুয়াল বিয়েতে দুই বাংলার আজব মিশেল
বর্ধমানের পাত্র-পাত্রী ভিনদেশি, ভার্চুয়াল বিয়েতে দুই বাংলার আজব মিশেল
পাত্র এপার বাংলার বর্ধমানের বাসিন্দা। আর পাত্রী সদূর কুয়েতের। করোনা আবহের মধ্যে তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক অবশেষে গড়াল বিয়েতে। মুসলিম রীতি মেনেই ভার্চুয়ালে বিয়ে সম্পন্ন হল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। কুয়েত থেকে বাংলাদেশের ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন পাত্রী। আর সেখান থেকেই কাটোয়া দাঁইহাটের বাসিন্দা পেশায় গৃহশিক্ষক মীর আবু তালেব বিয়ে করলেন কুয়েতের সাহেরান ফতেমাকে। মুসলিম বিবাহ আইনে কাজির উপস্থিতিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় চব্বিশ হাজার টাকা দেন। অন্যদিকে মোহরের বিনিময়ে শাদি কবুল করলেন সাহেরান ফতেমা। বিবাহের সবই রীতি সম্পন্ন হল ভার্চুয়ালে।
- FB
- TW
- Linkdin
করোনার থাবায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভার্চুয়াল মিটিং। জমায়েত এড়াতে ভার্চুয়ালে বিয়েও হয়েছে। এবার ভার্চুয়াল বিয়েতে নজিরবিহীন মিশে গেল দুই বাংলা।
ভিন দেশ কুয়েতের কন্যাকে ভার্চুয়ালে বিয়ে করলেন পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। করোনা আবহের মধ্যে কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন পাত্রী। আর সেখান থেকেই অভিনব ভাবে মিশে গেল এপার বাংলার সঙ্গে ওপার বাংলা। মুসলিম রীতি মেনেই সামনে ল্যাপটপ রেখে বিয়ে করলেন দুই জন। তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক পরিণতি পেল ভার্চুয়াল বিয়ের মাধ্যমে।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা মীর আবু তালেব বিয়ে করলেন কুয়েতের কন্যা সাহেরান ফতেমাকে। বাংলাদেশ থেকে কন্যার বিয়ের আয়োজন হওয়ায় মুসলিম বিবাহ আইন মেনে কাজির উপস্থিতিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় চব্বিশ হাজার টাকা দেন। অন্যদিকে, মোহরের বিনিময়ে শাদি কবুল করলেন সাহেরান ফতেমা। তবে সবই অনলাইনে।
কিন্তু, ভার্চুয়াল বিয়ে কীভাবে মিশল দুই বাংলা? পরিবার সূত্রে জানা গেল, ২০১৮ সালে মার্চ মাস মাসে সাহেরান ফতেমা কুয়েত থেকে ভেলোরে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। একই সময়ে ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন কাটোয়ার দাঁইহাটের বাসিন্দা পেশায় গৃহশিক্ষক মীর আবু তাহের আলি। সেখানেই দুজনের পরিচয় হয়।
দুজনের পরিচয় পরই সম্পর্ক ভালবাসা পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে ফের একই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন দুই পরিবার। ব্যাস, সেখানেই একটি হোটেলে বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়।
এরপর, করোনা আবহে কুয়েত থেকে বাংলাদেশের ঢাকায় এসেছিলেন সাহেরাম ফতেমা। পাত্র মীর আবু তালেব দাঁইহাটের বাড়ি থেকেই বিয়ের আয়োজন করেন। রীতি মেনে বিবাহ সম্পন্ন হল নব দম্পতির। করোনা আবহের মধ্যে নজির গড়ল দুই বাংলা।